আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
187 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (8 points)
edited by
১। মাথায় তেল দিচ্ছিলাম তখন আমার ছোট বাচ্চা ছেলেটা এসে তেলের বাটি থেকে নিজের মাথায় তেল দিসে তার তেলটা মাথায় মিশে নাই। তো আমি জানি যে মাথার উপরিবাগে যদি স্পর্শ করা হয় তাহলে হুরমত  হয়। তাই আমি অউজুবিল্লাহ পড়তে পড়তে বাবুর মাথায় হাত দিয়ে তেল মিশিয়ে দিচ্ছিলাম এবং কয়েক সেকেন্ড পরেই আমি গোপনঙ্গে একটা কেমন হুট্ করে চাপ বা কামড় দিসে এমন অনুভব করি। সহবাসের চিন্তা করলে মানুষের যেমন হুট্ করে একটা কয়েক মুহূর্তের গোপনঙ্গে  চাপ বা কামড় অনুভূতি হয় ওই রকম ঠিক বলে বুঝাতে পারবোনা । এটা আমার একদন ইচ্ছাকৃত  না। আমিতো যেনো হুরমত  না হয়ে যায় তাই আউযুবিল্লাহ পড়তেসিলাম আর বাবুর মাথায় তেল মিশাইতেসিলাম। আমারতো সহবাসের ইচ্ছা ছিলোনা। এভাবে কি হুরমত  মুসহরত  হওয়ার যায়???

২। মা তার সন্তানকে স্পর্শ করসে কিন্তু তার সহবাসের ইচ্ছা নিয়ত কিছুই ছিলোনা স্পর্শ করার সময় মার যদি কয়েক মুহূর্তের জন্য কামুত্তেজনা হয়  তাহলে  কি হুরমত  মুসহরত  হয়ে যাবে?? মারতো সহবাসের ইচ্ছা ছিলোনা  অনিচ্ছাকৃত ভাবে কয়েকমুহূর্তের উত্তেজনা আসে।

৩। আমি জানি যে নাবালেগ বাচ্চাকে মা যদি সহবাসের ইচ্ছা নিয়ে কামভাবের উত্তেজনা নিয়েও স্পর্শ করে বা লজ্জাস্থানের দিকে দৃষ্টি দেয় তবুও হুরমত  মুসহরত হবে না কারণ বাচ্চা বালেগ নয়। এসব জেনেও আমি আমার ১৯ মাসের শিশুর গায়ে হাত দিতে ভয় পাই। তাকে কোলে নিতে গেলে ভয় লাগে। আমি ভয়ের বাচ্চাটাকে আদর করে চুমুও  দেইনা। যদি হুরমত  হয়ে যায় এই জন্য। আমি যা জানি সেটা কি সঠিক? আমি এই ক্ষেত্রে কি করতে পারি???

৪। হুর্মুতের ব্যাপারে জানার পরে যখন জানসি নাবালেগ বাচ্চার সাথেই হুরমত  হয়না তখন বাবুকে কোলে নিলে তাকে স্পর্শ করলে তার পাম্পার্স পাল্টাইলে তার লজ্জাস্তানে ধরলে বা দেখলে আমার মনে আসতো সহবাসের ইচ্ছা নিয়ে ধরতেসি  বা দেখতেসি।ব্যাপারটা অনেকটা আমার নিয়ন্ত্রণের বাইরেই মনে আসতো বা অনেক সময় আমি ইচ্ছা করে মনে আনতাম যে সহবাসের ইচ্ছা নিয়ে ধরতেসি বা দেখতেসি। কিন্তু আমার সহবাসরর কোনো ইচ্ছা ছিলোনা এই ক্ষেত্রে কি হুরমত  হয়ে গেছে?? না হলে কেনো হয়নি একটু বুঝিয়ে বলবেন যেনো আমি মাথা থেকে এসব চিন্তা দূর করতে পারি।

ক। আমার বাচ্চাকে স্পর্শ করার সময় ইচ্ছাকৃত মনে সহবাসের ইচ্ছা নিয়ে ধরতেসি আনলেও আমার সহবাসের কোনো ইচ্ছা ছিলোনা বা কোনো কামভাবের উত্তেজনা ছিলোনা।এভাবেই কি হুরমত  হয়ে গেছে???

৫। এখন আমি বাচ্চাকে কোলে নিলে স্পর্শ করলে  বার বার মনে করি যে আমি সহবাসের ইচ্ছা নিয়ে ধরিনা। ভয় পাইনি অনেক বাবুকে ধরতে দেখতে। মি কি করবো  আমাকে একটু বলবেন। আমি যেনো দিন দিন পাগল হয়ে যাচ্ছি।

৬। আমি প্রতিটা কাজে প্রতিটা কথায় ভয় পাইনি কথা বলা কমিয়ে দিসি। যা বলি তাতেই মনে আসে আমার নিজের ওপর তালাক। যদি বলি একটুখানি দাড়াও একটুখানি পানি দাও তাও মনে আসে নিজের ওপর তালাক। একটুখানি দাড়াও এলটুখানি পানি দাও এগুলো কি কেনায়া বাক্য???

৭। একটা কথা শোনো, একটা কাজ তুমি করোনা, ২ টা দিন হয়ে গেছে  এসব কি কেয়ানা বাক্য?? এগুলো বলার সময় মনে হয় নিজের ওপর তালাক। সংখ্যাবাচক  কোনো শব্দ আমি উচ্চারণ  করতে পারিনা। সংখ্যাবাচক  শব্দ বললে প্রথমে মনে আসে আল্লাহর আমি কি বললাম মনে কিছু আসবে এখন বা চলে আসলো কিনা তারপরই মনে আসে নিজের ওপর তালাক।আমি কি করবো আমিতো তালাক চাইনা।কোনো সংখ্যাবাচক  শব্দ যেমন ২ দিন হয়ে গেছে বা ১ টা কথা শুনো ওসব বলার পরে যদি আগে মনে আসে আল্লাহর সংখ্যা বললাম কেনো বা আল্লাহ কি বললাম বা এখন আমার মনে যদি অন্য চিন্তা আসে তারপর যদি মাথায় আসে আমার নিজের ওপর তালাক তাহলে কি তালাক হয়ে যাবে???

৮। সংখ্যাবাচক শব্দ বলার পরে যদি তাৎক্ষণাত মনে আসে আমার নিজের ওপর তালাক তাহলে কি তালাক হয়ে যাবে। তালাকের ইচ্ছা না থাকলেও???

৯। কোনো সংখ্যাবাচক  কথা বলার পরে আমি ইচ্ছা করে মনে করি যেমন যদি বলি তুমি ১ টা ডিম খাও তারপর  মনে করি তালাক হলে মনে আসবে বা মনে আসতে হবে নিজের ওপর  উক্ত সংখ্যা তারপর তালাক অথবা মনে মনে আনি যে কথাটা নিজের ওপর   এতো তালাক হবে। আমি ইচ্ছা করে করে এসব মনে করি মানে আমি আসলে বুঝাতে পারবোনা আমার মানসিক অবস্থাটা।। কিন্তু এমন না যে আমার তালাকের নিয়ত আছে। আমি ভয়  পাই ভয় থেকেই এসব হয়ত আসে।আমি কোনো সংখ্যাবাচক  শব্দ বললেই  নিজে নিজে মনে করি আমার ওপর এতো  তালাক। কিন্তু আমার কোনো তালাকের ইচ্ছা নাই নিয়ত নাই কিছুইনা। আমি সব সময় ভয়ে থাকি তালাক হয়ে গেলো কিনা। আমি ভয়ে কাওকে সালাম দিতে পারিনা। ওয়ালাইকুমআসলাম বলতে পারিনা। হ্যালো বলতে পারিনা। কল  কাটতে পারিনা। সব কিছুতেই এসব আসে। আমি কি করবো???

১০। কোনো সংখ্যাবাচক শব্দ বলার সময় যেমন তুমি একটা ডিম খাও   এটা কি কেনায়া কথা? বোরখার দাম ১ হাজার টাকা এটা কি কেনায়া কথা এসব বলার সময় কেউ ইচ্ছা কৃত  যদি বলে আমার ওপর ১ হাজার তালাক তাহলে কি তালাক হয়ে যাবে??? আমি কি করবো আমাকে একটু বলে দিন

১১. আমার স্বামী আমার শাশুড়িকে বলতেসিলো মা আমি যাইতেসিগা তোমগো সবাইরে থুইয়া মানে সে আমাদের সবাইকে রেখে চলে যাবে দুষ্টামি করেই বলসে । যাইতেসিগা তোমগো সবাইরে থুইয়া এই কথাটা  কি কেনায়া কথা নাকি সরীহ  কথা। এখানে যদি সে আমার কোথাও উদ্দেশ্য করে বলে কিন্তু তার তালাকের নিয়ত নাই তাহলে কি তালাক হবে?? এটা কি কেনায়া বাক্য???

১২। মা যদি তার সাবালিকা মেয়েকে উলঙ্গ অবস্থায় দেখে ফেলে এবং মায়ের কোনো উত্তেজনা হয় তাহলে কি হুরমত হবে?? মহিলা মহিলা তো হুরমত হয়না

১৩। বাবা যদি তার সাবালিকা কন্যার থাই হতে পায়ের অংশ টা দেখে ফেলে বা শরীরের অন্য কোনো অংশ দেখে লজ্জাস্থান নয় এবং বাবার মনে উত্তেজনা আসে তাহলে কি হুরমত হয়ে যাবে??তাহলে কি ওই বাবা মায়ের সংসার হারাম হয়ে যাবে?? আর ওই মেয়ের ও তার স্বামীর সাথে সংসার মানে বিয়ে হারাম হয়ে যাবে???

১৪।অনেক আগে আমি তখন সাবালিকা বাস দিয়ে আসার সময় আমার বাবার কাঁধে মাথা রেখে ঘুমাইসিলাম। ঐদিন আমার বাবার মনে কোনো উত্তেজনা সফবাসের ইচ্ছা আসছে  কিনা আমিতো জানিনা। আমি কি উনাকে জিজ্ঞেস করবো??বা আমার মনেও কোনো খারাপ চিন্তা আসছে কিনা আমার মনে নাই। এখন কি করবো আমি?? আমার বাবা মার কি হুরমত  হয়ে গেছে?? আমার স্বামীর সাথেও কি আমার সম্পর্ক হারাম হয়ে গেছে???

১৫। আপন মামার সাথে কি হুরমতে মুসহরত  হয়???

১৭। এখানে কয়েকটা সংখ্যা লিখার সময় আমার মনে আসছে  আমার নিজের ওপর এতো তালাক। কিন্তু আমাদের তালাক নেয়ার ইচ্ছা ছিলোনা। আমার হুট্ করে কোনো সংখ্যা লিখার সময় মনে পরে গেছে যে এখন তো সংখ্যা টা লিখলেই আমার মকনে তালাকের কথা আসবে। তো এই জন্য আমি সংখ্যা লিখার সময় আল্লাহু অবকার পরসি, কখনো মুখে বলসি কখনোইনা কখনোই না মানে মনে যদি তালাক এসেও তবুও কখনোই তালাক না এই জন্য এভাবেই বলসি, কখনো বলসি আউযুবিল্লা। এভাবেই কি তালাক। হয়ে গেছে আমারতো তালাকের উদ্দেশ্য নিয়ত ছিলোনা।

১৮। মোবাইলে অনেক নোটিফিকেশন জমে গেলে সেটার নিচে ক্লিয়ার লিখা থাকে যাতে সবগুলো নোটিফিকেশন একসাথে ক্লিয়ার করা যায়। আমি সেই ক্লিয়ার লিখাটাই  টিপ দিতে গিয়ে ভাবসি এখন নিজের ওপর তালাক কথাটা চলে আসলে আমার সব কিছু ক্লিয়ার এসব মনে আসছে । পরে নিজেই ভাবসি এভাবে ক্লিয়ার চাপলেই তালাক হয়না পরে মনে হয় আবারো ভাবসি যে আমার সবকিছু ক্লিয়ার মানে বৈবাহিক সম্পর্ক। নাউজুবিল্লাহ। পরে আমি ক্লিয়ার এ টিপ দিসি আর সাথেই সাথেই মনে আসছে আমার নিজের ওপর তালাক। পরে মনে হলো আমি যেনো ইচ্ছা করে এটা ভাবসি। আমিতো ইচ্ছা করে ভাবিনি। ক্লিয়ার টিপ দিলেই তালাক হয়ে যাবে এই ব্যাপারটা ভাবতেই চাইনি এটা যেনো আমাকে টেনশন না দেয় তাই এটাকে কেয়ার না করে  ক্লিয়ার টিপ দিসি আর তখন মনে আসছে  আমার নিজের ওপর তালাক।যেনো আমি ইচ্ছে করেই এটা মনে করসি। এভাবেই কি তালাক হয়ে যায়??

১৯। মোবাইলে ক্লিয়ার লিখতে টিপ দেওয়ার কি কেনায়া কিছু?? এভাবেই মোবাইলে ক্লিয়ার লিখে টিপ দেওয়ার সময় যদি কেউ ইচ্ছা করেই নিজের ওপর তালাক নেয় তাহলে তালাক হয়ে যায়??? এটাতো আর মুখে উচ্চারিত হয়না  তাহলে এটা কিনায়া কিভাবে হয়? নাকি আমার নিজের আঙ্গুল দিয়ে টিপ দিসি তাই এটা কিনায়া???

২০। নামাজের পরে আমি বলতেসিলাম আল্লাহ তুমি সাহায্য করো তখন হঠাৎ অন্যমনস্ক হয়ে আল্লাহ সমস্যা  বলসি। আল্লাহর তুমি সমস্যা করো বলসি কিনা মনে নাই কিন্ত সাথেই সাথেই আবার বলসি আল্লাহ তুমি সাহায্য কর। আল্লাহর তুমি সমস্যা করো এটা কি কেনায়া বাক্য?? এটা বলার সময় কেউ ইচ্ছা করে নিজের উপর তালাক নিলে সেটা কি হয়ে যায়???

২১।আল্লাহর তুমি আমার সমস্যা শেষ করে দাও এটা কি কেনায়া বাক্য এসব বলার সময় কেউ ইচ্ছা করে নীজের ওপর তালাক নিলে কি সেটা হয়ে যায়??

ক।।। এখানে একটা প্রশ্নের সংখ্যা লিখার সময় মনে হইসে এখনতো তালাকের ব্যাপার আমার মাথায় আসবে। তারপর আমি কখনোই না মুখে বলার আগেই সংখ্যা টা লিখে ফেলসি আর মনে আসে নিজের ওপর তালাক। আমার ইচ্ছাকৃত না এটা। সব সংখ্যা বলতে গেলেই এই তালাকের ব্যাপার মনের মধ্যে অটো চলে আসে আমি কতবার এভাবেই সাবধান থাকবো  এভাবেই ভয়ে আমি কোনো সংখ্যাই উচ্চারণ করতে পারছিনা। এভাবেই তালাক হয়ে গেছে??

খ।।। ননদকে তোমার ভাইকে কল দাও বলাটা কি কেনায়া বাক্য?? তখন যদি মনে আসে তোমার ভাই আমার জামাইনা নিজের ওপর তালাক তাহলে কি তালাক হয়ে যায়??

গ। মাসআলা জানার জন্য জে এতবার নিজের ওপর তালাক কথাটা  লিখতেসি মনও মনেও কথা গুলো আওড়াইতেসি বা আমার স্বামীর কাছেই ব্যাপার গুলো বলার জন্য যেহেতু আমি কথা ভুলে যাই যাই মেসেজ এ লিখে বুঝাচ্ছিলাম  তখন কোন কথায় যেনো নিজের ওপর তালাক কথাটা তাকে লিখতে হইসে এটাতো তাকে আমি বর্ণনা দিসি এভাবেই কি তালাক হয়ে যায়??

ঘ। অনেক সময়  আমার মনে আসে এটা না করলে আমার নিজের তালাক ঐটা না করলে আমার নিজের ওপর তালাক এটা নিয়ে মিথ্যা বললে আমার নিজের ওপর  তালাক । কথাটা যেনো মুখ দিয়ে বের না হয় আমি মুখটা বন্ধ করে রাখি জীব উপরে তালুর সাথেই লাগিয়ে রাখি।মুখ দিয়ে লালা আসে সেটা বার বার গিলি। অনেক সম্পির কথাটা যেনো মুখে না আসে আমার নাক দিয়ে গরম নিঃশাস বের হয়  আমি বড়ো করে নিঃশাস ফেলি। এসব করার মাধ্যমে কি ওই কথাটা কার্যকরী হয়?? নাকি যতক্ষণ আমার মুখ দিয়ে শব্দ বের না হবে ততক্ষন কিছু হবেনা??

ঙ।আমার ননদ আমাকে জিজ্ঞেস করসে শুনসো বাবু আমাকে ডাকসে তখন আমি কোনো শব্দ করিনি শুধু হাসচ্ছি আর মাথা ঝাকাইসি। একা কি কেনায়া কাজ?? কেনায়া কি শুধু শব্দ হয় নাকি কাজ ও কেনায়া হয়??? এভাবে হ্যা বোধক মাথা যাখিয়ে কেউ যদি মনে মনে নিজের ওপর তালাক নেয় সেটা কি হয়ে যাবে??

চ। স্বামী আমাকে কি যেনো জিজ্ঞেস করছিলো তো আমি বলসি হুম??? মানে কি বুঝাতে চাইসি ??? এভাবেই বলার পরে নিজের ওপর তালাক। কথাটা  মনে আসলে কি তালাক হয়?? এটা কি কেনায়া শব্দ??

ছ। স্বামী যদি বলে ভাত খাইসো আমি উত্তর দিসি হুম। মানে বুঝাতে চাইসি খাইসি। তখন  যদি ইচ্ছাকরে নিজের ওপর তালাক কথাটা মনে আনি তাহলে কি তালাক হয়ে যাবে?? এটা কি কেনায়া শব্দ??

অনেগুলো প্রশ্ন হয়ে গেলো হুজুরের একটু কষ্ট করে সবগুলোর উত্তর দিবেন

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
যাকে স্পর্শ করা হবে,সেই নারীর সাথে সহবাসের কামভাব নিয়ে স্পর্শ করতে হবে।নতুবা হুরমত হবে না।
لما في ردالمحتار،ج:٣-ص:٣٣ (نسخة شاملة)
ويشترط وقوع الشهوة عليها لا على غيرها لما في الفيض لو نظر إلى فرج بنته بلا شهوة فتمنى جارية مثلها فوقعت له الشهوة على البنت تثبت الحرمة، وإن وقعت على من تمناها فلا
অর্থাৎ- যাকে স্পর্শ করা হচ্ছে,তাকে নিয়ে কামভাব থাকতে হবে।কেননা বর্ণিত রয়েছে,কেউ যদি তার মেয়ের লজ্জাস্থানের দিকে কামভাব ছাড়া দৃষ্টি দেয়,এবং কল্পনায় অন্য কোনো নারীকে সে সঙ্গী হিসেবে চায়,কিন্তু তৎক্ষণাৎ তার মেয়ের দিকে তার কামভাব জাগ্রত হয়ে যায়,তাহলে তখন হুরমতে মুসাহারা সাব্যস্ত হয়ে যাবে(তথা তার বিবি তার জন্য হারাম হয়ে যাবে)তবে যদি তার কামভাব কল্পিত সে নারীর উপরই থাকে তাহলে হুরমতে মুসাহারাহ সাব্যস্ত হবে না।ফাতাওয়ায়ে শামী-৩/৩৩(শামেলা)( কিতাবুন-নাওয়যিল-৮/২৮৮) (হুরমত আউর এহতিয়াতি তাদাবির-৪৮)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1233

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার এতগুলো প্রশ্ন মনে জাগার একমাত্র কারণ হল, হুরমত সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান না থাকা। আপনি যে ১৭ টি প্রশ্ন করেছেন, সবগুলো প্রশ্নের হল, হুরমত হবে না। এর প্রধানতম কারণ হল, হুরমতের সবক'টি শর্ত একসাথে পাওয়া যাওয়া শর্ত। যেহেতু হুরমতের সবক'টি শর্ত একসাথে পাওয়া যায়নি, তাই হুরমত হবে না।হুরমতের শর্ত সমূহের একটি শর্ত হল, স্পর্শকৃত ব্যক্তির সাথে সহবাসের শর্ত থাকা। এই শর্ত যেহেতু নাই, তাই হুরমত হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (583,410 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...