আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
169 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (2 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহু,

হুজুর,

আপনাদের এই সাইট থেকে জানতে পেরেছি যে মেয়ে স্টুডেন্ট পড়ানো  হারাম এবং এর থেকে অর্জিত উপার্জন হারাম। আর শুনেছি যে------ _যে হারাম খায় তার ইবাদত এবং দোয়া কোনটাই কবুল হয় না। এখন আমি কিছু মেয়ে স্টুডেন্ট পড়াই সিঙ্গেল ভাবে এবং তারা কেউই তেমন পর্দা করে না। কিছু বাধ্যবাধকতার কারণে স্টুডেন্টগুলো ছাড়তে পারতেছি না।

প্রশ্ন-১: এখন এই ধরনের হারাম উপার্জন গ্রহন করার ফলে _-- এতদিন যাবত যে ইবাদত করে আসছিলাম এগুলো কি কবুল হয়নি ?

প্রশ্ন-২: হারাম জেনেও যদি মেয়ে স্টুডেন্ট পড়াতে থাকি এবং এই উপার্জন গ্রহণ করার ফলে বর্তমানে এখন যে আল্লাহ তা'আলার এবাদত এবং আল্লাহ তাআলার নিকট যে দোয়া করি এগুলো কি কবুল হবে না??

প্রশ্ন-৩: এই হারাম অর্থ দিয়ে খাদ্যজাতীয় অথবা ব্যবহার জনিত কোন জিনিস কিনলে তা ইসলামিক শরীয়া অনুযায়ী ব্যবহারের হুকুম কি হবে ((মানে জায়েজ হবে নাকি নাজায়েজ হবে))?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
নারীর জন্য পর্দা করা ফরয।পর্দার সারমর্ম হল,ফি মিক্সিং পরিবেশ থেকে যথাসম্ভব নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা।গায়রে মাহরাম পুরুষ থেকে সর্বদা নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখা।পর্দা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন-
https://www.ifatwa.info/572

বেগানা নারী-পুরুষ খালওয়াত তথা নির্জনে একাকী অবস্থান করতে পারবে না। হাদীসে একে নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়েছে.......
ﻻَ ﻳَﺨْﻠﻮﻥَّ ﺭَﺟُﻞٌ ﺑِﺎﻣْﺮَﺃﺓٍ ﺇِﻻَّ ﻭَﻣَﻌَﻬﺎ ﺫُﻭ ﻣَﺤْﺮَﻡ )
কোনো পুরুষ কোনো মহিলার সাথে মহিলার মাহরাম না থাকা অবস্থায় নির্জনে একাকী বসবাস করতে পারবে না।(সহীহ বুখারী-৫২৩৩;সহীহ মুসলিম-১৩৪১)

প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
পুরুষ শিক্ষক তিনি ছাত্রকে প্রাইভেট পড়াবেন।ছাত্রীদেরকে নারী শিক্ষকই প্রাইভেট পড়াবেন।যদি কোথাও পুরুষ শিক্ষক, ছেলে শিক্ষার্থীকে না পান,এবং মেয়ে শিক্ষার্থীরা, নারী শিক্ষিকা-কে না পায়।
এমন পরিস্থিতে শিক্ষার স্বার্থে কয়েকটি শর্তে বিপরিত লিঙ্গের কাউকে পড়ানোর ব্যাপারটা অনুমোদনযোগ্য হতে পারে।
(১)ফিতনার অাশংকা থাকতে পারবে না।যখনই শয়তান মনের মমধ্যে কিছু আনয়ন করবে,সাথে সাথেই তখন পড়ানোকে বাদ দিতে হবে।
(২)যতক্ষণ পড়াবেন ততক্ষণ মেয়ে শিক্ষার্থীর একজন মাহরাম পুরুষ সেখানে উপস্থিত থাকবেন।বা এক সাথে কয়েকজন মেয়ে শিক্ষার্থীকে পড়াবেন।
(৩)মেয়ে শিক্ষার্থীরা পরিপূর্ণ হেজাব পড়ে ক্লাস নিবেন।
(৪)মেয়ে শিক্ষার্থীর সাথে নরম ভাষায় কথা বলা যাবে না।
(৫)এছাড়া ফিতনামুক্ত পরিবেশ গড়ার যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করিতে হইবে।বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/4193

ছাত্রী পড়ানো সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1542

প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ফ্রি মিক্সিং পরিবেশে অথবা বিনা জরুরতে প্রাপ্ত বয়স্ক ছাত্রীদেরকে পড়ানো আপনার জন্য জায়েয হবে না। তবে পড়ানো বিনিময়ে যে অর্থ আপনি নিবেন, সেটা নাজায়েয হবে না।হ্যা, বিশেষ জরুরত হলে তখন পড়ানো জায়েয হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (2 points)
জাযাকাল্লাহ খাইরান***

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...