ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠّﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠّﻢ ﻗﺎﻝ : ( ﻳَﺄْﺗِﻲ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥُ ﺃَﺣَﺪَﻛُﻢْ ﻓَﻴَﻘُﻮﻝُ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﻛَﺬَﺍ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﻛَﺬَﺍ ﺣَﺘَّﻰ ﻳَﻘُﻮﻝَ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﺭَﺑَّﻚَ ﻓَﺈِﺫَﺍ ﺑَﻠَﻐَﻪُ ﻓَﻠْﻴَﺴْﺘَﻌِﺬْ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻟْﻴَﻨْﺘَﻪِ ﻭﻓﻲ ﺭﻭﺍﻳﺔ ﻣﺴﻠﻢ : ( ﺁﻣﻨﺖ ﺑﺎﻟﻠﻪ ﻭﺭﺳﻠﻪ)
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,শয়তান তোমাদের কারো নিকট উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞেস করে, এটা কে বানিয়েছে?ওটা কে বানিয়েছে?শেষ পর্যন্ত জিজ্ঞেস করে, খোদা-কে বানিয়েছে? যখন এমন অবস্থায় কেউ পতিত হবে,সে যেন আল্লাহর নিকট পানাহ চায়।এবং সাথে সাথে সে যেন উক্ত বিষয়ে চিন্তা করা থেকে বিরত থাকে।এক বর্ণনায় এসেছে সে যেন আ'মানতু বিল্লাহি ওয়া রুসুলিহি পড়ে নেয়।(সহীহ বোখারী-৩১০২,সহীহ মুসলিম-১৩৪) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1379
আরো জানুন--https://www.ifatwa.info/835
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কোন এক স্ত্রী স্বামীকে জিজ্ঞেস করে ঝগড়ার সময়, স্ত্রী অনেক ধরনের কথা বলেছিল,স্বামী বলে হ্যাঁ বলেছিলে
স্ত্রী আবার জিজ্ঞেস করে প্রতিউত্তরে * এর নিয়তে কখনো কিছু বলেছো?বলে না কখনো না।
(১) স্ত্রীর এভাবে জিজ্ঞেস করা আর স্বামীর এভাবে বলাতে কোন অসুবিধা হবে না।
(২) স্ত্রীর তালাকের অধিকার আছে কি না? তা স্ত্রী জানেনা, তাও স্ত্রী মনে করে আছে তালাকের অধিকার আছে। এরপর থেকে ওয়াসওয়াসা ঘোরতর হয়ে গেছে
দৈনন্দিন জীবনে যে শব্দ গুলো ব্যবহার করতেই হবে এমন শব্দ ব্যবহার করার মাঝে * এর চিন্তা মাথায় চলে আসে।
এসব চিন্তা দ্বারা তালাক হবে না। সুতরাং এ সব চিন্তাকে অবশ্যই পরিহার করতে হবে। স্ত্রী অতি সত্বর মনোচিকিৎসা গ্রহণ করবে।ওডিসি ট্রিটমেন্ট গ্রহণ করবে।জাযাকাল্লাহ।