আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
346 views
in পবিত্রতা (Purity) by (17 points)
edited by
১. আজকে প্রশ্রাব করার পর হাটার সময় মনে হল ১ ফোটা বের হয়ে গেছে। এটা সব সময় হয় না। চেক করিনি। আমার প্যান্ট কি নাপাক ধরবো? আমি যদি এটা ওয়াসওয়াসা ভেবে পাক মনে করি এবং সত্যিই নাপাক হয়ে থাকে তাহলে তো সবই নাপাক হয়ে যাবে। কারণ, আমি তো এই প্যান্ট অন্যান্য কাপড়ের সাথে ১ বারই ধৌত করবো।
আমার প্রচুর ওয়াসওয়াসা রয়েছে।

 ওয়াসওয়াস শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে গিয়েছি।
কিছুই ভাল লাগছেনা। মারাত্মক কষ্ট এ আছি ভাই।

২. যদি প্রবল ধারণা হয় যে পাক, তবুও ভয় হয় যদি নাপাক হয়ে যায়? এক্ষেত্রে কোন দিকে যাবো?

৩. পাক - নাপাক যদি সমান ধারণা হয় তাহলে কোন দিকে যাবো?

৪. "আমি যদি আল্লাহর বিধান কে উত্তম মনে করি তাহলে এই ব্যাপারে ওয়াসওয়াসা অনুযায়ী কোন কাজ করবো না" - এটি কি বলা যাবে? নিজেকে ওয়াসওয়াসা থেকে আটকানোর জন্য?

৫. আমি পবিত্রতা নিয়ে প্রচুর বাড়াবাড়ি করি। যেমনঃ একটু সন্দেহ হলেই কাপড় ধুয়ে ফেলি। একটা স্থান আসলেই নাপাক হয়েছিল। আমি আমার বোন কে জিজ্ঞেস করেছিলাম সে এটি ধুয়েছে কি না? সে বললো হ্যা ধুয়েছে। এখন সে যদি মিথ্যা বলে আর আমি যদি সেটা পাক মনে করি তাহলে কি আসলেই পাক হবে? সে হয়তো আমাকে শান্তনা দিতে মিথ্যা বলেছে।

৬. পায়জামায় ওদী লেগেছিল। আমি আজকে সকালে ধুইছি কি না কিছুইতেই মনে করতে পারতাছিনা। আমার মনে হয় ধুইছি, কারণ আমি নাপাক কাপড় আলাদা রাখি। তবুও ভয় কাজ করতাছে। পায়জামা কি পাক ধরবো নাকি নাপাক?

৭. পায়খানা করার হাত ধোয়ার পর যদি হাতে গন্ধ থাকে তাহলে কি হাত নাপাক? আমি পায়খানার পর হাত ধুয়েছি। এরপর আমি গেইটে ভেজা হাত দিয়ে স্পর্শ করেছি। কিছুক্ষণ পর মনে হল আমি নোখ পরিষ্কার করিনি সেখানে হয়তো পায়খানা থাকতে পারে। গেইট কি পাক আছে?
by (30 points)
আসসালামুআলাইকুম ভাই, আপনি ওয়াসাওয়াসা দুর করার জন্য বেশি বেশি আল্লাহর কাছে দোয়া করবেন। বেশি বেশি আউজুবিল্লাহ হিমিনাশ শায়তনির রজিম পড়বেন। দোয়া কুবল হওয়ার একটি পূর্বশর্ত হলো সকল প্রকার গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা। আপনি নিশ্চিত হৈস্থমৈথনের মত একটি ভয়ংকর গুনাহতে লিপ্ত। 
ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি মুফতিগন এখানে এসে কমেন্ট করার জন্য। আসলে ভাইটির সবগুলো পোস্ট পড়ে কমেন্ট না করে থাকতে পারলাম না। আমি ঐরকম ভুক্তভোগী ছিলাম। তবে এখন অনেকটা কমেছে আল্লাহর দয়ায়। আল্লাহ আমাকে সাহায্য না করলে, আমার প্রতি দয়া না করলে আমার কি হতো আল্লাহ ভালো জানেন।
by (17 points)
ভাই, আপনি কি ওসিডি তে আক্রান্ত ছিলেন? ডাক্তার দেখাইছিলেন?
by (590,550 points)
জাযাকুমুল্লাহ। 
by
হ্যাঁ ভাই আমি ওসিডিতি আক্রান্ত ছিলাম। ডাক্তার দেখাইনি।

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ইয়াকিন বিশ্বাস ব্যতিত কোনো হুকুম প্রমাণিত হয়না।
যেমন ইতিপূর্বে একটি মূলনীতি আমরা উল্লেখ করেছি যে,
আল্লামা ইবনে নুজাইম রাহ,লিখেন,
اﻟْﻘَﺎﻋِﺪَﺓُ اﻟﺜَّﺎﻟِﺜَﺔُ: اﻟْﻴَﻘِﻴﻦُ ﻻَ ﻳَﺰُﻭﻝُ ﺑِﺎﻟﺸَّﻚِّ
ﻭَﺩَﻟِﻴﻠُﻬَﺎ ﻣَﺎ ﺭَﻭَاﻩُ ﻣُﺴْﻠِﻢٌ ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻣَﺮْﻓُﻮﻋًﺎ {ﺇﺫَا ﻭَﺟَﺪَ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﻓِﻲ ﺑَﻄْﻨِﻪِ ﺷَﻴْﺌًﺎ ﻓَﺄَﺷْﻜَﻞَ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺃَﺧَﺮَﺝَ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْءٌ ﺃَﻡْ ﻻَ ﻓَﻼَ ﻳَﺨْﺮُﺟَﻦَّ ﻣِﻦْ اﻟْﻤَﺴْﺠِﺪِ ﺣَﺘَّﻰ
ﻳَﺴْﻤَﻊَ ﺻَﻮْﺗًﺎ، ﺃَﻭْ ﻳَﺠِﺪَ ﺭِﻳﺤًﺎ}
ভাবার্থঃতৃতীয় উসূল,ঈয়াক্বিন(দৃঢ় বিশ্বাস)সন্দের দ্বারা খতম হয় না।[তথা কারো কোনো বিষয় সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাস থাকলে, সে বিষয় সম্পর্কে বিপরিত কোনো সন্দেহের উদ্রেক হলে পূর্ব বিশ্বাসের কোনো ক্ষতি হবে না।অর্থাৎ নতুন করে জন্ম নেয়া সন্দেহ অগ্রহণযোগ্য ]

মুসলিম শরীফের সনদে বর্ণিত হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত হাদীস তার  উজ্জল দৃষ্টান্ত।
হাদীসটি এই,
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যদি কারো তার পায়ুপথে কিছু বের হওয়ার সন্দেহ হয়।এবং উক্ত বের হওয়া না হওয়া নিয়ে সে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যায়।তাহলে সে যেন মসজিদ থেকে (অজু করার নিমিত্তে) বের না হয়,যতক্ষণ না সে বায়ুর আওয়াজ শুনছে বা এর দুর্গন্ধ তার নাকে আসছে।(আল-আশবাহ ওয়ান-নাযাইর;১/৪৭)............ এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/293

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) প্রশ্রাব করার পর হাটার সময় যদি মনে হয় যে,এক ফোটা প্রস্রাব বের হয়ে প্যান্টে লেগেছে। এই প্রস্রাব বের হওয়া ইয়াকিন পর্যায়ে পৌছতে হবে।কাপড় চেক করে দেখতে হবে।যদি ইয়াকিন পর্যায়ে না পৌছে,তাহলে প্যান্ট নাপাক হবে না।

(২) যদি প্রবল ধারণা হয় যে পাক,তাহলে প্যান্ট নাপাক হবে না।

(৩)পাক - নাপাক যদি সমান ধারণা হয়, তাহলেও প্যান্ট নাপাক হবে না।

(৪)" আল্লাহর বিধান কে উত্তম মনে করি তাহলে এই ব্যাপারে ওয়াসওয়াসা অনুযায়ী কোন কাজ করবো না" এটি বলা যাবে।

(৫) পবিত্রতা নিয়ে প্রচুর বাড়াবাড়ি করা কখনো উচিৎ হবে না। যেমন, একটু সন্দেহ হলেই কাপড় ধুয়ে ফেলা,ইত্যাদি। এমনটা করা যাবে না।
কেউ পবিত্র সম্পর্কে খবর দিলে সে মিথ্যা বললেও তার এ খবরকে সত্য মনে করতে হবে।

(৬) পায়জামায় ওদী লেগেছিল।  ধৌত করা হয়েছে কি না? এ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না, তবে নাপাকি লেগেছে, সে সম্পর্কে নিশ্চিত, তাহলে পায়জামাকে নাপাক হিসেবেই ধরে নিতে হবে।

(৭) পায়খানা করার পর হাত ধোয়ার পরবর্তী যদি হাতে গন্ধ থাকে তাহলে হাত নাপাক হবে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...