ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)নামাজের ওয়াক্ত হচ্ছে বা আজান পড়েছে এমন সময়ে স্বামী যদি স্ত্রীর সাথে মিলনের জন্য আসে, তাহলে এজন্য গুনাহ হবে না। তবে নামাজের বা আজানের প্রতি খেয়াল রাখা উচিৎ। স্বামীকে এ সময়ে স্ত্রী হালকাভাবে বাধা দিতে পারবে। তবে পরিপূর্ণরূপে বাধা দিতে পারবে না। যদি নামাযের ওয়াক্ত চলে যাবে বলে মনে হচ্ছে, ওয়াক্ত শেষ হওয়ার পূর্বে পবিত্র হয়ে নামায পড়া যাবে না বলে হয়, তাহলে তখন স্বামীকে পরিপূর্ণরূপে বাধা দেয়া যাবে।
(২)স্বামী স্ত্রীকে তার মা, খালাদের সামনে জড়িয়ে ধরতে পারবে না,আদর, চুম্বন করতে পারবে না।কেননা এটা মুসলমানদের জন্য মানায় না।
(৩)"স্বামী যদি বায়না ধরে তাকে খাবার খাইয়ে দিতে" এখানে বায়না বলতে কি?
(৪)স্বামী স্ত্রীর পায়ের আঙুল, গোড়ালি, হাঁটু মুখে নিয়ে আদর করতে চাইলে স্ত্রীর জন্য তা করতে দেওয়া উচিৎ।এখানে স্বামীকে অসম্মান করা হবে না। কেননা স্বামী তার স্ত্রীর সমস্ত অঙ্গ দ্বারা ফায়দা নিতে পারবে।
(৫)হিজাব পরা অবস্থায় স্বামী মিলন করতে চাইলে স্ত্রীর জন্য তা পরিধান করতে বাধা নেই, এতে ইসলামী পোশাকের অবমাননা হবে না।
(৬) মেয়েদের জন্য সকল প্রকার কালার জায়েয।সুতরাং স্ত্রী যেকোনো প্রকারের পোষাক পরিধান করতে পারবে।তবে পরপুষের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়, এমন বোরখা পরিধান করা যাবে না।স্বামী নির্দেশ দিলেও পরিধান করা যাবে না।
(৭) স্বামী স্ত্রীর ছবি মুবাইলে ধারণ করে রাখা যাবে না।হ্যা, হাত পায়ের ছবি তুলে ছবি রাখা যাবে। তবে কোনো প্রয়োজন না হলে, না রাখাই উচিৎ।
(৮) সচরাচর চলে না এমন অলংকার যেমন কোমরের বিছা,পায়ের আংটি ইত্যাদি স্বামী পড়তে বললে স্ত্রীর জন্য পরিধান না করার রুখসত থাকবে।বিশেষ করে অমুসলিমের সাদৃশ্য হলে পরিধান করাই যাবে না।
(৯) মিলনের সময়ে যদি স্বামী তার স্ত্রীর খানিকটা বুকের দুধ খেয়ে নেয়, তাহলে কোন সমস্যা হবে না। স্বামী যদি অন্য মাযহাব পন্থী হয় (মানে সব ক্ষেত্রেই হানাফি ভিন্ন হাম্বলী অনুসারী) আর বলে যে এই ব্যাপারে তো আমি আমার ঘরানার উলামা দের থেকে দেখেশুনেই নিয়েছি উনারা তো জায়েজই বলেন। তাহলে এমতাবস্থায় স্ত্রীর জন্য স্বামীর নির্দেশের অনুসরণ জায়েয হবে।
(১০) স্ত্রীর যদি ফেসবুক আইডি থাকে আর দেখা যায় যে তার পর্দার খেলাফ হচ্ছে না সেখানে, শুধু মহিলারাই আছে ফ্রেন্ড, তার পরও যদি স্বামী বলে যে ফেসবুক বন্ধ রাখতে, তাহলে তখনও স্ত্রীর জন্য স্বামীর নির্দেশকে মান্য করা ওয়াজিব হবে। কেননা বাস্তবতা হল, এখানে এমন কিছু বিষয় রয়েছে, যা স্বামীর অধিকারকে ক্ষুন্ন করতে পারে। তাছাড়া ফেইসবুক নিজ ঈমান অা'মলের জন্য জরুরী নয় বরং অনেকাংশে হুমকি স্বরূপ।
(১১) স্ত্রী বান্ধবীদের সাথে ফোনে কথা বললে, স্বামী বারণ করলে, স্ত্রী না শুনলে, গুনাহ হবে না।তবে স্বামীর নির্দেশকে মান্য করাই উচিৎ।