আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
151 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম

১ হুজুর আমার সবসময় নন মাহরাম এর চিন্তা মাথায় আসে । কোন অশ্লীল চিন্তা না আসলেও সবসময় নন মাহরাম এর চিন্তা আসে। কেউ আমার প্রতি ইমপ্রেস হচ্ছে বা আমি কারো প্রতি ইমপ্রেস হচ্ছি এরকম হাবিজাবি ভাবনা আসে। আমি বাহিরে কোথাও যেতে পারিনা। কোন নন মাহরাম কে দেখলেই মনে হয় সে আমার প্রতি আকর্ষিত হয়ে গেছে, তাকে দেখলে আমিও তার প্রতি আকর্ষিত হয়ে যাবো।  মনে হয় আমার অন্তর অপবিত্র হয়ে গেছে। হুজুর আমি এর থেকে বাঁচতে চাই । এসব চিন্তা কেন আসে? এর থেকে বাঁচার উপায় কি?
২ কোন নন মাহরাম এর চিন্তা মাথায় আসলে কি অন্তরের যেনাহের গুনাহ হয়?
৩ হুজুর কিভাবে সবসময় ইস্তেগফার করতে পারি । দুনিয়াবি কাজে ব্যাস্ত হয়ে পড়ি ভুলে যাই।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
অন্তরে গুনাহ ধারণকারীদের ধমকি স্বরূপ আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেনঃ
ﻳَﻌْﻠَﻢُ ﺧَﺎﺋِﻨَﺔَ ﺍﻟْﺄَﻋْﻴُﻦِ ﻭَﻣَﺎ ﺗُﺨْﻔِﻲ ﺍﻟﺼُّﺪُﻭﺭُ
চোখের চুরি এবং অন্তরের গোপন বিষয়সমূহ তিনি জানেন।(সূরা আল-মু'মিন-১৮;)

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,নবীজী সাঃ বলেনঃ
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﻋﻦ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : " ﺇﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﻛﺘﺐ ﻋﻠﻰ ﺍﺑﻦ ﺁﺩﻡ ﺣﻈﻪ ﻣﻦ ﺍﻟﺰﻧﺎ ، ﺃﺩﺭﻙ ﺫﻟﻚ ﻻ ﻣﺤﺎﻟﺔ ، ﻓﺰﻧﺎ ﺍﻟﻌﻴﻦ ﺍﻟﻨﻈﺮ ، ﻭﺯﻧﺎ ﺍﻟﻠﺴﺎﻥ ﺍﻟﻤﻨﻄﻖ ، ﻭﺍﻟﻨﻔﺲ ﺗﻤﻨَّﻰ ﻭﺗﺸﺘﻬﻲ ، ﻭﺍﻟﻔﺮْﺝ ﻳﺼﺪﻕ ﺫﻟﻚ ﻛﻠﻪ ﻭﻳﻜﺬﺑﻪ "
নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা লাওহে মাহফুযে আদম সন্তানদের জন্য (নিম্নোক্ত কারণে) যিনার একটা অংশ লিখে রেখেছেন,যার শাস্তি সে অবশ্যই উপভোগ করবে।চোখের যিনা হচ্ছে বেগানা নারীর দিকে দৃষ্টি দেওয়া।জবানের যিনা হচ্ছে উক্ত মহিলার সাথে কথা বলা।অন্তরের যিনা হচ্ছে মনে মনে যিনার আশা-আখাঙ্কা করা।আর লজ্জাস্থান কখনো যিনাকে বাস্তবায়িত করে আবার কখনো করে না।(সহীহ বুখারী-৫৮৮৯; সহীহ মুসলিম-২৬৫৭;মিরকাত-৮৬;)

মোল্লা আলী ক্বারী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় বলেনঃ
وفيه دلالة على أن التمني إذا استقر في الباطن، وأصر صاحبه عليه، ولم يدفعه يسمى زنا، فيكون معصية، ويترتب عليه عقوبة، ولو لم يعمل فتأمل.
এত্থেকে বুঝা গেলো যদি যিনার আশা-আখাঙ্কা মনের গভীরে স্থান করে নেয়,এবং সে নিয়মিত উক্ত চিন্তাকে মনের ভিতর লালন-পালন করে, বিসর্জন দেয়না, তাহলে এটাও যিনা বলে সাব্যস্ত হবে,এবং গুনাহ হবে। এ জন্য তাকে শাস্তি ভোগ করতে হবে,যদিও সে তার উক্ত চিন্তাকে বাস্তবায়িত করেনি। (মিরকাত ৮৬ হাদীসের আলোচনা দ্রষ্টব্য) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/510

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) নন মাহরামের চিন্তা থেকে সর্বদা নিজেকে দূরে রাখার চেষ্টা করুন। বিয়ের সামার্থ্য থাকলে অতিদ্রুত বিয়ে করে নিন। সামার্থ্য না থাকলে রোযা রাখুন।

(২) অন্তরের যিনার কামনা বাসনাকে লালন করলে যিনার গোনাহ হবে।

(৩) যখনই অবসর থাকবেন, ইস্তেগফার করবেন। পাশাপাশি কাজ করে করেও ইস্তেগফার করতে থাকবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...