আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
143 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (23 points)
আসসালামু আলাইকুম,
আমি কিছুদিন আগে BACI-SEIP সরকারী প্রশিক্ষণ সংস্থার আওতায় একটি প্রশিক্ষন নিয়েছিলাম। যেখানে গরীবদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তবে সেখানে উল্লেখ নেই যে গরীবদেরকেই নির্দিষ্ট করে সেখানে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এখানে প্রায় অনেকেই যথেষ্ট সচ্ছল পরিবারের যুবকরাই প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকে। মূলত বেকার যুবকরাই বেশি প্রশিক্ষণ নেয়।
আমি যথেষ্ট সচ্ছল পরিবারের একজন যুবক। কিন্তু বেকার। বাবা একজন কৃষক। বড় ভাই একটি এনজিওতে স্বল্প বেতনে চাকরি করেন। যে বেতন পান তা দিয়ে আমার লেখাপড়ার খরচটা দিতে পারেন। ওনার নিজের পরিবার আছে। বাবাকে টাকা দিতে পারেন না (টুকটাক দেন)। আমাদের আলহামদুলিল্লাহ জমি-জমা আছে ভালোই।
এখন আমি যেখানে প্রশিক্ষণ নিয়েছি সেখানে গরীবরাই প্রশিক্ষণ নিতে পারবে সে কথা উল্লেখ নেই তবে বিভিন্ন কাগজপত্র দিতে গিয়ে বুজতে পারলাম সম্ভবত সেটা গরীবদের জন্যেই হবে। গরীব হতে গেলে যেসব শর্ত লাগবে সেগুলো কাগজপত্রে স্যারেরাই ফিলআপ করেছে। ওই কোর্সটি ৩ মাসের। তারপর কোর্স শেষে একমাস পর ১০৮০০টাকা মোবাইল ব্যাংকে BACI-SEIP থেকে তারা দিয়ে দেয়। অবশ্য এর জন্য শর্ত হলো ৩মাসে প্রতিদিন ক্লাসে এটেন্ড থাকতে হবে। ১দিন এবসেন্সে ১৫০টাকা কাটা যাবে। আমি এবসেন্স ছিলাম না। ফলে পুরো টাকাটাই পেয়েছি।

১। এখানে আশঙ্কা করছি কোনো কারণে আমি গরীবদের হক নষ্ট করে ফেললাম কি না? যেহেতু আমি যথেষ্ট সচ্ছল পরিবারের সদস্য। আর সেখানে গরীবদেরকে প্রায়োরিটি দিয়ে থাকে। তবে আমি একজন বেকার। ওই প্রশিক্ষণ নেওয়াটা আমার জন্য প্রয়োজন ছিল। এর মাধ্যমে নিজের কাজ করার যোগ্যতা পূরণ করতে পেরেছি।

২। আর যদি গরীবদের হক নষ্ট করেই থাকি, সেই গোনাহ থেকে পবিত্র হবো কি করে?

1 Answer

0 votes
by (559,290 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ الْمَقْبُرِيُّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ كَانَتْ لَهُ مَظْلَمَةٌ لأَخِيهِ مِنْ عِرْضِهِ أَوْ شَيْءٍ فَلْيَتَحَلَّلْهُ مِنْهُ الْيَوْمَ قَبْلَ أَنْ لاَ يَكُونَ دِينَارٌ وَلاَ دِرْهَمٌ إِنْ كَانَ لَهُ عَمَلٌ صَالِحٌ أُخِذَ مِنْهُ بِقَدْرِ مَظْلَمَتِهِ وَإِنْ لَمْ تَكُنْ لَهُ حَسَنَاتٌ أُخِذَ مِنْ سَيِّئَاتِ صَاحِبِهِ فَحُمِلَ عَلَيْهِ

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের সম্ভ্রমহানি বা অন্য কোন বিষয়ে যুলুমের জন্য দায়ী থাকে, সে যেন আজই তার কাছ হতে মাফ করিয়ে নেয়, সে দিন আসার পূর্বে যে দিন তার কোন দ্বীনার বা দিরহাম থাকবে না। সে দিন তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার যুলুমের পরিমাণ তা তার নিকট হতে নেয়া হবে আর তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার প্রতিপক্ষের পাপ হতে নিয়ে তা তার উপর চাপিয়ে দেয়া হবে।
(বুখারী শরীফ ২৪৪৯.৬৫৩৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৭০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২৮৭)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
https://ifatwa.info/7744/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-
যে ব্যক্তি নেসাব পরিমাণ মালের মালিক হবে।চায় সে ক্রমবর্ধমান নেসাব পরিমাণের মালিক হোক বা অক্রমবর্ধমান মালের মালিক হোক।সর্বাবস্থায় ঐ ব্যক্তি শরীয়তের দৃষ্টিতে ধনী হিসেবে বিবেচিত হবে। 

والأولى أن يفسر الفقير بمن له ما دون النصاب كما في النقاية أخذا من قولهم يجوز دفع الزكاة إلى من يملك ما دون النصاب أو قدر نصاب غير تام، وهو مستغرق في الحاجة،

ফকিরের উত্তম ব্যখা হলো,যার নেসাব পরিমাণ মাল নেই।সুতরাং যার নেসাব পরিমাণ মালে নামী(ক্রমবর্ধমান) নাই বা যার নেসাব পরিমাণ মালে গায়রে নামী(ক্রমবর্ধমান নয়)আছে, তবে সে হাজতে লিপ্ত, এমন ব্যক্তিকে যাকাত দেয়া যাবে।
(বাহরুর রায়েক্ব-২/২৫৮)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার নিজ মালিকানায় তো নিজস্ব সম্পদ নেই,আবার আপনি বেকার।
সেক্ষেত্রে শরীয়তের পরিভাষায় আপনাকে ধনী বলা যায়না।
আপনি গরিব।
সেই ভিত্তিতে যদি উক্ত প্রশিক্ষণ শুধুমাত্র গরিবদের জন্যই হয়ে থাকে,সেক্ষেত্রেও আপনার জন্য উক্ত প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকে নাজায়েজ বলা হবেনা।
এটি জায়েজ। 
,
সুতরাং এক্ষেত্রে আপনি গরীবদের হক নষ্ট করে ফেলেননি।
আপনাকে বিষয়টি নিয়ে টেনশন করতে হবেনা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (23 points)
আলহামদুলিল্লাহ, জাযাকুমুল্লাহি খইর।
অসংখ্য ধন্যবাদ শাইখ উত্তর করার জন্য। খুব টেনশনে ছিলাম।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...