আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
871 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (3 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম,
আমি আপনার ওয়েবসাইট এ  দৃষ্টিপাতের মাধ্যমে হুরমতের বিধান সম্পর্কে জানতে পারলাম।এখানে আমার একটি বিষয় জানার ছিল।

১।মহিলাদের লজ্জাস্থানের কিছুটা ভিতরের অংশ জিনিসটা ক্লিয়ার হয় নি।একটু বিস্তারিত বললে উপকৃত হতাম

২।পশ্চাৎদেশ কি লজ্জাস্থানের ভিতরের অংশের অন্তর্ভুক্ত?
যদি কেউ "কাপড়ের উপর" থেকে পশ্চাৎদেশ দেখে অর্থাৎ কাপড় কিছুটা আট শাট হওয়ার পশ্চাৎদেশের আকৃতি  বোঝা যায় সে কারণে উত্তেজিত হয়।এতে হুরমত সাব্যস্ত হবে কি?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


হাদীস শরীফে এসেছে 

أخبرنا إسماعیل بن عیاض، حدثنا سعید بن أبی عروبة، من قیس بن سعید، عن مجاهد في الرجل یفجر بالمرأة قال: إذا نظر إلی فرجها فلا یحله له أمها ولا بنتها، أخرجه محمد في الحجج أیضًا ورجاله ثقات (إعلاء السنن: ۱۱/۱۳۲

যার সারমর্ম হলো যদি কেহ কোনো মহিলার লজ্জাস্থানের দিকে দৃষ্টিপাত করে,তাহলে সেই মহিলার মেয়ে বা তার মাকে সে কোনোদিন বিবাহ করতে পারবেনা।

وفى الدر المختار- والعبرة للشهوة عند المس والنظر لا بعدهما
وفى رد المحتار- ( قوله : والعبرة إلخ ) قال في الفتح : وقوله : بشهوة في موضع الحال ، فيفيد اشتراط الشهوة حال المس ، فلو مس بغير شهوة ، ثم اشتهى عن ذلك المس لا تحرم عليه (رد المحتار-كتاب النكاح، فصل فى المحرمات-4/108)

যার সারমর্ম হলো স্পর্শ,দৃষ্টিপাত করার সময় উত্তেজিত হতে হবে। যদি স্পর্শ করার সময় কেউ উত্তেজিত না হয়, তাহলেও নিষিদ্ধতা প্রমাণিত হবে না। 

★দৃষ্টিপাতের মাধ্যমে হুরমত প্রমাণিত হওয়ার জন্য  অন্যতম একটি শর্ত হলোঃ
দৃষ্টিটি নিবদ্ধ হতে হবে মহিলার লজ্জাস্থানের খানিকটা ভিতরাংশে। শুধু উপরের অংশ দেখার দ্বারা হুরমতে মুসাহারাত সাব্যস্ত হবে না। আর পুরুষের ক্ষেত্রে শুধু লজ্জাস্থান দেখার দ্বারাই হুরমত সাবেত হবে।

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছে   

(لا) تحرم (المنظور إلى فرجها الداخل) إذا رآه (من مرآة أو ماء) لأن المرئي مثاله (بالانعكاس) لا هو (هذا إذا كانت حية مشتهاة) ولو ماضيا (أما غيرها) يعني الميتة وصغيرة لم تشته (فلا) تثبت الحرمة بها أصلا كوطء دبر مطلقا وكما لو أفضاها لعدم تيقن كونه في الفرج ما لم تحبل منه بلا فرق بين زنا ونكاح.(رد المحتار-4/108-109

যার সারমর্ম হলো আয়না বা পানির মধ্যে কাহারো লজ্জাস্থান দেখলে হুরমতে মুসাহারাত প্রমানীত হয়না।  

বিস্তারিত জানুনঃ  

(০১)
প্রথমে লেবিয়া সম্পর্কে  জানুনঃ
ভগোষ্ঠ বা লেবিয়াম (ইংরেজি: labium) এবং (বহুবচন: লেবিয়া)

যার অর্থ হচ্ছে “ওষ্ঠ” বা “ঠোঁট”। লেবিয়াম এবং এর থেকে বু্ৎপত্তি হয়েছে এমন শব্দগুলো, যেমন: লেবিয়াল, ল্যাব্রাম—এগুলো ঠোঁটের মতো গড়ন বিশিষ্ট সব গঠন বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু ইংরেজিতে লেবিয়াম বলতে সচরাচর বোঝানো হয় স্ত্রী প্রজনন তন্ত্রের, ভালভার একটি অংশ। 

★সহজ বাক্যে বললে লেবিয়া হলো যেটিকে মহিলাদের যোনির বাহিরের অংশ বলা হয়। 
এই লেবিয়াকে দুপাশে ছড়িয়ে দিয়ে উন্মুক্ত করে যোনির বিভিন্ন অংশ নির্দেশ করা হলোঃ

উপরের দিক থেকেঃ
১: ক্লিটোরাল হুড
২: ক্লিটোরিস
৩: লেবিয়া মাইনরা
৪: মূত্রনালীর প্রবেশমুখ
৫: যোনির প্রবেশমুখ
৬: পেরিনিয়াম।
(সূত্রঃ উইকিপিডিয়া)  
,
এখানে ০৫ নম্বরে যে উল্লেখ রয়েছে ""যোনির প্রবেশমুখ""
সেটিকেই প্রশ্নে উল্লেখিত  মহিলাদের লজ্জাস্থানের কিছুটা ভিতরের অংশ দ্বারা বুঝানো হয়েছে। 
যেটাকে পরিভাষায় ফরজে দাখিল বলা হয়।
বাহিরের অংশকে ফরজে খারিজ বলা হয়। 
,
(০২)
পশ্চাৎদেশ লজ্জাস্থানের ভিতরের অংশের অন্তর্ভুক্ত নয়।
এর দিকে উত্তেজনার সাথে দৃষ্টিপাত করলে হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হবেনা।
 , 
সুতরাং  কাপড় কিছুটা আট শাট হওয়ার পশ্চাৎদেশের আকৃতি  বোঝা যায় সে কারণে উত্তেজিত হলে এতে হুরমত সাব্যস্ত হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 244 views
...