আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
268 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (32 points)
আসসালামু আলাইকুম।

দয়া করে "★★ ()" দেওয়া লাইনগুলো একটু ভালোভাবে সময় নিয়ে পড়বেন এবং আমার সমস্যাটির উত্তর দিবেন।

আজকে মসজিদে গিয়ে আমি প্রথমে নামাজ পড়ি এবং আমার কাঁধের ব্যাগটি এক জায়গায় রাখি। নামাজ শেষে আমি আমার জুতা গুলো নিয়ে অজু খানায় যাই এবং কল ছেড়ে কলে নিজে জুতাগুলো ধরে রাখি এবং সেভাবে ধৌত করি। কলটি ভালোভাবেই এবং দ্রুতগতির সাথেই ছেড়েছিলাম যেন জুতার মধ্যে কোন ময়লা লেগে থাকলে তা সরে যায়। এরপর মসজিদের গেট বা বন্ধ করে দিবে বলে আমি তাড়াহুড়ায় সেই জুতা হাতে নিয়েই আমার ব্যাগটি আনতে যাই। এতে করে মসজিদের কাতারে জুতার কয়েক ফোটা পানি পড়ে।
★★ উল্লেখ্য যে যেহেতু এখন শীতকাল তাই মসজিদের কাতারের উপরে মোটা এক ধরনের পাপোশের মত থাকে আর উপর একটি কালো কাপড় বিছানো থাকে।
এখন একজন লোক আমাকে বলে যে,  "আপনি যে জুতা নিয়েই গেছেন আপনার জুতার যদি নাপাক থাকে তাহলে তো আর ভাগীদার আপনি হবেন।"

এজন্য এখন আমার খুব ভয় লাগছে যে আমার কারনে কি কোন সমস্যা হলো কিনা।
আসলে মসজিদটি তখন বন্ধ করে দিবে বলে তাড়াহুড়ায় এই এই ভুলটি করে ফেলেছি। কিন্তু আমি তো জুতাটি পানি ছেড়ে কলের নিচে হাত দিয়ে ধরে রেখেছিলাম যাতে ময়লা দূর হয় এবং তারপরে গিয়েছিলাম।
কিন্তু ব্যক্তিটি সেই কথাটি বলার কারনে, আমার মধ্যে ভয় ঢুকে গিয়েছে যে আসলেই যদি পানিতে নাপাক হয়ে থাকে এবং আমি যদি সম্পূর্ণ ১০০% ভাবে পরিষ্কার না করে থাকি তাহলে তো কেউ যদি সেখানে নামাজ পড়ে এবং জায়গাটি নাপাক থেকে তাকে তাহলে তো আমার পাপের ভাগীদার হতে হবে।
★★শীতকাল হওয়ার কারণে কাতারের উপরে পাপোশের মত জিনিসছিল এবং তার উপর একটি কালো কাপড়  বিছানো ছিল। এখন এতগুলো জিনিস তো ধোয়া সম্ভব না। আর কোনটার উপরে পানির ফোটা পড়েছে তাও আমি বলতে পারতেছি না।
★★★কিন্তু আমি তো জুতাগুলো কলের নিচে ধরে রেখেছিলাম কয়েক মিনিট যাতে ময়লা সব এখন সেই জুতা কি আমি ১০০% ভাবে পাক বা না পাক ধরবো নাকি বুঝতেছিনা এবং সেই লোকটি সেই কথা বলার পরে জুতা ধৌত করার পরেও সেখান থেকে ঝরা পানি কি পাক নাকি  নাপাক সেই বিষয়ে আমার মধ্যে চিন্তা বেড়ে গেছে। এখন আমি কি করবো বুঝতেছিনা। আল্লাহ কি আমাকে মাফ করবে?
(আসলে আমি কয়েক মাস ধরেই ওয়াসওয়াসার মধ্যে ভুগতেছি। এটি আমাকে আরো ভাবাচ্ছে।এই সমস্যাটি এখন আমাকে আরো টেনশন দিচ্ছে।)

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ইয়াকিন বিশ্বাস ব্যতিত কোনো হুকুম প্রমাণিত হয়না।
যেমন ইতিপূর্বে একটি মূলনীতি আমরা উল্লেখ করেছি যে,
আল্লামা ইবনে নুজাইম রাহ,লিখেন,
اﻟْﻘَﺎﻋِﺪَﺓُ اﻟﺜَّﺎﻟِﺜَﺔُ: اﻟْﻴَﻘِﻴﻦُ ﻻَ ﻳَﺰُﻭﻝُ ﺑِﺎﻟﺸَّﻚِّ
ﻭَﺩَﻟِﻴﻠُﻬَﺎ ﻣَﺎ ﺭَﻭَاﻩُ ﻣُﺴْﻠِﻢٌ ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻣَﺮْﻓُﻮﻋًﺎ {ﺇﺫَا ﻭَﺟَﺪَ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﻓِﻲ ﺑَﻄْﻨِﻪِ ﺷَﻴْﺌًﺎ ﻓَﺄَﺷْﻜَﻞَ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺃَﺧَﺮَﺝَ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْءٌ ﺃَﻡْ ﻻَ ﻓَﻼَ ﻳَﺨْﺮُﺟَﻦَّ ﻣِﻦْ اﻟْﻤَﺴْﺠِﺪِ ﺣَﺘَّﻰ
ﻳَﺴْﻤَﻊَ ﺻَﻮْﺗًﺎ، ﺃَﻭْ ﻳَﺠِﺪَ ﺭِﻳﺤًﺎ}
ভাবার্থঃতৃতীয় উসূল,ঈয়াক্বিন(দৃঢ় বিশ্বাস)সন্দের দ্বারা খতম হয় না।[তথা কারো কোনো বিষয় সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাস থাকলে, সে বিষয় সম্পর্কে বিপরিত কোনো সন্দেহের উদ্রেক হলে পূর্ব বিশ্বাসের কোনো ক্ষতি হবে না।অর্থাৎ নতুন করে জন্ম নেয়া সন্দেহ অগ্রহণযোগ্য ]

মুসলিম শরীফের সনদে বর্ণিত হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত হাদীস তার  উজ্জল দৃষ্টান্ত।
হাদীসটি এই,
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যদি কারো তার পায়ুপথে কিছু বের হওয়ার সন্দেহ হয়।এবং উক্ত বের হওয়া না হওয়া নিয়ে সে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যায়।তাহলে সে যেন মসজিদ থেকে (অজু করার নিমিত্তে) বের না হয়,যতক্ষণ না সে বায়ুর আওয়াজ শুনছে বা এর দুর্গন্ধ তার নাকে আসছে।(আল-আশবাহ ওয়ান-নাযাইর;১/৪৭)............ এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/293

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রথম কথা হল,আপনার জুতাতে নাপাকি ছিল কি না? সে সম্পর্কে আপনি নিশ্চিত নন, দ্বিতীয় কথা হল, জুতাকে ধৌত করা হয়েছে, যদি তাতে নাপাকি থেকেও থাকে, তাহলে এই ধৌত করণের দ্বারা সেই নাপাকি দূর হয়ে গেছে, সুতরাং জুতার পানির ফোটা মসজিদের সফে পড়ার কারণে সফ নাপাক হবে না এবং মসজিদও নাপাক হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (32 points)
জুতা ১০০% সঠিকভাবে ধোয়া হয়েছিল কিনা, এটা নিয়ে টেনশন হচ্ছে।
by (32 points)
ধোয়ার পর নাপাকি সম্পুর্নভাবে ধোয়া হয়েছিল কিনা তা নিয়েও টেনশন হচ্ছে।
by (583,410 points)
এটা ওয়াসওয়াসা। সুতরাং এই ওয়াসওয়াসাকে কোনো পাত্তাই দিবেন না।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...