আসসালামু আলাইকুম।
তালাক নিয়ে খুবি সন্দেহের মাঝে থাকি,সুস্পষ্ট বিষয় গুলিও পেচায় পেচায় ঘোলা বানিয়ে ফেলি ইদানিং।
স্বামি স্ত্রির মাঝে ঝগড়া হচ্ছিলো তাদের ভাইদের কে নিয়ে।তখন স্বামি স্ত্রি কে মুখে শব্দ করে উচ্চারণ করে বলে যে তুমি যদি আগামি ১ সপ্তাহ বড় ভাই (আব্দুল্লাহ) এর বাসায় যাও বা কোনো কথা বলো বা কোনো হেল্প করো তাহলে তুমি তালাক। সব ভাইদের থেকে অই বড় ভাই আব্দুল্লাহ আমার নিকট অপছন্দনীয় বেশী ছিলো।
পরে স্বামি ভুল বুঝতে পারে যে এভাবে বলা ঠিক হয়নি তার,সেজন্য স্ত্রি আগামি ১ সপ্তাহ বড় ভাই আব্দুল্লাহ এর বাড়িতেও যায়নি এবং কোনো কথাও বলেনাই কিন্তু অন্যান্য আরো যে ৩-৪ ভাই আছে তাদের সাথে কথা বলেছে, তাদের বাড়িতে গেছে, খাইছে দাইছে সব করছে এবং এগুলো স্বামির অনুমতি তেই,তার স্বামি বলছিলো যে আমি তো বড় ভাইয়ের কথা বলেছি এবং হুজুর বলেছিলো যে বিষয়ের সাথে সুস্পষ্ট ভাবে মুয়াল্লাক করা হয় হুবুহু সেই বিষয় যখন পাওয়া যাবে তাখন তালাক পতিত হবে নতুবা হবেনা।সেজন্য স্ত্রি বড় ভাইয়ের বাসায় যাওয়া বাদ দিয়ে বাকি সব কাজ করেছে।
এখন বেশকয়েকদিন ধরে ওয়াসওয়াসা আসতেছে যে বড় ভাইয়ের কথা বলেছিলাম কিন্তু অন্যান্য ভাইদের বাসাতেও তো গেছে, তারাও তো তাদের আপন ভাই।এখন এদের বাসায় যাওয়ার দ্বারাও যদি তালাক পতিত হয়!
তখন তো সব ভাইদের জন্যেই ঝগড়া হচ্ছিলো যদিও আমি শুধু বড় ভাইয়ের কথা খাছ করে শর্ত দিয়েছি তালাকের কিন্তু অন্যান্য ভাইদের সাথেও ঝগড়া হচ্ছিলো এবং তাদের নাম।মুখে উচ্চারণ করিনাই বা নিয়্যাত ও করিনাই এরদ্বারা যদি তালাক হয়ে যায়!!
এভাবে পেচায় পেচায় মনের ভিতর সন্দেহ সৃষ্টি হচ্ছে, কিচ্ছু ভালো লাগেনা।ভয় লাগে,সারাদিন মাথায় এটা না তো সেইটা এবং প্রশ্ন জাগতে থাকে এবং কোনো না কোনোভাবে যাতে তালাক হয় এমনভাবে প্রশ্ন আসতে থাকে মাথায়।
এখন জানতে চাই যে হুজুর
১/আমি শুধু বড় ভাইয়ের কথা বলেছিলো সুস্পষ্ট ভাবে এখন অন্যান্য ভাইদের বাসায় যাওয়ার জন্যে কি বিবি তালাক হবে??বড় ভাইয়ের বাসায় কিন্তু যায়নাই বিবি
২/তালাককে যে বিষয়ে সু স্পষ্ট ভাবে উচ্চারণ করে খাছ করে দেয়া হয় হুবুহু সেই বিষয় পাওয়া গেলেই কি তালাক হবে??নাকি হুবুহু সেই জিনিস না পাওয়া গিয়ে আশপাশের অন্য কিছু পাওয়া গেলেও তালাক হবে??
যেমন বড় ভাই খাছ করা হইছে সে আপন কিন্তু অন্যান্য ভাইও তো আপন ভাই যদিও তাদেরকে খাছ করা হয়নি বা তাদের কথা উচ্চারণ করা হয়নাই
৩/মনের ভিতর ওয়াসওয়াসা আসে যে নিয়্যাত যদি থাকে তাইলে যদি প্রব্লেম হয়!! কয়েকজন মুফতি হুজুরদের নিকট প্রশ্ন করেছিলাম তারা বলেছিলো শর্তযুক্ত তালাকের ক্ষেত্রে মুখ দিয়ে উচ্চারণ করে যে শর্ত দেয়া হবে হুবুহু সেটাই পাওয়া যেতে হবে এখানে মনের ভিতর কি নিয়্যাত বা উদ্যেশ্য ছিলো সেটা ধর্তব্য নয়।মুখে যা বলা হবে সেটাই শর্ত হিসেবে ধরে নেয়া হবে।হুজুর মাসালা কি আসলেই এমন??
(কারন মনের ভিতর ওয়াসওয়াসা আসে যে সব ভাইদের কে নিয়েই তো ঝগড়া হচ্ছিলো, সবার উপরি তো রাগ ছিলো ইত্যাদি ইত্যাদি,,, কিন্তু আমার মনের ভিতর কোনো নিয়্যাত ছিলোনা+অন্য ভাইদের কথাও আমি উচ্চারণ করিনাই)
৪/ওয়াসওয়াসা আসলে কি করবো হুজুর??ভয় হয় মনের অজান্তেই যদি তালাক হয় যা আমি জানিনা বা মনে করতে পারিনা,, কিন্তু কাল কেয়ামতের ময়দানে যদি আল্লাহ ধরে বসে তখন কি হবেনি!!
এভাবে বিভিন্ন ওয়াসওয়াসা আসে মনে,,,হুজুর কি করবো