আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
484 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (37 points)
  1. জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ। এখানে ফি সাবিলিল্লাহ  অর্থ কি ?

  2. আল্লাহ কাফেরদের জন্য জাহান্নাম হারাম করেছেন  এটা কোরআনের কোন আয়াতে রয়েছে ?

  3. সহীহ মুসলিমের 622 নম্বর হাদিসের ব্যাখ্যা জানতে চাই ?

  4. ঈমানের   6টি এবং ইসলামের পাঁচটি  স্তম্ভ  যেগুলো রয়েছে এগুলোর মধ্যে যেকোন একটাতে কেউ যদি বিশ্বাস না করে তাহলে সে কি কাফের হয়ে যাবে ?

  5. তোমরা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অভিপ্রায়ের বাইরে অন্য কিছুই ইচ্ছা করতে পার না। (সূরা তাকবীর-২৯) – এটার ব্যাখ্যা কি?

  6. ট্রান্সজেন্ডার এবং হিজড়াদের মধ্যে পার্থক্য কি ?  তাদের সাথে লেনদেন বা বিবাহের ক্ষেত্রে ইসলামের বিধান কি ?

1 Answer

0 votes
by (657,800 points)
edited by
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
কোরআন-হাদীসের অধিকাংশ স্থানে ব্যবহৃত "সাবিলুল্লাহ"দ্বারা জিহাদ উদ্দেশ্য। তবে কিছু স্থানে অন্যান্য বিষয় যেমন হাজ্বী, ইলম অন্বেষণকারী ইত্যাদিও উদ্দেশ্য হয়ে থাকে।

বিস্তারিত জানুনঃ 
,
(০২)
সুরা বাইয়্যিনাহ এর ৬ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ وَالْمُشْرِكِينَ فِي نَارِ جَهَنَّمَ خَالِدِينَ فِيهَا أُولَئِكَ هُمْ شَرُّ الْبَرِيَّة 

 নিশ্চয় কিতাবীদের মধ্যে যারা কুফরী করেছে ও মুশরিকরা, জাহান্নামের আগুনে থাকবে স্থায়ীভাবে। ওরাই হল নিকৃষ্ট সৃষ্টি।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ -رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ- عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ: «يَلْقَى إِبْرَاهِيمُ أَبَاهُ آزَرَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، وَعَلَى وَجْهِ آزَرَ قَتَرَةٌ وَغَبَرَةٌ، فَيَقُولُ لَهُ إِبْرَاهِيمُ: أَلَمْ أَقُلْ لَكَ لَا تَعْصِنِي؟ فَيَقُولُ أَبُوهُ: فَالْيَوْمَ لَا أَعْصِيكَ. فَيَقُولُ إِبْرَاهِيمُ: يَا رَبِّ إِنَّكَ وَعَدْتَنِي أَنْ لَا تُخْزِيَنِي يَوْمَ يُبْعَثُونَ فَأَيُّ خِزْيٍ أَخْزَى مِنْ أَبِي الْأَبْعَد؟ِ فَيَقُولُ اللَّهُ تَعَالَى: إِنِّي حَرَّمْتُ الْجَنَّةَ عَلَى الْكَافِرِينَ، ثُمَّ يُقَالُ: يَا إِبْرَاهِيمُ مَا تَحْتَ رِجْلَيْكَ فَيَنْظُرُ فَإِذَا هُوَ بِذِيخٍ مُلْتَطِخٍ فَيُؤْخَذُ بِقَوَائِمِهِ فَيُلْقَى فِي النَّارِ » . ( خ ) صحيح 

 আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “কিয়ামতের দিন ইবরাহিম তার পিতা আযরের সাথে দেখা করবে, তার চেহারার ওপর থাকবে বিষণ্ণতা ও ধুলো-বালি (অবসাদ)। ইবরাহিম তাকে বলবে, আমি কি তোমাকে বলিনি আমার অবাধ্য হয়ো না? অতঃপর তার পিতা তাকে বলবে: আজ তোমার অবাধ্য হব না। অতঃপর ইবরাহিম বলবে: হে আমার রব, আপনি আমাকে ওয়াদা দিয়েছেন যেদিন উঠানো হবে আমাকে অসম্মান করবেন না, আমার পতিত পিতার অপমানের চেয়ে বড় অপমান কি! অতঃপর আল্লাহ বলবেন, নিশ্চয় আমি কাফেরদের ওপর জান্নাত হারাম করে দিয়েছি। অতঃপর বলা হবে, হে ইবরাহিম তোমার পায়ের নিচে কি? সে দেখবে তার পিতা আচমকা রক্ত-ময়লায় নিমজ্জিত হায়েনায় পরিণত হয়েছে, তখন তার পা পাকড়াও করে তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে”। [বুখারি শরিফ] হাদিসটি সহিহ।

(০৩)
হাদীসটি হলো

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ زَيْنَبَ بِنْتَ أُمِّ سَلَمَةَ، حَدَّثَتْهُ أَنَّ أُمَّ سَلَمَةَ حَدَّثَتْهَا قَالَتْ، كَانَتْ هِيَ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَغْتَسِلاَنِ فِي الإِنَاءِ الْوَاحِدِ مِنَ الْجَنَابَةِ .

মুহাম্মাদ ইবনু আল মুসান্না (রহঃ) ..... উম্মু সালামাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, তিনি এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একই পাত্রে অপবিত্রতার গোসল করতেন।
 (মুসলিম শরীফ ৬২২.৩২৪ ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৬২৬, ইসলামিক সেন্টারঃ ৬৪১ বুখারী ৩২২, আহমাদ ২৬০২৬, ২৬১০৬, ২৬১৬৩, ২৬১৬৭; দারিমী ১০৪৫। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।) 
,
ব্যাখ্যাঃ
এই হাদীসের উপর ভিত্তি করে ইসলামী স্কলারদের মত হলো স্বামী স্ত্রী একই পাত্র থেকে পানি নিয়ে গোসল করা জায়েজ আছে।

أن أوانيهم كانت صغارا 
أي: نحو الصاع
বুঝা যায় যে তাদের পাত্র ছোট ছিলো। এক সা' সমপরিমাণ । 

(০৪)
হ্যাঁ কাফের হয়ে যাবে। 

(০৫)
সুরা তাকবিরের ২৯ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

وَ مَا تَشَآءُوۡنَ اِلَّاۤ اَنۡ یَّشَآءَ اللّٰهُ رَبُّ الۡعٰلَمِیۡنَ ﴿۲۹﴾

আর তোমরা ইচ্ছা করতে পার না, যদি না সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহ ইচ্ছা করেন। 

এই আয়াতের ব্যখ্যায় তাফসীরে জাকারিয়াতে এসেছেঃ

অর্থাৎ তোমরা সরল পথে চলতে চাইলে এবং আল্লাহর দ্বীনের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকতে চাইলেই থাকতে পারবে না। যতক্ষণ আল্লাহ ইচ্ছা না করবেন। সুতরাং তাঁর কাছেই তাওফীক কামনা করো। তবে এটা সত্য যে, কেউ যদি আল্লাহর পথে চলতে ইচ্ছে করে তবে আল্লাহ্ও তাকে সেদিকে চলতে সহযোগিতা করেন। মূলত আল্লাহর ইচ্ছা হওয়ার পরই বান্দার সে পথে চলার তাওফীক হয়। বান্দার ইচ্ছা আল্লাহর ইচ্ছা অনুসারেই হয়। তবে যদি ভাল কাজ হয় তাতে আল্লাহর সস্তুষ্টি থাকে, এটাকে বলা হয় ‘আল্লাহর শরীয়তগত ইচ্ছা’। পক্ষান্তরে খারাপ কাজ হলে আল্লাহর ইচ্ছায় সংঘটিত হলেও তাতে তাঁর সন্তুষ্টি থাকে না। এটাকে বলা হয় ‘আল্লাহর প্রাকৃতিক ইচ্ছা’। এ দু' ধরনের ইচ্ছার মধ্যে পার্থক্য না করার কারণে অতীতে ও বর্তমানে অনেক দল ও ফেরকার উদ্ভব ঘটেছে। [দেখুন: ইবন তাইমিয়্যাহ, আল-ইস্তেকামাহ: ১/৪৩৩; মিনহাজুস সুন্নাহ: ৩/১৬৪]

তাফসীরে আহসানুল বায়ানে উল্লেখ রয়েছেঃ
অর্থাৎ, তোমাদের ইচ্ছা আল্লাহর তওফীকের উপর নির্ভরশীল। যতক্ষণ পর্যন্ত তোমাদের ইচ্ছায় আল্লাহ ইচ্ছা এবং তাঁর তওফীক শামিল না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তোমরা সরল পথ অবলম্বন করতে পারবে না। এটা সেই বিষয় যা إنك لا تهدي من أحببت অর্থাৎ, ‘তুমি যাকে ইচ্ছা কর, তাকে হিদায়াত করতে পার না।’(সূরা ক্বাস্বাস ৫৬ নং) প্রভৃতি আয়াতে বর্ণিত হয়েছে।
,
(০৬)
ট্রান্সজেন্ডার মানে এক লিঙ্গ থেকে আরেক লিঙ্গে রূপান্তর।
জানুনঃ 
,
হিজড়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...