بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
https://ifatwa.info/31191/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,
শরীয়তের বিধান
হলো পিতার উপার্জন যদি পুরাটাই হারাম হয়,
তাহলে সন্তানের নিজের সামর্থ থাকলে পিতার হারাম উপার্জন ভোগ করা জায়েজ
নয়। আর যদি পিতার উপার্জন হালাল হারাম মিশ্রিত হয়,তাহলে হালাল
বেশি থাকলে সেট ভক্ষন করা তার সন্তানদের জন্য জায়েজ। আর যদি হারামই বেশি হয়,তাহলে তাহা ভক্ষন করা জায়েজ হবেনা।
হাদীস শরীফে এসেছে
عبد الله بن
مسعود عن أبيه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لعن الله آكل الربا وموكله وشاهديه
وكاتبه
হযরত আব্দুল্লাহ
বিন মাসউদ রাঃ এর পিতা থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-“যে সুদ খায়, যে সুদ খাওয়ায়, তার সাক্ষী
যে হয়, আর দলিল যে লিখে তাদের সকলেরই উপর আল্লাহ তায়ালা অভিশাপ
করেছেন। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-৩৮০৯, মুসনাদে আবি ইয়ালা, হাদিস নং-৪৯৮১)
مسألة إذا
كان الحرام أو الشبهة في يد أبويه فليمتنع عن مؤاكلتهما فإن كانا يسخطان فلا
يوافقهما على الحرام المحض بل ينهاهما فلا طاعة لمخلوق في معصية الله تعالى فإن
كان شبهة وكان امتناعه للورع فهذا قد عارضه أن الورع طلب رضاهما بل هو واجب
فليتلطف في الامتناع فإن لم يقدر فليوافق وليقلل الأكل بأن يصغر اللقمة ويطيل
المضغ ولا يتوسع فإن ذلك عدوان (احياء علوم الدين- 2/147)
যার সারমর্ম হলো
যদি বাবার উপার্জন হারাম হয়,তাহলে সেখান থেকে খাবার গ্রহন করা থেকে বিরত থাকতে হবে। তারা যদি জোড় করে,
তাহলেও তাদের কথা অনুযায়ী খাওয়া যাবেনা। কম খেতে হবে, ছোট ছোট লোকমা বানিয়ে তাদের দেখানোর জন্য শুধু খাবে,,,
فى الفتاوى
الهندية- أهدى إلى رجل شيئا أو أضافه إن كان غالب ماله من الحلال فلا بأس إلا أن
يعلم بأنه حرام ، فإن كان الغالب هو الحرام ينبغي أن لا يقبل الهدية ، ولا يأكل
الطعام إلا أن يخبره بأنه حلال ورثته أو استقرضته من رجل ، كذا في الينابيع
(الفتاوى الهندية، كتاب الكراهية، كتاب الكراهية-5/342، رد المحتار-6/247)
যার সারমর্ম হলো যদি জানা যায় যে সেটার
অধিকাংশই হারাম, তাহলে সেটা গ্রহন করা যাবেনা। আর যদি হালাল
সম্পদ বেশি হয়, হারাম কম থাকে, তাহলে তা
গ্রহন করা যাবে।
আরো জানুনঃ https://ifatwa.info/6658/
** নারীকে প্রধান বানিয়ে তার অধীনে কাজ করা জায়েজ নয়।তবে
সহযোগী হিসেবে পর্দার সাথে কাজ করতে কোন অসুবিধা নেই।{ফাতাওয়া মুফতী মাহমুদ-১১/৩৭৪-৩৭৫}
عن أبي بكرة
قال : عصمني الله بشيء سمعته من رسول الله صلى الله عليه و سلم لما هلك كسرى قال
من استخلفوا ؟ قالوا ابنته فقال النبي صلى الله عليه و سلم لن يفلح قوم ولو أمرهم
امرأة (سنن الترمذى-كتاب الفتن، باب من
باب ما جاء في لانهي عن سب الرياح، رقم الحديث-2262
হযরত আবু বাকরা
রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন-যখন কিসরা পদানত হল তখন তাকে বলতে শুনেছি-কে তার পরবর্তী
খলীফা? বলা
হল-তার মেয়ে। তখন রাসূল সাঃ ইরশাদ করেন-সে জাতি সফলকাম হয় না,
যাদের প্রধান হল নারী। {সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-২২৬২, সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৬৬৮৬, সুনানে নাসায়ী কুবরা, হাদীস নং-৫৯৩৭, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৪৯০৭}
عن أبي هريرة
قال : قال رسول الله صلى الله عليه و سلم وإذا كان أمراؤكم شراركم وأغنياؤكم
بخلاءكم وأموركم إلى نسائكم فبطن الأرض خير لكم من ظهرها (سنن الترمذى-كتاب الفتن
عن رسول الله صلى الله عليه و سلم، باب من باب ما جاء في لانهي عن سب الرياح، رقم
الحديث-2266
হযরত আবু হুরায়রা
রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-যখন তোমাদের নেতারা তোমাদের মাঝের বদলোক হয়।
আর তোমাদের ধনীরা হয় কৃপণ, আর
তোমাদের কর্মকর্তা হয় মহিলা। তাহলে জমিনের পেট তার পিঠের তুলনায় তোমাদের জন্য উত্তম।
[অর্থাৎ মৃত্যু তোমাদের জন্য উত্তম জমিনের উপরে বেঁচে থাকার চেয়ে।] {সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-২২৬৬}
এক- প্রয়োজন, অপরাগতা কিংবা ঠেকায় পড়ার পরিস্থিতি ছাড়া
সাধারণ অবস্থায় নারীদেরকে ঘরে অবস্থান করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। শরীয়ত তাদের ওপর এমন
দায়িত্ব আরোপ করে নি, যার কারণে
তাদের ঘরের বাইরে যেতে হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ
تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى
‘আর তোমরা
স্বগৃহে অবস্থান করবে এবং জাহিলিয়াতযুগের মত নিজেদেরকে প্রদর্শন করে বেড়াবে না।’(সূরা
আহযাব ৩৩)
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,
الْمَرْأَةُ عَوْرَةٌ ، وَإِنَّهَا إِذَا
خَرَجَتِ اسْتَشْرَفَهَا الشَّيْطَانُ ، وَإِنَّهَا لا تَكُونُ أَقْرَبَ إِلَى
اللَّهِ مِنْهَا فِي قَعْرِ بَيْتِهَا
‘নারী গোপন
জিনিস, যখন সে ঘর থেকে বের হয় শয়তান
তাকে তাড়া করে। আর সে আল্লাহ তাআলার সবচে’ নিকটতম তখন হয় যখন সে নিজের ঘরের মাঝে লুকিয়ে
থাকে।’ (তাবরানী ২৯৭৪)
নারী মসজিদে যাওয়ার বিষয়ে রাসূলুল্লাহ ﷺ
বলেন,وَبُيُوتُهُنَّ خَيْرٌ لَهُنَّ ‘তাদের জন্য তাদের ঘর উত্তম।’
(আবু দাউদ ৫৬৭) এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানার জন্য জন্য পড়তে পারেন–জিজ্ঞাসা
নং–১৬৬
নারী চাকরির খাতিরে ঘর থেকে বের হতে পারবে। তবে এর জন্য
কিছু নিয়ম ও শর্ত রয়েছে। নিয়ম ও শর্তগুলো মেনে চললে নারীর জন্য ঘর থেকে বের হওয়া জায়েয
হবে; অন্যথায় নয়। যেমন,
*যদি সত্যিকারে তার চাকরি করার প্রয়োজন দেখা দেয়
তাহলে তার জন্য চাকরি করা জায়েয হবে।
*চাকরিটা তার দৈহিক, মানসিক স্বভাব ও রুচির সঙ্গে সামন্জস্যশীল
হতে হবে। যেমন, ডাক্তারি, নার্সিং, শিক্ষা, সেলাই কিংবা এ জাতীয় পেশা হতে হবে।
*কর্মক্ষেত্রে পর্দার পরিপূর্ণ পরিবেশ থাকতে হবে। অন্যথায়
জায়েয হবে না।
*চাকরির
কারণে যাতে পরপুরুষের সঙ্গে সফর করতে না হয়।
*কর্মক্ষেত্রে আসা-যাওয়ার পথে যাতে কোন হারাম
কাজ করতে না হয়। যেমন, ড্রাইভারের সঙ্গে একাকী যাওয়া, পারফিউম ব্যবহার করা ইত্যাদি।
নারীর প্রধান কাজ ও দায়িত্ব হচ্ছে স্বামীর খেদমত করা, তার সন্তুষ্টি অন্বেষণ করা ও মাতৃত্বের
দায়িত্ব পালন করা। যদি চাকরি করতে গিয়ে এসব দায়িত্ব পালনে ব্যাপক অসুবিধা হয় তাহলে
তার জন্য চাকরি করা জায়েয হবে না। (ফাতাওয়াল মারআতিল মুসলিমাহ ২/৯৮১ ফিকহুন নাওয়াযিল
৩/৩৫৯)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!
১,৩. উপরের আলোচনার ভিত্তিতে আপনি খেয়াল করবেন যে, আপনার মা বাবার অধিকাংশ ইনকাম হালাল নাকি
হারাম? প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার
মা বাবার উপার্জনের অধিকাংশই যদি হালাল হয়, তাহলে আপনি মা বাবার উপার্জন থেকে খেতে
পারবে। আর যদি তাদের অধিকাংশই হারাম হয়, তাহলে আপনার বাবার উপার্জন থেকে খেতে পারবেননা।
আপনি টিউশনি করে হোক বা অন্য কোনো ভাবে হোক, নিজের খরচ চালানোর জন্য চেষ্টা চালিয়ে
যাবেন। এমতাবস্থায় মা বাবার উপার্জন থেকে খেয়ে থাকলে সেই পরিমান টাকা (পরবর্তীতে হলেও)
ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিবদের মাঝে দান করে দিতে হবে। এমতাবস্থায় তাদের কথা অনুযায়ী প্রয়োজনের অতিরিক্ত
ফল বা নাস্তা ইত্যাদী খাবেন না। বরং কৌশলে স্বল্প পরিমাণে খাওয়ার চেষ্টা করবেন। আপনি চেষ্টা করবেন
তাদেরকে বৈধ পন্থায় উপার্জন করতে। হেকমত ও কৌশলে তাদেরকে বুঝাবেন। তাদের সাথে
খারাপ আচরণ করা যাবে না।
২. আপনার বোনের জন্য প্রয়োজন পরিমাণ গ্রহণ করা জায়েয আছে।
তবে আপনি প্রাপ্ত বয়স্ক হলে নিষেধাঙ্গা আপনার জন্য। অসংখ্য শিক্ষার্থী এমন আছেন যারা
পড়াশুনার পাশাপাশি টিউশনি বা ফ্রিল্যান্সিং করে হালাল পন্থায় নিজের খরচ নিজেই বহন করেন।
সুতরাং ইনকাম করলে পড়াশুনা বাদ দিতে হবে কথাটি সঠিক নয়।