বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
শরীয়তের মূলনীতি হল,কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ ফিস যদি না থাকে,তাহলে ছেলেদের জন্য জায়েয যদি শরীয়ত বিরোধী কোনো কর্মকান্ড তাতে না থাকে।যদি ফিস থাকে তবে জায়েয হবে না।কেননা তখন এটা জুয়া হয়ে যাবে,যা পরিস্কার হারাম।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ إِنَّمَا الْخَمْرُ وَالْمَيْسِرُ وَالأَنصَابُ وَالأَزْلاَمُ رِجْسٌ مِّنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ فَاجْتَنِبُوهُ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ
হে মুমিনগণ, এই যে মদ, জুয়া, প্রতিমা এবং ভাগ্য-নির্ধারক শরসমূহ এসব শয়তানের অপবিত্র কার্য বৈ তো নয়। অতএব, এগুলো থেকে বেঁচে থাক-যাতে তোমরা কল্যাণপ্রাপ্ত হও।(সূরা মায়েদা-৯০)
ইসলামের বিধান বলে, যদি টাকা দিয়ে ফরম নিয়ে কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করতে হয় তাহলে তা সুদ ও জুয়ার অন্তর্ভূ্ক্ত হওয়ায় এ ধরনের কুইজ প্রতিযোগিতার অংশ গ্রহণ করা জায়েয হবে না।
তবে যদি ফরম ক্রয় ব্যতীতই অংশ গ্রহণ করা যায় তাহলে সেখানে অংশ গ্রহণ করা বা তা থেকে প্রাপ্ত পুরস্কার গ্রহণ করা জায়েয আছে।
( আদ-দুররুল মুখতার: ৯/৫৭৭, কেফায়াতুল মুফতি: ৯/২২৫)
আরো জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতকে ভবিষ্যতবানীর অন্তর্ভুক্ত ধরা হবেনা।
এগুলো মূলত দলের শক্তিমত্তার উপর ভিত্তি করে, বর্তমান পারফরম্যান্স এর উপর ভিত্তি করে, সম্ভাবনার উপর ভিত্তি করে বলা হয়ে থাকে।
এটিকে নিশ্চিত হিসেবে বলা হয়না।
,
সুতরাং এক্ষেত্রে উক্ত উত্তর প্রদানে অংশগ্রহণ এর ফিস না থাকলে সেক্ষেত্রে এই পুরস্কার গ্রহনকে হারাম বলা যায়না।
তবে যেহেতু এটি হারাম খেলা সংশ্লিষ্ট বিষয়, তাই সতর্কতা মূলক এধরনের অনার্থক কাজ ও গিফট গ্রহন করা থেকে বেঁচে থাকাই উচিত।
কেননা সন্দেহপূর্ণ জিনিষ থেকে বেঁচে থাকাই তাকওয়ার নিকটবর্তী।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
হাসান ইবনে আলী রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে।
ﻭﻋﻦ ﺍﻟﺤَﺴَﻦِ ﺑﻦ ﻋَﻠﻲٍّ ﺭﺿﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻗَﺎﻝَ : ﺣَﻔِﻈْﺖُ ﻣِﻦْ ﺭَﺳُﻮﻝ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﷺ : « ﺩَﻉْ ﻣَﺎ ﻳَﺮِﻳﺒُﻚَ ﺇِﻟﻰ ﻣَﺎ ﻻ ﻳﺮِﻳﺒُﻚ » ﺭﻭﺍﻩُ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ ﻭﻗﺎﻝ : ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ ﺻﺤﻴﺢٌ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি।তিনি বলেন,সন্দেহ যুক্ত জিনিষকে পরিহার করে সন্দেহমুক্ত জিনিষকে গ্রহণ করো।(সুনানু তিরমিযি-২৪৪২)