জবাবঃ-
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
হাদীস শরীফে এসেছে
أخبرنا إسماعیل بن عیاض، حدثنا سعید بن أبی عروبة، من قیس بن سعید، عن مجاهد في الرجل یفجر بالمرأة قال: إذا نظر إلی فرجها فلا یحله له أمها ولا بنتها، أخرجه محمد في الحجج أیضًا ورجاله ثقات (إعلاء السنن: ۱۱/۱۳۲
যার সারমর্ম হলো যদি কেহ কোনো মহিলার লজ্জাস্থানের দিকে দৃষ্টিপাত করে,তাহলে সেই মহিলার মেয়ে বা তার মাকে সে কোনোদিন বিবাহ করতে পারবেনা।
ই'লাউস সুনান ১১/১৩১
أخبرنا أبوحنیفة، عن حماد، عن إبراهیم، قال: إذا قبل الرجل أم أمرأته أو لمسها من شهوةٍ حرمت علیه امرأته، أخرجه محمد في الحجج ورجاله ثقات (إعلاء السنن: ۱۱/۱۳۱)
যার সারমর্ম হলো কেহ যদি তার শাশুড়িকে চুম্বন করে,অথবা উত্তেজনার সাথে স্পর্শ করে,তাহলে স্ত্রী তার উপর চিরজীবনের জন্য হারাম হয়ে যাবে।
বিস্তারিত জানুনঃ-
(০১)
আপন চাচা শ্বশুরের সাথে হুরমত মুসাহারাত হবেনা।
(০২)
★শরীয়তের বিধান মতে, নিজ কন্যার সাথে যিনা করলে বা কামভাব নিয়ে উত্তেজনার সাথে আবরণ ছাড়া স্পর্শ করলে নিজ স্ত্রী তথা ওই মেয়ের মায়ের সাথে স্পর্শকারীর বৈবাহিক সম্পর্ক সম্পূর্ণ ভেঙ্গে যায় এবং স্ত্রী তার জন্যে চিরতরে হারাম হয়ে যায়।
তাই কন্যা বালেগা হবার নিকটবর্তী (সাধারণত কমপক্ষে ৯ বছর) হয়ে গেলে তাকে স্পর্শ করার ক্ষেত্রে পিতার এবং ছেলে বালেগ (সাধারণত কমপক্ষে ১২ বছর) হয়ে গেলে তাকে স্পর্শ করার ক্ষেত্রে মায়ের খুবই সর্তক থাকা উচিৎ।
★প্রথম মাসআলাটি ছিল পিতা-মাতার দিক থেকে। একই কাজ যদি সন্তানের দিক থেকে হয় তবুও পিতা মাতার বিবাহ ভেঙ্গে পরস্পর চিরতরে হারাম হয়ে যাবে। কাজেই মা-কে স্পর্শ করার ক্ষেত্রে পুত্র ও বাবাকে স্পর্শ করার ক্ষেত্রে কন্যার খুব সতর্কতা আবশ্যক।
★উপরোক্ত দুটি মাসআলার মতই শ্বশুর কর্তৃক পুত্রবধূ এবং শাশুড়ি কর্তৃক জামাইকে স্পর্শ করার বিধান। অর্থাৎ শর্তগুলি পাওয়া গেলে স্বামী স্ত্রী পরস্পর হারাম হয়ে যাবে।
★যদি কোন পুরুষ কোন মহিলার সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হয় অথবা কামভাব নিয়ে আবরণহীন তাকে স্পর্শ করে অথবা কামভাব সহকারে মহিলার লজ্জাস্থানের খানিকটা ভিতরাংশে তাকায় অথবা নারী পুরুষের লজ্জাস্থানে তাকায় তাহলে ঐ পুরুষের জন্য ওই মহিলার মা এবং মেয়ে সম্পূর্ণ হারাম হয়ে যায়। আর যদি সেই ব্যক্তি পূর্ব থেকেই ঐ মহিলার মেয়েকে বিবাহ করে থাকে, তাহলে তার সেই স্ত্রী চিরতরের জন্য হারাম হয়ে যাবে।
(০৩)
না,তাকে কিছুই জিজ্ঞাসা করতে হবেনা।
এক্ষেত্রে কোনো হুরমতে মুসাহারাত প্রমানিত হবেনা।
(০৪)
বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ-