আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ,
বিশ্বব্যাপী মুসলমানরা আজ জালেমের জুলুমের স্বীকার, ফিলিস্তিন কাশ্মীর,আরাকান,উইঘুর,ইয়ামেন, সিরিয়া এইভাবে নাম বললে শুধু তালিকা লম্বা হবে তবে শেষ হবেনা। ধর্ষণ,বোম্বিং করে হত্যা, জোর করে দাড়ি কেটে দেওয়া, এহেন কোনো জুলুম নেই যা করা হচ্ছেনা তাদের প্রতি,
০১) এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে আমরা মুসলিম হিসেবে আমার আরেক মুসলিম ভাই/বোন/মা কে বাঁচাতে আমাদের করণীয় কি? হাশরের ময়দানে যদি আমার এই মুসলিম বোনেরা আমার বিরুদ্ধে যদি এই অভিযোগ করে যে আমাকে রাতের পর রাত ধর্ষন করা হয়েছে কিন্তু কোনো মুসলিম ভাই আমাকে বাচাতে আসেনি, তখন আমরা কি জবাব দিবো?
০২) বর্তমানে সারাবিশ্বেই আল্লাহর দ্বীনের রাহবার হক-পন্থী উলামায়ে কেরামরা শাসকের জুলুমের স্বীকার, কারাগারে বন্দি তাদের বাচাতে আমাদের করনীয় কি? আলেমরা যদি আমাদের দিকে আঙ্গুল তুলে যে ,আমরা কা-পুরুষের মতো ঘরে বসে ছিলাম, তখন আমাদের উত্তর কি হবে?
০৩) ফিলিস্তিন,উইঘুর,কাশ্মীর এর মুসলিমদের বাচাতে জিহাদের হুকুম কি? ফারজে আইন নাকি ফারজে কিফায়া?
i) ফিলিস্তিনিদেরকে কু-খ্যাত ইসরায়েল এর হাত থেকে যদি কেও বাচাতে এগিয়ে যায় এইটা কি ফারজে আইন না ফারজে কিফায়া? যেমনটা সালাহুদ্দিন আইয়ুবী রহ. করেছিলেন, আমি জানি এখন আমাদের মাঝে কোনো খালিদ বিন ওয়ালিদ রা., তারেক বিন জিয়াদ, মুহাম্মদ বিন কাসিম, মুহাম্মদ আল ফাতিহ রহ., সালাহুদ্দীন আইয়ুবী রহ. এর মতোন বীর নেই যে এই কাজে এগিয়ে যাবে, তবুও এর বিধান জানতে চাচ্ছি।
০৪) আমি শুনেছিলাম যে, একটা হাদিস আছে কোন দেশে যদি অন্যায়ভাবে একজন নারীকেও বন্দি করে রাখা হয়, তাহলে নাকি সে দেশের মানুষের উপর ফরজ হয়ে যায় তাকে বাচানো। এইটা কি সত্যিই হাদিস? হাদিস হলে আমি এই হাদিস টার বিস্তারিত জানতে চাচ্ছি।
০৫) তাদের জন্য দুয়া করেই শুধু আমার দায়িত্ব শেষ হয়ে যাবে কিনা?