আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
207 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (15 points)
আসসালামু আলাইকুম
কোন ছেলের সাথে বিয়ে হয় নাই। তবে আমার অন্য ছেলের সাথে বিয়ে হওয়ার পর ইজাব কবুল সম্পর্কে পড়ার পর বিয়ে নিয়ে ওয়াসওয়াসা আসতো কিন্তু পরে তা পরিস্কার ওয়াসওয়াসা তা শিওর হই কোন বিয়ে হয় নাই। ম্যাসেজ চ্যাটিং এ কবুল লিখার বিষয়ে আমার মা কথা বলছিল। তখন আমার কেন যেন মনে হচ্ছিল আমার মা যখন ছেলের সাথে এইসব বিষয়ে কথা বলছে তখন হয়তো সে বলছে ও তো আমার বৌ। ম্যাসেজ চ্যাটিং এ আমি কবুল লিখছিলাম কিনা প্রথম দিকে ওয়াসওয়াসা আসতো কিন্তু এখন শিওর কবুল লিখি নাই।  এবং এটাও শিওর যে ঐ ছেলে কখনো আমাকে বৌ বলে নাই এটাও ওয়াসওয়াসা।

আমার প্রশ্ন হলো

(১) যেহেতু আমার ওয়াসওয়াসা ছিল কবুল লেখার বিষয় টা নিয়ে এখন শিওর কবুল লিখি নাই।  ঐ ওয়াসওয়াসার কারণে শায়েখ দের কাছে আমি কবুল লিখছি বা লিখছিলাম এতে বিয়ে হয় কিনা এমন প্রশ্ন করার জন্য কোন মিথ্যাস্বীকারোক্তি বা আমার বর্তমান বৈবাহিক জীবনে কোন সম্যসা হবে কি না তালাক বা অন্য কিছু?( আমার মনে হয় আমি এমন ভাবে কোন শায়েখের কাছে এমন ভাবে প্রশ্ন করি নাই। তারপরও উত্তর দিবেন শায়েখ। )

(২) ছেলেটা বৌ বলে নাই আমাকে বা আমার মায়ের সামনে ও বৌ বলে নাই৷ কিন্তু আমি কোন আহলে হাদিস বা কোন শায়েখকে আমার বাবা মা আমার ওয়াসওয়াসার কারণে ঐ ছেলেটাকে প্রশ্ন করায় হ্যা ও তো আমার বৌ বলছে কারণ আমার সাথে ঐ ছেলে যোগাযোগ রাখতে চায় এমন কথা বলি এতেও কি মিথ্যা স্বীকারোক্তি বা এখন কার বৈবাহিক জীবনে কোন রকম কোন তালাক হবে?  ( ওই ছেলে আসলে এমন কিছু বলে নাই পুরোটাই আমার কল্পনা আমার ওয়াসওয়াসা। কারণ আমার মায়ের সাথে ঐ ছেলের কথা হইছিল ম্যাসেজের বিষয়টা বা কোন ইজাব কবুল হইছে কিনা এই বিষয়ে।  ছেলেটা বলছে না এমন কিছু হয় নাই।  আর আমিও শিওর বিয়ে জাতীয় কিছু হয় নাই। কিন্তু আমার মনে হতো আমার মা হয়তো বলছিল ঐ ছেলে বলছে ও তো আমার বৌ যা আমার ফোনে রেকর্ড করা আছে বা ম্যাসেজের বিয়ের বিষয় টা নিয়ে হয়তো বলছে বা আমি মাকে জিজ্ঞেস করলে সে হয়তো বলছে যে হ্যা বৌ বলছে।। কিন্তু ফোনে কোন রেকর্ড পাই নাই আর মাকে জিজ্ঞেস করলে সে বলছে আমি আমার মাকে এমন কোন কথা জিজ্ঞেস করি নাই। আর আমিও শিওর এখন এগুলো ওয়াসওয়াসা ঐ ছেলে বৌ বলে নাই।

(৩) আমি আমার মায়ের কাছে জিজ্ঞেস করছি যে আমি কখনো তোমাকে জিজ্ঞেস করছি যে ছেলেটা আমাকে বৌ বলে ডাকছিল কিনা সে বলছে হ্যা তুমি জিজ্ঞেস করছিলা আমি বলছি তুমি কি উত্তর দিছিলা সে বলছে যা বলছিলাম তাই আমার ওতো মনে থাকে না। পরে আবার জিজ্ঞেস করায় সে বলছে যে প্রথমে বুঝতে পারে নাই  পরে বলছে না তুমিও বলনাই ঐ ছেলেও বলে নাই। প্রথম বার আন্দাযে বলছি। আমি এরকম প্রশ্ন পরে আমার মাকে জিজ্ঞেস করছিলাম যে ঐ ছেলে কখনো আমাকে বৌ বলে ডাকছে কি না এটা আমার মনে পড়তিসে না। হয়তো জিঙেস করছি সে বলছে ঐ ছে লে বৌ বলে নাই। আমার মনে হয় আমি জিিজ্ঞেস করছি ঐ ছেলে কখনো মিথ্যাস্বীকারোক্তি বা বিয়ে হইছে বলছে কিনা আমার মা বলছে না বলে নাই। শায়েখ এমন প্রশ্ন করার জন্য কোন কিিছু হবে? কিন্তু এখন আমার মায়ের এমন কথা বলায়য় কোন সম্যসা হবে আমার বৈবাহিক জীবনে?

(৪) আমি শিওর ওয়াসওয়াসা আমার কখনো ইজাব কবুল হয় নাই ঐ ছেলের সাথে। ঐ ছেলে বৌ বললে আমার মায়ের সামনে বা মিথ্যা বললে কি কোন সম্যসা বা কিছু হতো আমার এখনকার বিবাহিত জীবনে? যেহেতু ওয়াসওয়াসার কারণে জিজ্ঞেস করা হইছিল ওর কাছে। কিন্তু আমার মনে পড়ে যায় যে সব ওয়াসওয়াসা ওকে জিজ্ঞেস করার আগে তারপর ও জিজ্ঞেস করছিলাম। তবে সে বলছে না কোন কিছু হয় নাই।

(৫) কেউ যদি সাক্ষী দের সামনে বলে আমি কিন্তু বিয়ে পড়াতে পারি। আমি সূরা বা দোয়া দুরুদ পড়তেসি তুমি কবুল বলো। কিন্তু মেয়েটা কবুল না বললে কি বিয়ে হবে?

(৬) ম্যাসেজে চ্যাটিংয়ে বিয়ে হয় না তারপর ও ছেলেটা বলছে কোন সাক্ষী ছিলনা না। ছেলেটার কথা বিশ্বাস করা যাবে? যদিও ছেলেটা শতভাগ সত্যবাদী না।

(৭) ছেলে কোোন মেয়েকে সাক্ষী দের সামনে বিয়ের ইজাব দিলে মেয়ে শুধু  হাসলো কিন্তু কবুল মুখে উচ্চারণ করলো না। সাক্ষীরা শুধু ইজাব শুনলো আর  মেয়েকে হাসতে দেখলো।কিন্তু মেয়েটা কবুল বলে নাই।  এভাবে কি বিয়ে হবে?

(৮) আমার মায়ের ওয়াসওয়াসার সম্যসা নাই। আমার মাকে আমি জিজ্ঞেস করি যে আমি কি কখনো তাকে ঐ ছেলে আমাকে বৌ বলছে কি না এই প্রশ্ন করছি সে বলছে না করো নাই। কিন্তু না আমি এমন প্রশ্ন করছি এবং সে উত্তর দিছে না বলে নাই ঐ ছেলে।  এখন প্রশ্ন হচ্ছে সব কথা মায়ের  মনে থাকে না। কিন্তু আবার অনেক কথাই মনে থাকে আমি আমার মায়ের কথায় আস্থা রাখতে পারি? আসলে আমার অতীত নিয়ে যে ওয়াসওয়াসা গুলো আসে তখন মাকে জিজ্ঞেস করি বিষয় গুলো নিয়ে এবং   বেশিরভাগ কথাই আমার মায়ের মিলে যায় যা পরর্বতীতে আমার স্পষ্ট মনে পড়ে। আর যা আমার মাায়ের মনে থাকে না তাা আমার একটু ভাবলেই মনে পড়ে। এবং আমি শিওর আমার অতীতে কোন ইজাব কবুল হয় নাই। আমার মাও বলছে ঐ ছেলে কখনো বৌ বা মিথ্যাস্বীকারোক্তি দেয় নাই আর এটা সে ১০০% শিিওর এবং আল্লাহর কসম দিয়ে বলছে। এবং আমার মা বলছে কথা আমার সাথে হইছে আমি কেন মিথ্যা বলবো। আর আমি নিজ কানে শুনেছি ঐ ছেলে বলছে আমার সাাথে তার কখনো বৈধ ভাবে কিছু হয় নাই। ইজাব কবুল হয় নাই।
(৯) যেখানে আমি শিওর সেখানে আমার এখন কার বৈবাহিক জীবনে কোন রকম কোন সম্যসা নাই তাই না শায়েখ?

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


https://ifatwa.info/11771/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-
ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হবার জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে। যথা-
বর ও কনেকে কিংবা তাদের প্রতিনিধিকে ইজাব তথা প্রস্তাবনা ও কবুল বলতে হয়।

উক্ত ইজাব ও কবুলটি বলতে হয় দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মসলিম পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলার সামনে।

قوله صلى الله عليه وسلم : ( لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل ) رواه البيهقي من حديث عمران وعائشة ، وصححه الألباني في صحيح الجامع (7557) 
বিয়ের আকদের সময় সাক্ষী রাখতে হবে। রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]।

 নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী- “তোমরা বিয়ের বিষয়টি ঘোষণা কর।”[মুসনাদে আহমাদ এবং সহীহ জামে গ্রন্থে হাদিসটিকে ‘হাসান’ বলা হয়েছে (১০৭২)]
۔
ইজাব ও কবুলটি উভয় সাক্ষ্যি স্বকর্ণে শুনতে হবে।

উক্ত তিনটির কোন একটি শর্ত না পাওয়া গেলে ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হয় না।

উপরোক্ত তিনটি শর্ত  পাওয়া গেলে বিবাহ হবে,অন্যথায় বিবাহ হবেনা।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,    
বিবাহ সহীহ হওয়ার জন্য শর্ত হল দু’জন আযাদ প্রাপ্ত বয়স্ক বিবেকবান দুই জন মুসলিম স্বাক্ষের সামনে পাত্র/পাত্রি প্রস্তাব দিবে আর অপরপক্ষে পাত্র/পাত্রি তা কবুল করবে। আর সাক্ষিগণ উভয়ের কথা সুষ্পষ্টভাবে শুনবে। আর শরয়ী এ শর্তাবলী পরিপূর্ণভাবে টেলিফোনে পাওয়া সম্ভব নয়। তাই টেলিফোন বা মোবাইলে বিবাহ করা জায়েজ নয়। {ফাতওয়ায় উসমানী-২/৩০৪,৩০৫}

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,   
(০১)
এমন প্রশ্ন করার জন্য কোন মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবেনা।আপনার বর্তমান বৈবাহিক জীবনে কোন সমস্যা হবেনা। তালাক বা অন্য কিছুও হবেনা।

(০২)
এতে মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবেনা। এখনকার বৈবাহিক জীবনে কোন রকম কোন তালাক হবেনা।

(০৩)
আপনার মায়ের এমন কথা বলায় কোন সম্যসা হবেনা। আপনার বৈবাহিক জীবনে কোনো সমস্যা হবেনা।

(০৪)
ঐ ছেলে বৌ বললে আপনার মায়ের সামনে বা মিথ্যা বললে আপনার এখনকার বিবাহিত জীবনে কোন সমস্যা বা কিছু হতোনা। 

(০৫)
না,বিয়ে হবেনা।

(০৬)
ছেলেটার কথা বিশ্বাস করা যাবে।

(০৭)
এতে বিবাহ হবেনা।

(০৮)
আপনার মায়ের কথায় আস্থা রাখতে পারেন।

(০৯)
আপনার এখনকার বৈবাহিক জীবনে কোন রকম কোন সমস্যা নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...