আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
426 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (8 points)
হুজুরের প্রশ্ন গুলার আলাদা আলাদা উত্তর দিবেন। ১ নং এবং ২ নং এগুলো আলাদা উত্তর দিয়েন। বিয়ে কেনো হয়নি কারণটা উল্লেখ করে বুঝিয়ে বললে সুবিধা হবে
1.আমার বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করে তার আমাদের প্রতি কোনো আগ্রহ ছিলোনা।আব্বু মাজারে যায় জাদু টোনাও বিস্বাস করে।২০১১ সালে আম্মু আমার এক ফুপাতো ভাইয়ের সাথে আমাকে বিয়ে দিতে চাইলে আমি না করে দিসি পরে সবাই মিলে বুঝাইলে  আবার রাজি হইসি। পরে আবারো মানা করে দিসি। তারপর আমার মামা বুঝাইসে ৫ বছর পরে তোমাকে তালাক নিয়ে দিবো আমি তখন রাজি হইসি। কাজী আমাকে বলসে আলহামদুলিল্লাহ কবুল  বলতে  আমি বলসি আলহামদুলিল্লাহ কবু। কবু বলসি যাতে বিয়ে না হয় । সবাই খুশি হয়ে গরচ্ছে কারণ তারাতো কবুল শুনসে।তারপর হোস্টেলে চলে যাই হোস্টেল থেকে আসার পরে আমাকে জোর করে ওই স্বামীর সাথে থাকতে দেওয়া হয়।। আমার বাবাও জানতো না এই বিয়ের বেপারে।বিয়েটা কি হয়েছিল??আর আমার মামা সম্ভবত যারা জাদু করে তাঁদের কাছে যেতো। আর আমার উকিল বাবা যিনি হইসিলেন তিনি জাদু বা শিরক  করতেন কিনা আমি জানিনা।কেউ শিরক  করলে সে কি অন্য মুসলিমকে বিয়ে দিতে পারে?? আমার বিয়েটা কি হইসিলো??শুধু আলহামদুলিল্লাহ বলার দ্বারা কি বিয়ে হয়? পরে তো কবুল বাক্যটা উচ্চারণ করিনি।
২।২০১২ সালে আব্বুর সম্মতিতে আমাকে আবারো আমার ফুপাতো ভাইয়ের সাথেই বিয়ে দিতে চাইলে আমি মানা করসি । আমি জানতাম আব্বু রাজি না হলে ওই লোক আমাকে লুকিয়ে তালাক দিবে যেহেতু আম্মু আগে বিয়ে দিসিলো । কিন্তু পরিবারের চাপে পরে আমাকে বিয়ে করতে বাধ্য হইতে হইসে। আমার বিয়ে আটকানোর কোনো সুযোগ ছিলোনা।সাহায্য করার মতোও কেউ ছিলোনা  তাই রাজি হইসি।বাসায় পুলিশ আসছিলো কিন্তু আমি পুলিশকে  বলিস আমার ইচ্ছাতেই বিয়ে হইতেসে। পরে বিয়ে পড়ানোর জন্য আমার মামার বাড়িতে নিয়ে যায়। কাজী যখন বলে বিসমিল্লাহ কবুল বলতে আমি বলসি বিসমিল্লাহ কবু। বিয়ে যেনো না হয় এই জন্য কবু বলসি কিন্তু সবাই শুনসে কবুল।।আমি হোস্টেলে থেকে পড়তাম বিয়ের পরে ছুটি শেষ হয়ে গেলে হোস্টেলে গেছি  সেখানে গিয়েও কাকে যেনো বলসিলাম বিয়ে হয়নি কারণ আমি কবুল না বলে কবু বলসি।পরে ছুটিতে বাড়ি আসে উনার সাথে আমার শারীরিক সম্পর্ক হয়। যেহেতু আমি কবুল না বলে কবু বলসি  বিয়ে কি হয়ে গেছে??আমার বাবাও নানা শিরক বিস্বাস করে মাজারে যায় জাদু টোনাও করে সম্ভবত। তাকে কি মুর্তাদ বলার যাবে? সে কি আমার বিয়ে দিতে পারে?? বিয়েতে আমার মামা ছিলেন উনিও সম্ভবত জাদু টোনা করার জন্য কারো কাছে যেতো। ওরা কি আমার বিয়ে দিলে সেই বিয়ে হবে???
৩।২০১৭ সালে কাজী অফিসে বিয়ের রেজিস্ট্রেশন হয় আমি সেখানে স্বাক্ষর দিসি।রেজিস্ট্রেশন করার সময় আমার বাবাকে জানানো হইসে কিনা আমার মনে নাই।ইজাব কবুল করানো হয়নি  সেদিন। বিয়ে কি হয়েছিল???
৪। ঝগড়ার সময় স্বামী যদি বলে তোকে ছেড়ে দিবো স্ত্রীও যদি বলে ছেড়ে দে তারপর স্বামী যদি বলে তুই যা, তুই বাদ, তোর সাথে সম্পর্ক নাই,তুই আমাকে কল দিবিনা, তুই বাতিল তালাকের নিয়ত ছাড়া তাহলে কি তালাক হয়??

1 Answer

0 votes
by (573,660 points)
জবাবঃ- 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম 


(০১)
বিয়ে শুদ্ধ হওয়ার জন্য জরুরি হল, দুইজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে ইজাব ও কবুল পাওয়া যাওয়া। যদি এর কোনো একটি না পাওয়া যায়, তাহলে বিয়ে শুদ্ধ হবে না। 

হাদিস শরিফে এসেছে,
لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل

‘ওলীর অনুমতি এবং দুইজন ন্যায়পরায়ণ সাক্ষীর উপস্থিতি ব্যতিরেকে বিবাহ সংঘটিত হবে না।’ [আল মুজামুল আওসাত, হাদিস: ৯২৯১]

★শরীয়তের বিধান হলো আলহামদুলিল্লাহ বলার দ্বারা বিয়ে হয়ে যাবে। তবে স্পষ্টভাবে কবুল বলাই সমীচিন। [আহসানুল ফাতাওয়া-৫/৩৬-৩৮]

আলহামদুলিল্লাহ দ্বারা যেহেতু কবুলের ভাবার্থ বুঝা যায় তাই আলহামদুলিল্লাহ দ্বারাও বিয়ে হয়ে যাবে।
(খুলাসাতুল ফাতওয়া ২/৩)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার "আলহামদুলিল্লাহ" বলার দ্বারাই বিবাহ শুদ্ধ হয়ে গিয়েছে। 
পরে তো কবুল বাক্যটা উচ্চারণ না করলেও বিবাহ শুদ্ধ হয়ে গিয়েছিলো।

আপনার মামা শিরক করলেও সে তো উক্ত বিবাহে ইজাব বা কবুল কিছু করেনি।
আপনি নিজে পাত্রের প্রস্তাব আলহামদুলিল্লাহ বলার দ্বারা কবুল করেছেন।
তাই বিবাহ হয়ে গিয়েছে।
,
(০২)
আপনার বিবাহ আগেই (২০১১ সালেই) হয়ে গিয়েছিলো।
এই ২য় ছুরতে আপনারা স্বামী স্ত্রী হিসেবেই আছেন।
তালাক না হওয়া পর্যন্ত আপনারা স্বামী স্ত্রী হিসেবেই থাকবেন।

(০৩)
আপনার বিবাহ আগেই (২০১১ সালেই) হয়ে গিয়েছিলো।
এই রেজিষ্ট্রেশন শুধুমাত্র সরকারি আইন মানা মাত্র।
আর কিছু নয়।

(০৪)
"তুই আমাকে কল দিবিনা" এটি বলার দ্বারা তালাক হবেনা। 

"তুই যা" এটি তালাকের নিয়ত ছাড়া বললে এতে তালাক হবেনা।

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে "তুই বাদ, তোর সাথে সম্পর্ক নাই,তুই বাতিল" বলার দ্বারা নিয়ত ছাড়াই তালাক পতিত হবে। 
কেননা এটি মুযাকারায়ে তালাক ছিলো।

বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (8 points)
হুজুর আমি ২ নং প্রশ্নের উত্তর টা আলাদা ভাবে জানতে চেয়েছিলাম জে এভাবেও বিসমিল্লাহ বলার প্রকবুল না বলে শুধুমাত্র কবু বলার দ্বারা কি বিয়ে হয়েছে কিনা।সবাই কবুল শুনেছে কিন্তু আমি বলসি কবু।২ নং প্রশ্ন টা আপনি কষ্ট করে আবার পরে আমাকে উত্তর দিবেন। যাজাকাল্লাহ 
by (573,660 points)
শুধু বিসমিল্লাহ বলার দ্বারা বিবাহ শুদ্ধ হবেনা।
"বিসমিল্লাহ কবু" বললে বিবাহ হয়ে যাবে।
by (8 points)
edited by
হুজুর ৪ নং প্রশ্নের ক্ষেত্রে স্ত্রী যদি আগে বলে আমাকে ছেড়ে দে আর স্বামী যদি উত্তর দেয় তুই যা, তোর সাথেই সম্পর্ক শেষ, তুই বাদ, তুই বাতিল, তোর মতো বৌ দরকার নাই, তুই না থাকলে কি হবে তাহলে কি তালাক হয়ে যাবে? তালাকের নিয়ত না থাকলেও???
আরেকটা প্রশ্ন হলো স্বামী যদি স্ত্রীকে বলে তুই যা আর তালাকের অধিকার প্রাপ্তা স্ত্রী যদি বলে আমি যাবোগা আমি থাকবোনা তোমার সাথে তাহলেকি  তালাক হয়ে যাবে?? মহিলার নিজের ওপর তালাক নেয়ার নিয়ত না থাকলেও???
by (573,660 points)
(০১)
তালাক হয়ে যাবে।

(০২)
এতে তালাক হবেনা।
by (8 points)
স্বামী তালাক দিবো বলার পরে স্ত্রী যদি বলে ছেড়ে দে তারপর স্বামী যদি তালাকের নিয়ত ছাড়া বলে তুই যা, তুই বাদ, তোর সাথে সম্পর্ক শেষ, তোর মতো বৌ দরকার নাই এসব উত্তর দিলে তালাক হবেনা কিন্তু স্ত্রী যদি আগে বলে আমাকে ছেড়ে দে আর স্বামী যদি তালাকের নিয়ত ছাড়া বলে তুই যা তুই বাদ তোর সাথে সম্পর্ক শেষ তুই বাতিল, তোর মতো  বৌ দরকার নাই তাহলে তালাক কেনো হবে? বিষয়টা তো একই???ব্যাপারটা বুঝিয়ে বলবেন 
by (573,660 points)
উভয় ছুরতেই তালাক হবে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...