১) আসলে ব্যাপারটা হলো এমন,
আমার প্রস্রাবের সমস্যা আছে, এখন প্রস্রাব সবসময় পড়তেই থাকে। কিন্তু বাথ্রুম করার পর আমি পুরো পায়ে পানি ঢালি। তো সেগুলো তো তোয়ালে দিয়ে মুছতে হয়। এখন বাথ্রুম থেকে রুমে যাওয়ার পথেই কিছু প্রস্রাব বের হয়ে পড়ে। এখন আমি হাটুর নিচের অংশ টুকু মুছি। তো হাটুর নিচেও প্রস্রাব এসে পড়েছিল কিনা, সেটা আমি সিউর না। তাহলে কি সবকিছুকে পাক ধরব?
পূর্বের প্রশ্নের ২ নং প্রশ্নের ভিত্তিতেঃ
২)
যদি কখনো এমন হয়ে যায় আমার কারনে অনেক জায়গায় অদৃশ্যমান নাপাকি ছড়িয়ে গেছে যেটা আমার পক্ষে ধুয়া কষ্টসাধ্য, তাহলে কি এভাবে দুয়া করা যাবে?
❝হে আল্লাহ, যে যে জিনিসগুলাতে নাপাকি লেগেছে তুমি সেই জিনিসগুলোর পরিবর্তে হুবুহু সেরকম জিনিস দিয়ে দাও।কিন্তু অইটা হবে পাক, এমন জিনিস দিয়ে দাও?❞
ক)
অথবা,
যে স্থান গুলোতে নাপাকি লেগেছে সেগুলো সবগুলো যদি আমি পাক না করতে পারি তাহলে আমি কি সেগুলো পাক না করে আল্লাহর কাছে শুধুমাত্র ক্ষমা চেয়ে নিতে পারব?
পূর্বের প্রশ্নের ৩নং প্রশ্নের ভিত্তিতে ঃ
৩) আমি নিশ্চিত সেখানে নাপাকি লেগেছে এবং সেই অবস্থায় এক ব্যক্তি নামাজ পড়েছে। এমতাবস্থায়ও কি একই উত্তর অর্থাৎ সেই ব্যক্তির নামাজ হবে এবং আমার কুফর হবে না?
৪)
মুখের ভিতরে অদৃশ্যমান নাপাকি এসে পড়েছিল একবার। এখন মুখ তো সবসময় ভিজা থাকে। কথা বলার সময় মুখ থেকে একটু লালা বাইরে এসে সামনের জিনিসে লাগে( আশা করি বুঝতে পেরেছেন কেমন লালা, মানে বেশি পরিমাণে নয়, হালকা থুথু দিলে যেমন হয়, তেমন লালাই বের হয়ে সামনের জিনিসে লাগে), এখন সেই সামনের জিনিস টা কি নাপাক হয়ে যাবে???
ক)এমতাবস্থায় অর্থাৎ মুখের ভিতর অদৃশ্যমান নাপাকি থাকা অবস্থায় যদি আমি মুখের ভিতর আংুল দেই এবং আংুল এ লালা ভরে যায়, তাহলে কি হাত নাপাক হয়ে যাবে?
[ বিঃদ্রঃ অদৃশ্যমান নাপাকির কোন চিহ্ন বা গন্ধের অস্তিত্ব নেই]