ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
কাউকে ভালো কাজের আদেশ দিয়ে সর্বদা নিজের আ'মলে নিয়ে আসা প্রত্যেক দাঈর একান্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য।
হাদিস শরিফে এসেছেঃ-
وَعَنْ أَبِي زَيدٍ أُسَامَةَ بنِ حَارِثَةَ رَضِيَ الله عَنهُمَا، قَالَ : سَمِعتُ رَسُولَ الله ﷺ، يَقُولُ: «يُؤْتَى بالرَّجُلِ يَوْمَ القيَامَةِ فَيُلْقَى في النَّارِ، فَتَنْدَلِقُ أقْتَابُ بَطْنِهِ فَيدُورُ بِهَا كَمَا يَدُورُ الحِمَارُ في الرَّحَى، فَيَجْتَمِعُ إِلَيْه أهْلُ النَّارِ، فَيَقُولُونَ : يَا فُلانُ، مَا لَكَ ؟ أَلَمْ تَكُ تَأمُرُ بالمعْرُوفِ وَتنهَى عَنِ المُنْكَرِ ؟ فَيقُولُ : بَلَى، كُنْتُ آمُرُ بِالمَعْرُوفِ وَلا آتِيهِ، وأنْهَى عَنِ المُنْكَرِ وَآتِيهِ». مُتَّفَقٌ عَلَيهِ
আবু যায়দ উসামাহ ইবনে যায়দ ইবনে হারেসাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, কিয়ামতের দিন এক ব্যক্তিকে আনা হবে। অতঃপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। সেখানে তার নাড়ি-ভুঁড়ি বের হয়ে যাবে এবং সে তার চারিপাশে এমনভাবে ঘুরতে থাকবে, যেমন গাধা তার চাকির চারিপাশে ঘুরতে থাকে। তখন জাহান্নামীরা তার কাছে একত্রিত হয়ে তাকে বলবে, ওহে অমুক! তোমার এ অবস্থা কেন? তুমি না (আমাদেরকে) সৎ কাজের আদেশ, আর অসৎ কাজে বাধা দান করতে?’ সে বলবে, অবশ্যই। আমি (তোমাদেরকে) সৎকাজের আদেশ দিতাম; কিন্তু আমি তা নিজে করতাম না এবং অসৎ কাজে বাধা দান করতাম; অথচ আমি নিজেই তা করতাম!’’ [বুখারি৩২৬৭, ৭০৯৮, মুসলিম ২৯৮৯, আহমদ ২১২৭৭, ২১২৮৭, ২১২৯৩, ২১৩১২]
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
কাউকে ভালো কাজের আদেশ দিয়ে সর্বদা নিজের আ'মলে নিয়ে আসা প্রত্যেক দাঈর একান্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য। হ্যা, বিশেষ কোনো প্রয়োজনে উক্ত ভালো কাজ নিজে ভুলে গেলে বা আ'মলে নিয়ে না আসলে কোনো গোনাহ হবে না।তবে যিনি দাওয়াত দিবেন উনার উচিৎ,তিনি যেন ঐ কাজ নিজের আমলে পরিণত করার নিয়তে অন্যকে দাওয়াত দেন।
বিস্তারিত জানুনঃ-
★সুতরাং আপনি বিশেষ কোনো খারাপ কাজ থেকে বিরত না থাকলে কি অন্য কাওকে তা থেকে বিরত থাকার নসীহাহ দিতে পারবেন।
তবে এটি দাঈর স্বভাব হতে পারেনা,আর এর দ্বারা তা'ছির হয়না।
(০২)
কাফের ফাসেকদের সাথে সাদৃশ্যতা থাকায় এধরনের জার্সি দিলে পরিধান করা যাবেনা।
তাহা ফিরিয়ে দিতে হবে।
আর ফিরিয়ে দেয়ার অপশন না থাকলে গরিব কাউকে স্রেফ পরিধানের জন্য দিতে পারেন।
(০৩)
যে পরিমাণ হালাল টাকা সেই ব্যবসায় দেয়া হবে,পার্সেন্ট আকারে সেই পরিমান লভ্যাংশকে হালাল বলা হবে।
(০৪)
ভাড়া হালাল হবে কিনা,সেটি ডিপেন্ড করে লোন কোম টাকায় শোধ করছে।
যদি সে লোন হালাল টাকায় শোধ করে,তাহলে ভাড়া হালাল।
আর যদি লোন হারাম টাকায় শোধ করে,তাহলে ভাড়া হারাম।
বিস্তারিত জানুনঃ-
(০৫)
তার পুরো ইনিকাম বা অধিকাংশ ইনকাম হারাম হলে তার দাওয়াত খাওয়া যাবেনা।
আর তার পুরো ইনকাম বা অধিকাংশ ইনকাম হালাল হলে তার দাওয়াত কবুল করা যাবে।
(০৬)
এটি দায়িত্ব ও কর্তব্যের অন্তর্ভুক্ত।
বিষয়টি এমন নয় যে নিজে আমল না করে কাওকে সেই নেক কাজের আদেশ করাই যাবেনা।
(০৭)
এতে সে উম্মাহর খেদমতের নিয়ত করলে ছওয়াব পাবে।