আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
137 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (8 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ,

কাফেরদের সম্পদ কি মুসলমানদের জন্য ভোগ করা জায়েজ হবে? যেমন: কাফেরদের তৈরি কোনো সফটওয়ার কিংবা তাদের কাজ থেকে জুলুম করে ভোগ করে কোনো বাড়ি, গাড়ি, জমি, অর্থকড়ি ইত্যাদি। এক আলেমের মুখে বলতে শুনেছি কাফেরদের সম্পদ জুলুম করে ভোগ করা মুসলমানদের জন্য জায়েজ রয়েছে। দলিল হিসেবে রসুল সা: সীরাতের ঐই ঘটনা ব্যাখ্যা করেন যেখানে মুসলমানরা যুদ্ধে বিজয়ের পর কাফেরদের সম্পদ লুঠ করেছেন। অনলাইনেও একটা ফতোয়া দেখলাম যেখানে বলা হয়েছে: "হারবি কাফেরদের সকল সম্পদ মুমিনদের জন্য হালাল, যতক্ষণ না তারা আমাদের সঙ্গে কোনো চুক্তির আওতায় আসে এবং তাদের সম্পদ সংগ্রহে তাদের সঙ্গে কৃত কোনো চুক্তি বা ওয়াদা ভঙ্গ করা না হয়।" রেফারেন্স: হেদায়া: ৩/৬৫; ফিকহুল বুয়ু: ১/২৮৬; ইসলাম সুওয়াল জাওয়াব: ১০২৩৫২, ২২৬২৩০, ২৩৪১৯৬; মিম্বারুত তাওহিদ: ২৯৩১, ২৭৮৫, ২২৮৫; দরসুল ফিকহ-হাটহাজারি: ২/৩৮৩, ৩৮৬; দারুল উলুম দেওবন্দ (ওয়েবসাইট): ১৫২৮৫৯, ১৫৬৫১৯; ফাতাওয়া বিন্নুরি টাউন (ওয়েবসাইট): ১৪৩৯০৯২০১৫৯৭, ১৪৪২০১২০১২১২।

1 Answer

0 votes
by (598,140 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
অন্যর মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত কারো জন্য হালাল হয় না।বিদায় এসব পরিত্যাজ্য।
কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ
তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু। (সূরা নিসা(২৯)

এবং হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,
عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ " 
নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য  অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না। (তালখিসুল হাবীর-১২৪৯)আরো জানুন- https://www.ifatwa.info/1382


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
একজন মুসলমানের জন্য অন্যকারো মাল চায় সে মুসলিম হোক বা অমুসলিম জায়েয হবে না।তথা মুসলিম হোক বা অমুসলিম ঐ ব্যক্তির মাল কোনো মুসলমানের জন্য হালাল হবে না। হ্যা, যখন মুসলমানদের আমিরের নির্দেশে মুসলমানরা কোনো অমুসলিম দেশের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হবে, তখন অমুসলিমের জান মাল মুসলমানের জন্য হালাল হবে। কিন্তু যদি অমুসলিমরা বিজয় লাভ করে, তখন যুদ্ধের নিয়ম অনুসারে মুসলামনদের মালের উপর তারা হস্তক্ষেপ করে নিবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (8 points)
জাজাকাল্লাহ খাইরন উত্তর দেওয়ার জন্য। কিন্তু মুহতারম উত্তরটি পেয়ে আমি সন্তুষ্ট নয়। আমার মূল প্রশ্নটা হল পাইরেটেড সফটওয়ার ইস্যু নিয়ে। আপনাদের এই ধরণের আরো কিছু উত্তর পড়ে দেখেছি পূর্বের পোষ্টগুলোতে। কিন্তু উত্তরগুলো অন্য আলেমদের ফতোয়া সাথে উল্টো মনে হলো। আমি একটি লিংক দিয়েছি।
 https://prnt.sc/JAbV-KHVeD8P 
দয়া করে লিংকটিতে দিখবেন fatwaa.org তে বলা হয়েছে যেহেতু এইধরণের এপ কিংবা সফটওয়ার এর বেশিরভাগই কাফেরদের তৈরি। তাই তাদের সম্পদ পাইরেট করে ব্যবহার করা জায়েজ বলেছেন। শুধু তাই না, আরো বলা হয়েছে "হারবি কাফেরদের সকল সম্পদ মুমিনদের জন্য হালাল, যতক্ষণ না তারা আমাদের সঙ্গে কোনো চুক্তির আওতায় আসে এবং তাদের সম্পদ সংগ্রহে তাদের সঙ্গে কৃত কোনো চুক্তি বা ওয়াদা ভঙ্গ করা না হয়।
একটি বিস্তারিত উত্তরের অপেক্ষায় রইলাম। আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...