আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
191 views
in ওয়াসওয়াসা by (17 points)
edited by
আমি একজন চরম ওয়াসওয়াসার রুগী। কিছু পরামর্শ চাই
আমি ১ বছর যাবত ওসিডি রোগে ভুগছি। কোন ভাবেই সুস্থ হতে পারছিনা। ডাক্তার দেখাইছি, আলেমদের পরামর্শ গ্রহণ করেছি তবুও কাজ হচ্ছে না। এক মুফতি হুজুর আমার উপর বিরক্ত হয়ে বলে দিয়েছেন আমি পাগল আমার উপর শরিয়তের কোন মাসআলা নাই। আমি সুস্থ হতে চাই। ৩ টি বিষয়ের উপর আমার মারাত্মক ওয়াসওয়াসা রয়েছেঃ- ঈমান, তালাকের ব্যাপারে, পবিত্রতার ব্যাপারে। একেক সময় আমাকে একেকটা আক্রমণ করে। বর্তমানে আমি পবিত্রতার ব্যাপারে ওয়াসওয়াসায় ভুগছি। কিছুদিন পর এটা বাদ দিয়ে হয়তো ঈমানের ওয়াসওয়াসা যুক্ত হবে। এখন আমি প্রশ্রাব ও পায়খানা করতে খুবই ভয় পাই।

১. কিছুদিন পূর্বে (তখন পবিত্রতার ব্যাপারে এত ওয়াসওয়াসা ছিল না, কিন্তু বর্তমানে মারাত্মক ওয়াসওয়াসা) আমি আমার নাপাক গেঞ্জি বিছানায় রেখেছিলাম। আমার ধারণা যে, আমি রাতে রেখেছিলাম। পরেরদিন সকালে আমার বোন সেই নাপাক গেঞ্জি একটি কাঠের চেয়ারের মাথায় রাখে। চেয়ারটি লাল প্রলেপযুক্ত। সেই যদি ভেজা কাপড় দিয়ে ঘষলে সেই কাপড় কি নাপাক হয়ে যাবে?
আমি যেই ভয় পাচ্ছিঃ এমনতো হতে পারে নাপাকি ভেজা ছিল, কিংবা আমি আমি যখন নাপাক কাপড় রেখেছি ঠিক তখনই আমার বোন চেয়ারে কাপড় রেখে দিয়েছে? যদিও এটা হওয়ার সম্ভবনা খুবই কম। আমার চিন্তা ভাবনা শুধু নেগেটিভ এর দিকেই যাই। যেমনঃ প্রচুর হাত ধোয়ার পরও মনে হয় হাত ধোয়া হয়নি।
আমি যদি ওয়াসওয়াসা ভেবে উক্ত চেয়ারকে পাক মনে করি এবং সত্যিই নাপাক হয়ে থাকে তাহলে সেই নাপাক চেয়ারে ভেজা হাত রাখলে পাক থাকবে?

২. আমার পক্ষে নাপাক থেকে বেচে থাকা প্রায় অসম্ভব। যেমনঃ কোন কাপড়ে নাপাক লেগে শুকিয়ে গেছে তবুও আমি হাত দিলে তা ভেজা থাকার ভয় হয়। চেক করতে করতে আমি ক্লান্ত। আমি আমার স্বাভাবিক চেতনা হারিয়ে ফেলেছি।

৩. আমি যেই বিছানায় ঘুমাই সেই বিছানার তোষক নাপাক। সেখানে বীর্য লেগেছিল। কিন্তু তোষকে চাদর বিছানো সেটা পাক। গতকাল আমি বাইক ১ কিলোমিটার বাইক চালিয়েছি। বাইকে চড়ার পূর্বে বাইকটি কুয়াশায় অনেক ভেজা ছিল। বাইক থেকে নেমে আমি ভাত খেয়ে শুয়ে পড়েছি। আমার পাঞ্জাবী পায়জামা কালো কালারের এবং খুবই পাতলা। আমি সেই পাঞ্জাবি ও পায়জামা পড়েই সেই বিছানায় শুয়ে পড়েছি। এখন আমার ভয় হচ্ছে যে, বিছানার চাদর ভিজে কি আমার কাপড়, বিছানার চাদর ও গায়ে দেওয়া লেপ নাপাক হয়ে গিয়েছে? কারণ,  আমি তো কুয়াশাযুক্ত বাইকে বসেছিলাম। লেপ পাতলা কাভারযুক্ত।

৪. আমি যদি সুস্থ হতে চাই তাহলে আমাকে কি করতে হবে?
৫. ছয় দিন আগে রাতে ভেসিনে বীর্যযুক্ত নাপাক হাত ধুয়েছিলাম। ভেসিনটি প্রতিদিন আমরা ব্যবহার করি। আজ সেই ভেসিন থেকে ছিটা এসে আমার শরীরে লেগেছে। শরীর ও কাপড়ে কি নাপাক হয়ে গেছে?

৬. "আল্লাহর বিধান কে উত্তম মনে করি তাহলে এই ব্যাপারে ওয়াসওয়াসা অনুযায়ী কোন কাজ করবো না" এটি বলা যাবে কি না?
আপনি উত্তরে বলেছেনঃ বলা যাবে।

আমার প্রশ্নঃ এটি বলার পরও যদি আমি সেই ব্যাপারে ওয়াসওয়াসা অনুযায়ী কাজ করে ফেলি তাহলে কি ঈমান চলে যাবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৬১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

তালাকের ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/835

ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1379

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

(১) সন্দেহ দ্বারা কোনো হুকুম আরোপিত হয় না। সুতরাং এরকম সন্দেহ পরিত্যাগ করতে হবে।

(২) আপনি অযথাই টেনশন নিচ্ছেন। এই টেনশনকে পরিহার করতে হবে।

(৩) কুয়াশার সন্দেহ দ্বারা আপনার শরীর বা কাপড় নাপাক হবে না।

(৪) প্রথমত আপনাকে ওয়াসওয়াসা বাদ দিতে হবে।তারপর আপনি নেককার কোনো ব্যক্তির সংস্পর্শ  গ্রহণ করবেন।

(৫)  যেহেতু ভেসিনটি প্রতিদিন আমরা ব্যবহার করেনন, তাই ৬ দিন পর সেই ভেসিন থেকে পানির ছিটা দ্বারা কোনো হুকুম আরোপিত হবে না। আপনার কাপড় নাপাক হবে না।

(৬) "আল্লাহর বিধান কে উত্তম মনে করি তাহলে এই ব্যাপারে ওয়াসওয়াসা অনুযায়ী কোন কাজ করবো না" এটি বলা যাবে কি না?
আপনি উত্তরে বলেছেনঃ বলা যাবে।

আমার প্রশ্নঃ এটি বলার পরও যদি আমি সেই ব্যাপারে ওয়াসওয়াসা অনুযায়ী কাজ করে ফেলি তাহলে কি ঈমান চলে যাবে?

উত্তর না, ঈমান চলে যাবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...