বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
জবাবঃ-
নারীদের বীর্য রয়েছে কি না সেটা নিয়ে ডাক্তাদের মধ্যে মাতবিরোধ রয়েছে।ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, নারীদেরও বীর্য রয়েছে,
وَمَنِيُّ الْمَرْأَةِ رَقِيقٌ أَصْفَرُ وَالْمَذْيُ رَقِيقٌ يَضْرِبُ إلَى الْبَيَاضِ يَبْدُو خُرُوجُهُ عِنْدَ الْمُلَاعَبَةِ مَعَ أَهْلِهِ بِالشَّهْوَةِ وَيُقَابِلُهُ مِنْ الْمَرْأَةِ الْقَذْيُ، وَالْوَدْيُ بَوْلٌ غَلِيظٌ وَقِيلَ مَاءٌ يَخْرُجُ بَعْدَ الِاغْتِسَالِ مِنْ الْجِمَاعِ وَبَعْدَ الْبَوْلِ. كَذَا فِي التَّبْيِينِ.
মহিলার বীর্য পাতলা,হলুদ বর্ণাটের হয়,এবং নারীদের মযি পাতলা সাদা বর্ণাটের হয়, মযি সহবাসের সূচনায় পুরুষের লিঙ্গ থেকে বের হয়।সহবাসের সূচনায় মহিলার যোনীপথ থেকে যে পিচ্ছিল পদার্থ বের হয়,সেটার নাম কাযি।ওদি হল,গাঢ় প্রস্রাব কেউ কেউ বলেন,ঐ পানি যা সহবাস পরবর্তী গোসলের পর লিঙ্গ থেকে বের হয়,এবং প্রস্রাবের পর বের হয়।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১০)
যাই হোক নারীর যোনিমুখের দু’পাশে বিশেষ গ্রনথি আছে । কামোত্তেজনার সময় এই গ্রনথি থেকে এক রকম তরল রস নির্গত হয়,যা কিনা সারা যোনি- মুখকে ভিজিয়ে পিচ্ছিল করে দেয় যাকে ফিকহের পরিভাষায় কাযি বলে।এবং পরে হলুদ বর্ণাটের কিছু পদার্থ বের হয়,যাকে নারীদের বীর্য বলে।যদি হস্তমৈথুনের সময় ঐ হলুদ বর্ণাটের পিচ্ছিল তরল পদার্থ বের হয়,তাহলেই গোসল ফরয হবে।