আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
341 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (20 points)
আচ্ছা সালাফি  আর হানাফি কারো বিয়ে হলে ব্যাপারটা কেমন হয়? কিভাবে মেইনটেইন করা হয়? বাচ্চাদের প্রতি কেমন আচরণ করা উচিত?  আর যদি কোনো মেয়ে ডিভোর্সি হয় আর তার  নাবালেগ বাচ্চা থাকে  তবে তাদের কিভাবে ম্যানেজ করে নতুন মানহাজে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم


মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

وَّ الۡمُحۡصَنٰتُ مِنَ النِّسَآءِ اِلَّا مَا مَلَکَتۡ اَیۡمَانُکُمۡ ۚ کِتٰبَ اللّٰہِ عَلَیۡکُمۡ ۚ وَ اُحِلَّ لَکُمۡ مَّا وَرَآءَ ذٰلِکُمۡ اَنۡ تَبۡتَغُوۡا بِاَمۡوَالِکُمۡ مُّحۡصِنِیۡنَ غَیۡرَ مُسٰفِحِیۡنَ ؕ فَمَا اسۡتَمۡتَعۡتُمۡ بِہٖ مِنۡہُنَّ فَاٰتُوۡہُنَّ اُجُوۡرَہُنَّ فَرِیۡضَۃً ؕ وَ لَا جُنَاحَ عَلَیۡکُمۡ فِیۡمَا تَرٰضَیۡتُمۡ بِہٖ مِنۡۢ بَعۡدِ الۡفَرِیۡضَۃِ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ عَلِیۡمًا حَکِیۡمًا ﴿۲۴﴾ 

আর নারীদের মধ্যে তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসী ছাড়া সব সধবা (অন্যের বিবাহিতা স্ত্রী) তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ, তোমাদের জন্য এগুলো আল্লাহর বিধান। উল্লেখিত নারীগণ ছাড়া অন্য নারীকে অর্থব্যয়ে বিয়ে করতে চাওয়া তোমাদের জন্য বৈধ করা হল, অবৈধ যৌন সম্পর্কের জন্য নয়। তাদের মধ্যে যাদেরকে তোমর সম্ভোগ করেছ তাদের নির্ধারিত মাহর অর্পণ করবে। মাহর নির্ধারণের পর কোন বিষয়ে পস্পর রাযী হলে তাতে তোমাদের কোন দোষ নেই। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।
(সুরা নিসা ২৪)


মুফতী সালমান মনসুরপুরী দাঃ বাঃ বলেন,
যদিও ভিন্ন ভিন্ন আক্বীদা সম্পন্ন লোকদের মধ্যকার বিবাহ সংগঠিত হয়ে যায়,তবে সহীহ আক্বীদা সম্পন্ন লোকদের জন্য অত্যন্ত জরুরী যে তারা নিজ নিজ আক্বীদা-বিশ্বাসের উপর অটল অবিচল থাকবে।(কিতাবুন নাওয়াযিল;৮/৯৩)

★ভিন্ন মাযহবের কাউকে বিয়ে করা জায়েয।সে হিসেবে সালাফি এবং হানাফিদের বিয়ে শাদী জায়েয।নাবালক সন্তান বাবার অনুসারী হিসেবে গণ্য হবে।
তবে উত্তম হল, নিজ মানহাজের কাউকে বিয়ে করা ।কেননা এত করে ভবিষ্যতে কোনোরকম সমস্যা সূষ্টি হবে না।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
যারা মাযহাব মানেনা,তারাও যেহেতু মুসলমান,তারাও যেহেতু আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অন্তর্ভুক্ত। তাই তাদের কাউকে বিবাহ করলে সেই বিবাহ শুদ্ধ হবে। 
তবে এই বিবাহের পর তাদের বৈবাহিক জীবনে তিন তালাকের মাসয়ালা,নামাজের মাসয়ালা,মসজিদে গিয়ে নামাজের মাসয়ালা,ঈদগাহে গিয়ে ঈদের নামাজের মাসয়ালা,সহ অসংখ্য মাসয়ালা নিয়ে সমস্যা হতে পারে।

তাই উলামাকে কেরামগন নিজ মাযহাব অনুসারীদের কেই বিবাহ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

যদি কোনো মেয়ে ডিভোর্সি হয় আর তার  নাবালেগ বাচ্চা থাকে  তবে এক্ষেত্রেও সালাফি এবং হানাফিদের বিয়ে শাদী বিয়ে জায়েয।
মাসয়ালাগত বিষয় নিয়ে বিবাহ পরবর্তী সমস্যা হতে পারে,তাই নিজ মানহাজের কাউকে বিয়ে করা উত্তম হবে।

বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...