আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
149 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (91 points)
edited by

১. "ভবিষ্যতে কাফের হওয়ার নিয়ত করলে কাফের হয়ে যায় " এমনটা আমরা জানি।  তবে আপনি একটা প্রশ্নের জবাবে বলেন, 

 প্রশ্নঃ  কেও যদি ভাবে যে এইরকম পরিস্থিতি আসলে বিদেশে সহজে যাওয়ার জন্য কুফরী করে ফেলবে ও পরে তওবা করে নিবে, কিন্তু পরক্ষণেই তার এই ভাবনার জন্য অনুতপ্ত হলো। এভাবে কুফরি করার নিয়ত করলে কি সে কাফের হয়ে যাবে?

জবাবঃ(০৪)এভাবে শুধুমাত্র কুফরি করার নিয়ত করলে সে কাফের হয়ে যাবেনা।

( এই লিংক এর চার নং প্রশ্নঃ https://ifatwa.info/60655/)

এইক্ষেত্রে আপনার কাফের নয় এই রায়ের পিছনে,কারণ টা কি সংক্ষেপে জানানো যায় কি শায়েখ? জানলে উপকার হতো, তাকি মনে মনে ভেবে মুখে কিছু না বলার জন্য না কি অন্য কোনো বিষয়?

২. কেও যদি পরে কাফের হওয়ার নিয়ত করে তবে সে তাত্কণিক কাফের হয়ে যায়, এই কথা কিভাবে সঠিক, মানে মনে নিয়ত করলেই হবে?না কি মুখে নিয়ত করতে হবে?

৩. কারো মনে মনে হঠাৎ কুফরি কাজ করার ইরাদা এসে যায়,মানে এমনটা করবো বা এইভাবে, পরপরেই মনে হয় এসব কি যা তা ভাবছি। পরে অনুতপ্ত হয়, এরজন্য কি উনি কাপৈর হবেন?

৪. আমি ও আমার বউ দুজনে দূরে থাকি, অর্থনৈতিক কারণে, তো কেনো তাকে আমার কাছে রাখি না এজন্য সে রাগ  করে সেদিন বলছে,"মাঝে মাঝে মনে হয় বিয়া না ওইলে আমি হয়ত এখন অন্য কোনোখানো বিয়া করতাম"।  তার পর আমি বলি"তোমার কি বেশি তাগিদ মনে হইতাছে? আমার তো তোমার শখ আহ্লাদ নষ্ট করার অধিকার নাই, নষ্ট হইতাছে তা সত্যি।" তখন সে বলে," বিয়া করার সময় দুজনেরই ইসব ভাবার উচিত আছলো! পরে আমি বললাম  "এখন কি করবো?" সে বললো" কিছু করার নাই"।  আমাদের কথোপকথনে কি কোনো বিবাহে সমস্যা হবে?

৫. একটা গান গাইতাম আগে, যার একটা লাইন ছিলো " শায়েদ পিছলি জনম মে মোলাকাত হো না হো" (এই লাইন ঠিন নয়, গ্রমারলি ভুল আছে) কিন্তু একদন খেয়াল হয় যে এই গানে তো আগের জনমের কথা বলছে। তার পরে এই গান নিজে জেনে কখনো গেয়েছি বলে মনে হচ্ছে না, তাও মাঝেমধ্যে সন্দেহ হয়। আমার কি ইমান/বিয়েতে সমস্যা হবে?

৬. কেও যদি মজা করে বলে " সে কাগজ নষ্ট করে নিজেকে শয়তানের ভাই হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়" এটা শুনে কেও হাসলে কি, তা কোরআনের আয়াত নিয়ে হাসি তামাশা হবে? (কোরআনের প্রতি অপমান জনক, বা অস্বীকারের কিছু নাই, কথাটা শুনে হাসি উঠে গিয়েছিলো)

৭.  স্ত্রীর সাথে কথোপকথনের সময় বলি,,  নবী(সাঃ) জাহান্নামে নারী বেশি দেখেছেন, তখন সে বললো "আলেমদের ও বেশি দেখেছেন"/ নারীর পরে আলেমের সংখ্যা জাহান্নামে বেশি দেখেছেন""  আমি বললাম এই বিষয়ে জানি না। পরে সে বললো, আল্লাহ না নবী(সাঃ) জানি বলেছেন যে " আখেরি জামানায় আলেমরা জাহান্মামে যাবে" এই রকম ই কি একটা কথা বলেছিলো, মনে নাই ঠিক। পরে আমি বলি এটাও জানি না আমি।

তার কথা কি ঠিক?আর ভুল হলে তার কি ইমানে সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (566,160 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفٰى عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ اللهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي مَا حَدَّثَتْ بِه„ أَنْفُسَهَا مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَتَكَلَّمْ

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ আমার উম্মতের হৃদয়ে যে খেয়াল জাগ্রত হয় তা ক্ষমা করে দিয়েছেন, যতক্ষণ না সে তা কার্যে পরিণত করে বা মুখে উচ্চারণ করে।
[বুখারী শরীফ ৫২৬৯.২৫২৮] আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৭৮)

অন্য এক হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ لِي عَنْ أُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ صُدُورُهَا، مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَكَلَّمْ ".

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, (আমার বরকতে) আল্লাহ আমার উম্মতের অন্তরে উদিত ওয়াসওয়াসা (পাপের ভাব ও চেতনা) মাফ করে দিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তা কাজে পরিণত করে অথবা মুখে বলে। (সহীহ বুখারী ২৫২৮)

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সে শুধুমাত্র নিয়ত করেছিলো,বাস্তবে মুখেও কিছু বলেনি,বা কুফরি মূলক কোনো কাজও করেনি।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তি কাফের হয়ে যাবেনা।

(০২)
পরবর্তীতে যদি সে আসলেই কাফের হয়ে যায়,সেক্ষেত্রে যখন কাফের হওয়ার মতো কাজ করবে,তখন কাফের হবে।
আর আগে নয়।

(০৩)
এই জন্য তিনি কাফের হয়ে যাবেননা।

(০৪)
আপনাদের উক্ত কথোপকথনে বিবাহে কোনো সমস্যা হবেনা।

(০৫)
আপনার ঈমান/বিয়েতে সমস্যা হবেনা। 

(০৬)
তা কুরআনের আয়াত নিয়ে হাসি তামাশা হবেনা।

(০৭)
নারীর পরে আলেমের সংখ্যা জাহান্নামে বেশি দেখেছেন,এ কথা সঠিক নয়।

তবে এ কথা বলার দরুন তার ঈমানে সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 127 views
...