জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
আপনার নামাজ হয়েছে।
পুনরায় ফজরের নামাজ পড়ার প্রয়োজনীয়তা ছিলোনা।
এটি নফল হিসেবে ধর্তব্য হবে।
(০২)
হ্যাঁ, এক্ষেত্রে ৬০% কে সঠিক ধরে নিয়ে নামাজ চালিয়ে যাবেন।এক্ষেত্রে শেষে সিজদা সাহু দিতে হবেনা।
এটিকে প্রবল ধারণা বলে।
আরো জানুনঃ-
(০৩)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
আয়েশা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
لاَ يَقْبَلُ اللَّهُ صَلاَةَ حَائِضٍ إِلاَّ بِخِمَارٍ
আল্লাহ তাআলা খিমার পরিধান করা ব্যতীত কোন প্রাপ্ত বয়স্কা নারীর নামাজ কবুল করেন না। (সুনান আবু দাউদ ৬৪১)
ﻭَﻟِﻠْﺤُﺮَّﺓِ ﺟَﻤِﻴﻊُ ﺑَﺪَﻧِﻬَﺎ ﺧَﻠَﺎ ﺍﻟْﻮَﺟْﻪِ ﻭَﺍﻟْﻜَﻔَّﻴْﻦِ ﻭَﺍﻟْﻘَﺪَﻣَﻴْﻦ
মুখমণ্ডল, দুই হাত কবজি পর্যন্ত ও টাখনুর নিচে পায়ের পাতা ছাড়া মহিলাদের সারা শরীরই সতর। (রদ্দুল মুহতার ১/৪০৪)
আরো জানুনঃ-
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
“মুখমণ্ডের পরিসীমা হল, মাথার চুল গজানোর স্থান থেকে নিয়ে চোয়ালের হাড়ের শেষ পর্যন্ত এবং দু পাশে দু কান পর্যন্ত।”
তাহলে আমরা জানতে পারলাম যে, থুতনি বা চোয়ালের হাড়ের শেষ পযর্ন্ত চেহারার অন্তর্ভুক্ত। (তার নিচের অংশ চেহারার অন্তর্ভুক্ত নয়।)
তাই নিজে নিজের থুতনিতে হাত দেয়ার পর চোয়ালের যে হাড়ের সন্ধান পাওয়া,সে পর্যন্ত নামাজে খোলা রাখা যাবে।
এই হাড়ের নিচে গোশত যেখান থেকে শুরু হয়েছে,সেখান থেকে ঢাকতে হবে।
(০৪)
সমস্যা নেই।
তবে উক্ত স্থানের কোথাও শুস্ক না থাকলে অযথা পানি খরচ করলে অপচয় হিসেবে ধরা হবে।
(০৫)
না,আলাদা করে অযু করতে হবেনা।
বিস্তারিত জানুনঃ-
(০৬)
এমনিতেই মনে মনে বলাটাই যথেষ্ট।
তদুপরি মনে মনে নিয়তের পাশাপাশি শুধু বাংলায় প্রশ্নে উল্লেখিত পদ্ধতিতে নিয়ত করতে পারেন।
(০৭)
পুনরায় আসরের নামাজ পড়ার প্রয়োজনীয়তা ছিলোনা।
আগের নামাজ গুলির ফরজ ওয়াজিব আদায় হয়ে থাকলে কোনো সমস্যা নেই।