ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হ্যা,স্থান-কাল-পাত্র বেধে সময়ের প্রয়োজনে ফুকাহায়ে কিরামগন সহজতার স্বার্থে আসল হুকুম থেকে সরে এসে তার বিপরীত সাময়িক হুকুম মাঝেমধ্যে প্রয়োগ করে থাকেন।একেই পরিভাষায় জরুরত বলে। জরুরত বা সময়ের চাহিদায় অনেক বিধিত সিদ্বান্তকে শর্তসাপেক্ষে সাময়িক পরিবর্তন করে দেয়।
এরকম কিছু ফিকহী মূলনীতি 'উসূলে ফিকহ' এর কিতাবাদিতে সবিস্তারে বর্ণিত আছে,তন্মধ্যে কিছু মূলনীতি হল।
যথাক্রমেঃ-
ﺍﻟﻀﺮﻭﺭﺍﺕ ﺗﺒﻴﺢ ﺍﻟﻤﺤﻈﻮﺭﺍﺕ
(প্রয়োজন অনেক নিষিদ্ধ জিনিষকে বৈধ করে দেয়)
এটা একাটা নীতিসিদ্ধ মৌলিক ফিকহী ক্বায়দা/ধারা যা কোরআন এবং হাদিসের থেকে চয়ন করা হয়েছে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
আপনার বাবা ভাই জীবিত থাকাবস্থায় এভাবে আপনার বোনের জন্য এনজিওতে চাকুরী কখনো অনুমোদিত নয়। যদি মিশনারি এনজিও হয়, তাহলে সেটা আরো মারাত্বক পর্যায়ের। আপনার বোনের উপর ওয়াজিব যে, তিনি কেনো হালাল পেশায় আত্মনিয়োগ করবেন। যেহেতু আপনার বাবার বা ভাইয়ের আপাতত কোনো ইনকাম নেই, তাই আপনার বোন হালাল চাকুরীর সুযোগ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত এই চাকুরী করতে পারবেন।
(২)
আপনার ভাইয়ের উপর ওয়াজিব, বোনের পরিবর্তে সংসারের হাল সে নিজেই ধরবে। সুতরাং সংসারের হাল না ধরার জন্য সে ঘৃণিত হিসেবে বিবেচিত হবে। এবং তার গোনাহও হবে।
(৩)
আপনি আপনার শিক্ষার পরিপূর্ণ স্থরে উন্নতি করবেন।জাযাকিল্লাহ। আপনার বোনের পরামর্শ অনেকাংশে সঠিক।তবে সর্বদা নিজ ঈমান আমলের প্রতি সতর্ক থাকতে হবে।
(৪)
আপনি বিয়ে করে নিবেন।বিয়ে শিক্ষার জন্য প্রতিবন্ধক হতে পারে না। পাশাপাশি বোনকেও বিয়ের পরামর্শ দিবেন। ভাইকেও বিয়ে করিয়ে নিবেন। বিয়ের দ্বারা রিযিকের প্রবৃদ্ধি ঘটে।