بسم الله
الرحمن الرحيم
জবাব,
https://www.ifatwa.info/1893 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
مِنْ
فَرَائِضِ الْإِسْلَامِ تَعَلُّمُهُ مَا يَحْتَاجُ إلَيْهِ الْعَبْدُ فِي إقَامَةِ
دِينِهِ وَإِخْلَاصِ عَمَلِهِ لِلَّهِ تَعَالَى وَمُعَاشَرَةِ عِبَادِهِ.
প্রত্যেক মুসলমানের
উপর ইসলামের ফরয বিধানসমূহ থেকে একটি ফরয হচ্ছে।
দ্বীন প্রতিষ্টা তথা এখলাছের সাথে তার উপর আমল করতে প্রয়োজনীয় জ্ঞানার্জন করা ও মানুষের
সাথে সদাচরণের জ্ঞানার্জন করা (ফরয)।
وَفَرْضٌ
عَلَى كُلِّ مُكَلَّفٍ وَمُكَلَّفَةٍ بَعْدَ تَعَلُّمِهِ عِلْمَ الدِّينِ
وَالْهِدَايَةِ تَعَلُّمُ عِلْمِ الْوُضُوءِ وَالْغُسْلِ وَالصَّلَاةِ
وَالصَّوْمِ، وَعِلْمِ الزَّكَاةِ لِمَنْ لَهُ نِصَابٌ، وَالْحَجِّ لِمَنْ وَجَبَ
عَلَيْهِ وَالْبُيُوعِ عَلَى التُّجَّارِ لِيَحْتَرِزُوا عَنْ الشُّبُهَاتِ
وَالْمَكْرُوهَاتِ فِي سَائِرِ الْمُعَامَلَاتِ. وَكَذَا أَهْلُ الْحِرَفِ،
প্রত্যেক মুকাল্লাফ-মুকাল্লাফাহ(আক্বেল-বালেগ
নর-নারী)এর উপর দ্বীনের প্রয়োজনীয় জ্ঞানার্জনের পর ফরয হচ্ছে,ওজু,গোসল,নামায এবং রোযা,এর জ্ঞান অর্জন করা।এবং নেসাবপ্রাপ্ত
মালের মালিকের উপর যাকাতের জ্ঞান অর্জন করা।এবং যার উপর হজ্ব ফরয,তার জন্য হজ্বের বিধি-বিধান অর্জন করা।এবং ব্যবসায়ীদের উপর ব্যবসা সম্পর্কিত
জ্ঞান অর্জন করা।এজন্য ফরয,যাতে তারা উক্ত বিষয় সম্পর্কিত বিভিন্ন
অস্পষ্টতা,সন্দেহ ও অপছন্দনীয় দিবসসমূহ থেকে অনায়াস বেছে থাকতে
পারে।ঠিকতেমনিভাবে পেশাজীবীদের জন্য সংশ্লিষ্ট পেশা সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করা ফরয।
ইবনে আবেদীন শামী
রাহ,জ্ঞান শিক্ষা ফরয সম্পর্কিত
একটি মূলনীতি তুলে ধরেন। যাকে আমাদের সামনে আসলে,ভবিষ্যৎ অনেক
অস্পষ্টতা দূরবিত হয়ে যাবে ইনশা'আল্লাহ।তিনি বলেনঃ
وَكُلُّ
مَنْ اشْتَغَلَ بِشَيْءٍ يُفْرَضُ عَلَيْهِ عِلْمُهُ وَحُكْمُهُ لِيَمْتَنِعَ عَنْ
الْحَرَامِ فِيهِ اهـ
এবং যে বক্তিই
কোনো জিনিষের সাথে সংশ্লিষ্ট হবে, তার উপর উক্ত বিষয় সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করা ফরয।যাতে করে উক্ত বিষয় ও বিষয়
সংশ্লিষ্ট সমস্ত হারাম থেকে সে অনায়াসে বেছে থাকতে পারে। (রদ্দুল মুহতার-১/৪২)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
ফরয পরিমাণ ইলম
শিক্ষা করা যেহেতু জরুরী। তাই আপনি জেনারেল শিক্ষার পাশাপাশি পার্ট টাইম দ্বীন শিক্ষা
গ্রহণ করবেন। এজন্য আপনি অনলাইনে নির্ভরযোগ্য
প্রতিষ্ঠান থেকে দ্বীনি শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবেন। অফলাইনে তো অনেক মাদরাসা
রয়েছে। বোনদের জন্য আমাদের প্রতিষ্ঠিত মুহাম্মদপুর বছিলা ব্রিজের পরে মধুসিটিতে অবস্থিত
মাদ্রাসাতুল মাদীনা রয়েছে। তবে বসুন্ধরা সংলগ্ন নির্দিষ্ট
কোন প্রতিষ্ঠান জেনারেল পড়ুয়া বোনদের জন্য উত্তম হবে তা আমাদের জানা নেই। তবে আপনার
পর্শবর্তী থানা হিসেবে আপনি নিম্নোক্ত প্রতিষ্ঠানগুলির খোজ নিতে পারেন:
১.রামপুরা জাতীয়
মহিলা মাদরাসা,৩১৭/৬,উলন রোড,পশ্চিম রামপুরা, ঢাকা৷ ০১৯২১৩৫২৫৬৫ । ২. নুসাইবা বালিকা মাদরাসা (দখিন বারিধারা),
মেরুল বাড্ডা,
ঢাকা। ৩.
তাহিরাতুন নিসা মহিলা মাদরাসা, ভাটারা বাড্ডা, ঢাকা। ৪. উম্মাহাতুল
মুমেনিন মহিলা মাদরাসা,ভাটারা
মোড়,গুলশান