بَاب الْوُضُوءِ فِي الْمَنَامِ
يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ عُقَيْلٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ بَيْنَمَا نَحْنُ جُلُوسٌ عِنْدَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ بَيْنَا أَنَا نَائِمٌ رَأَيْتُنِي فِي الْجَنَّةِ فَإِذَا امْرَأَةٌ تَتَوَضَّأُ إِلَى جَانِبِ قَصْرٍ فَقُلْتُ لِمَنْ هَذَا الْقَصْرُ فَقَالُوا لِعُمَرَ فَذَكَرْتُ غَيْرَتَهُ فَوَلَّيْتُ مُدْبِرًا فَبَكَى عُمَرُ وَقَالَ عَلَيْكَ بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي يَا رَسُولَ اللهِ أَغَارُ
স্বপ্নে ওযূ করতে দেখা।
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক সময় আমরা রাসূলূল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপবিষ্ট ছিলাম। তখন তিনি বললেন: আমি একবার নিদ্রিত ছিলাম। আমি আমাকে জান্নাতে দেখতে পেলাম এবং (দেখতে পেলাম) যে এক মহিলা একটি প্রাসাদের পাশে ওযূ করছে। আমি বললাম: এ প্রাসাদটি কার? তারা বলল, উমরের। তখন তার আত্মমর্যাদাবোধের কথা মনে করে আমি ফিরে এলাম। তা শুনে ‘উমার (রাঃ) কেঁদে ফেললেন এবং বললেন, আমার পিতা-মাতা আপনার ওপর কুরবান হোক। হে আল্লাহর রাসূল! আপনার কাছেও কি আমি আত্মমর্যাদাবোধ দেখাব?
(বুখারী শরীফ ৭০২৫.[৩২৪২] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৫৩৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৫৫২)
قال أہل التعبیر: رؤیۃ الوضوء في المنام وسیلۃ إلی سلطان أو عمل، فإن أتمہ في النوم حصل مرادہ في الیقظۃ، وإن تعذر لعجز الماء مثلاً، أو توضأ بما لا تجوز الصلاۃ بہ فلا۔ والوضوء للخائف أمانٌ، ویدل علی حصول الثواب وتکفیر الخطایا۔ (فتح الباري، کتاب التعبیر / باب الوضوء في المنام ۱۵؍۵۱۵ دار الکتب العلمیۃ بیروت، ۱۲؍۴۱۷ مکتبۃ ریاض الحدیثۃ)
সারমর্মঃ-
স্বপ্নে অযু করতে দেখা বাদশাহি অথবা কাজের ওসিলা। যদি সে স্বপ্নে অযু পূর্ণ করে,সেক্ষেত্রে জাগ্রত অবস্থায় তার উদ্দেশ্য পূরন হবে,,,,।
হাফেজ ইবনে হজর রহঃ লিখেছেন, স্বপ্নে অযু করতে দেখা কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজ হওয়ার দিকে ইশারা।
যদি অযু পূর্ণ করে থাকে,সেক্ষেত্রে তার গুরুত্বপূর্ণ কোনো কাজ পূর্ণ হয়ে যাবে।
আর যদি অযু অসম্পূর্ণ থাকে,তার তার সেই কাজ মতলকান অসম্পূর্ণ থাকবে।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ১৫/৫৬০)
ফজর নামাজের পাশাপাশি অন্যান্য সমস্ত নামাজই মসজিদে গিয়ে জামাতে পড়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন।