আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
455 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (45 points)
ক্যাডেট কলেজে ছাত্রদের আবাসিক ব্যবস্থায় থাকতে হয় ও হাউজ ভিত্তিক বিভিন্ন প্রতিযোগিতা হয়। প্রতিযোগিতা পদ্ধতি শরিয়ত অসম্মত হয়। তবে খেলাধুলার মাঝখানে খেলোয়াড়দের ছবি তোলা হয়ে থাকে। বিশেষ করে পুরস্কার প্রপ্তদের অধ্যক্ষের হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করতে হয় এবং অধ্যক্ষ সেখানে পুরস্কার প্রাপ্ত খেলোয়াড় এর সাথে ছবি তোলেন ( ক্যডেট হিসেবে মানা করার সুযোগ নেই আমাদের )। একই জিনিস কোন কালচারাল কম্পিটিশনেও হয়ে থাকে। আমি যদি ক্যামেরাম্যান কে বলে দেই যে আপনি আমার ছবি তুলবেন না, এবং তুললেও তা রাখবেন না। মুছে ফেলবেন ( বুঝিয়ে বলি, কিন্তু কি আদৌ মুছে ফেলবেন কিনা সে ব্যপারে আমি নিশ্চিত নই )। তাহলে কি এসব প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ আমার জন্য হালাল হবে। লক্ষনীয় যে আমি যদি ভালো করে পুরস্কার পেয়ে যাই, তবে আমার ছবি তোলা ছাড়া উপায় নেই।

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 

প্রতিযোগিতা যদি শরীয়ত সম্মত হয়,তাহলে এমন প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন করা জায়েজ আছে। 
আর যদি শরীয়ত সম্মত পদ্ধতি না হয়,তাহলে সেখানে অংশগ্রহণ জায়েজ নেই।  
,
★প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন জায়েজ হোক বা নাজায়েজ হোক, তবে ছবি তোলা উভয় ছুরতেই  নাজায়েজ।  

আরো জানুনঃ
.
যেহেতু প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ছবি তুলতেই হবে,তাই এমন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ যদিও জায়েজ হোক,তারপরেও তাকওয়ার খাতিরে অংশগ্রহণ না করাই উত্তম। 

ইসলামের মৌলিক বিধান হচ্ছে, জড়বস্তুর ছবি তোলা ও আঁকায় শরয়ী কোন বিধিনিষেধ নেই। আর প্রাণীর ছবি প্রয়োজন ছাড়া তোলা, সংরক্ষণ করা, প্রকাশ করা, ব্যবহার করা হারাম।  
অনেক বিশেষজ্ঞের মতে ডিজিটাল ক্যামেরায় ছবি তোলা, কম্পিউটার ও মোবাইলে সংরক্ষিত ছবিও ‘নিষিদ্ধ ছবি’র অন্তর্ভুক্ত বিধায় এটিও হারাম। 

যেখানে শরয়ী জরুরত বিদ্যমান বলে ওলামাগণ মনে করেন, সেখানে দ্বীন সুরক্ষার বিশেষ প্রয়োজনে ক্যামেরা সহযোগে ফটো তোলা নিষেধ নয়। অনুরুপভাবে পরিচয়পত্র এবং পাসপোর্ট তৈরি বা এজাতীয় বিশেষ প্রয়োজনে ফটো তোলা যায়। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ছবি তোলা, আঁকা এবং তা প্রকাশ করা কোরআন, হাদিস, ইজমা ও কিয়াসের ভিত্তিতে সব ইমাম ও ফিকহ বিশেষজ্ঞ ও সমকালীন মুফতিদের মতে জায়েয নয়। (ফিকহি মাকালাত; তকি উসমানী : ৪/১২৩)
ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলা আর ছবি আঁকার বিধান একই। উভয়টিই না-জায়েজ। কেননা শরীয়তে যেই বিষয় মৌলিকভাবে জায়েয নয় তা করার যন্ত্র পাল্টে গেলেও তার হুকুম পাল্টে না, যেমন মদ খাওয়া হারাম। হাতে মদ বানালে যেই হুকুম, মেশিনে বানালেও একই হুকুম। যেমন মানুষ হত্যা করা হারাম, হাতে হত্যা করা যেমন হারাম কোন নব আবিস্কৃত যন্ত্রের মাধ্যমেও হত্যা করলেও একই বিধান প্রযোজ্য। হাদিস শরীফে এসেছে,
قال حدثنا الاعمش عن مسلم قال كنا مع مسروق فى دار يسار بن نمير فراى فى صفته تماثيل فقال سمعت عبد الله قال سمعت النبى ﷺ يقول ان اشد الناس عذابا عند الله المصورون
আ’মাশ তিনি  মুসলিম হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি মাসরুকের  সঙ্গে ইয়াসার ইবনে নুমাইরের ঘরে ছিলাম, তিন ঘরের মধ্যে প্রাণীর ছবি দেখতে পেলেন, অতঃপর বললেন, আমি হযরত আব্দুল্লাহ্  রাযি.-এর নিকট শুনেছি, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, ‘নিশ্চয় মানুষের মধ্যে ঐ ব্যক্তিকে আল্লাহ্ তাআলা কঠিন শাস্তি দেবেন, যে ব্যক্তি প্রাণীর ছবি তোলে বা আঁকে।’ (বুখারী ২/৮৮০)

ছবি তোলা হারাম কেন,জানুনঃ


আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

كُلُّ مُصَوِّرٍ فِي النَّارِ يُجْعَلُ لَهُ بِكُلِّ صُورَةٍ صَوَّرَهَا نَفْسٌ فَيُعَذِِّبُهُ فِي جَهَنَّمَ

প্রত্যেক ছবিনির্মাতা জাহান্নামে যাবে, তার নির্মিত প্রতিটি ছবি পরিবর্তে একটি করে প্রাণ সৃষ্টি করা হবে, যা তাকে জাহান্নামে শাস্তি দিতে থাকবে। (বুখারী ২২২৫, ৫৯৬৩, মুসলিম ৫৬৬২)

ছবি সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...