আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
114 views
in সালাত(Prayer) by (10 points)
আসসালামু আলাইকুম

১.যদি কেউ তার পরিপূর্ণ সালাত শেষের পর মনে পড়ে যে সালাত ভুল বা রাকাত সংখ্যার হেরফের হয়েছে তাহলে সালাত শেষে(মানে সালাম ফিরানোর পর) আবার সাহু সিজদাহ কিভাবে দিবে? তখন সাহু সিজদাহর পর আবার কি দুরদ,তাশাহুদ, এগুলো পড়ে সালাত শেষ করবে নাকি শুধু দুটো সিজদাহ দিলেই হবে?

২.সালাতের মধ্যে যদি হরফের উচ্চারণ মানে ছ্বদ কি সিন আবার দ্বদ নাকি দাল এমন টাইপের সন্দেহ থাকে তবে ঐ সালাত কি ভঙ্গ করে আবার পড়তে হবে নাকি শেষে সাহু সিজদাহ দিতে হবে?

৩.হায়েজ সেরে যাওয়ার পর হায়েজরত অবস্থায় যে কাপড় পরা হয়েছিল ঐ কাপড় দিয়ে কি নামায পড়া যাবে? অনেক সময় দেখা যায় আমরা যে বোরকা,হিজাব হাযেজরত অবস্থায় পরি ওটা দিয়ে সালাত পড়া হয় যখন আমরা বাসার বাইরে থাকি।এটা কি জায়েজ হবে?

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
যদি কেউ তার পরিপূর্ণ সালাত শেষে করার পর মনে পড়ে যে, সালাতে ভুল বা রাকাত সংখ্যার হেরফের হয়েছে, তাহলে সে  নামাযকে নতুনভাবে পড়ে নেবে।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/3409

যদি নামাযে কোনো ওয়াজিব তরক হওয়ার কারণে কারো উপর সাহু সিজদা ওয়াজিব থাকে,এবং নামায সমাপ্ত করার পর কারো সাথে কথা বলার পূর্বে মনে হয়, তাহলে তাৎক্ষণাৎ সাহু সিজদা দিবে। সাহু সিজদাহর পর আবার দুরদ,তাশাহুদ, এগুলো পড়ে সালাত শেষ করবে।

(২)
https://www.ifatwa.info/4350 নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করেছি যে,
নামাযের কেরাতে যদি তাজবীদে ভূল হয়,যাকে লাহলে খাফী বলা হয়,তাহলে উক্ত নামাযকে দোহড়ানের প্রয়োজন নেই। তাজবীদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1126 তবে যদি নামাযে এমন কোনো ভূল হয়,যার কারণে অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়,(এক্ষেত্রে তাজবীদ বিভাগের লাহনে জালী গ্রহণযোগ্য নয়,কেননা তাজবীদের পরিভাষায় এক হরফের স্থলে অন্য হরফ পড়ে নিলেই লাহনে জলী হয়ে যায়,চায় নিকটবর্তী মাখরাজ হোক বা দূরবর্তী মাখরাজ হোক,চায় অর্থ সঠিক থাকুক বা নাই থাকুক)কিন্তু ফুকাহায়ে কেরাম দূরবর্তী মাখরাজের উচ্ছারণের সময়ে এবং অর্থ বিগড়ে যাওয়ার সময়ে নামাযকে ফাসিদ হওয়ার ফাতাওয়া দিয়ে থাকেন।

সুতরাং নামাযে কোনো হরফ উচ্ছারণের সময়ে,সেই হরফের স্থলে তার দূরবর্তী মাখরাজের কোনো হরফ উচ্ছারিত হয়ে গেলে,এবং অর্থ বিগড়ে গেলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সালাতের মধ্যে যদি হরফের উচ্চারণ মানে ছোয়াদ নাকি সিন আবার দোয়দ নাকি দাল এমন টাইপের সন্দেহ থাকে, তবে ঐ সালাত কি ভঙ্গ করে নতুন ভাবে পড়ে নেয়াই উত্তম। যদি এমন পরিবর্তনের কারণে সর্বক্ষেত্রে নামায ফাসিদ হবে না, তবে যেহেতু সবার জন্য বিষয়টা নির্ধারণ করা সম্ভবপর হবে না,তাই নামাযকে পূনরায় পড়ে নেয়াই উত্তম হবে।

(৩)
হায়েজ সেরে যাওয়ার পর হায়েজরত অবস্থায় যে কাপড় পরা হয়েছিল ঐ কাপড় দিয়ে নামায পড়া যাবে যদি তাতে নাপকি না থাকে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,680 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 87 views
...