بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
https://ifatwa.info/35428/ নং ফতোয়াতে
উল্লেখ রয়েছে যে,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ
اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: "إِنَّ مِنْ كَفَّارَةِ الْغِيبَةِ
أَنْ تَسْتَغْفِرَ لِمَنِ اغْتَبْتَهٗ تَقُولُ: اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لَنَا وَلَهٗ.
رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ فِىْ الدَّعَوَاتِ الْكَبِيرِ".
আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ গীবতের
কাফফারাহ্ হলো, গীবতকারী যার গীবত করেছে, তার জন্য মাগফিরাত প্রার্থনা করবে এবং এভাবে বলবে, হে আল্লাহ! আমাকে এবং তাকে ক্ষমা করো। (আদ্ দা‘ওয়াতুল কাবীর লিল বায়হাক্বী
৪৭৮,মেশকাত ৪৮৭৭)
এই হাদীসের ব্যাখ্যায় এসেছেঃ
(إِنَّ
مِنْ كَفَّارَةِ الْغِيبَةِ) গীবতের কাফফারার মধ্য হতে এটি একটি। অর্থাৎ যথাযথভাবে তাওবাহ্ করার পর গীবতের
কাফফারার মধ্যে একটি হচ্ছে :
(أَنْ
تَسْتَغْفِرَ لِمَنِ اغْتَبْتَهٗ) তুমি যার গীবত করেছ তার
জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবে।
(تَقُولُ: اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لَنَا وَلَهٗ) এ কথা বলে, হে আল্লাহ! তুমি আমাদেরকে ও তাকে ক্ষমা করে দাও। (এখানে
বহুবচন শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে, যদি গীবতকারী দলবদ্ধ
জামা‘আত হয়, সেদিকে লক্ষ্য করে অথবা মুসলিম
সম্প্রদায়ের প্রতি লক্ষ্য করে)
হাদীসের আলোকে প্রতীয়মান হয় যে, এ ধরনের ক্ষমা প্রার্থনা তখন হবে যখন গীবত তার নিকট না
পৌঁছে। যদি গীবত তার কাছে পৌঁছে থাকে তাহলে অবশ্যই তার নিকট থেকে ক্ষমা চেয়ে
মুক্তি নিতে হবে এভাবে : তার নিকট গিয়ে উক্ত কথা উল্লেখ করে ক্ষমা চাইবে। যদি তা
করা সম্ভব না হয়, তাহলে প্রতিজ্ঞা করবে যে, যখনই তাকে পাবে তার নিকট গিয়ে ক্ষমা চাইবে। যদি সে ক্ষমা
করে দেয় তাহলেই তার ওপর থেকে দায়িত্বমুক্ত হবে। আর যদি এ সমস্ত কাজ করতে অপারগ হয়
গীবতকৃত ব্যক্তির মারা যাওয়ার কারণে বা তার অনুপস্থিতির কারণে সেক্ষেত্রে আল্লাহর
নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করবে এবং তার অনুগ্রহ ও দয়া কামনা করবে এবং প্রতিপক্ষকে নিজ
দয়ায় যেন সন্তুষ্ট করে দেন সেই প্রার্থনা করবে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
এমতাবস্থায় আপনি নিজের জন্য ইস্তেগফার করার পাশাপাশি তার
জন্যও আল্লাহ তায়ালার নিকট দোয়া ও ইস্তেগফার করবেন। এবং সুকৌশলে তার থেকে ক্ষমা চেয়ে
নিবেন। কথা প্রসঙ্গে এভাবে বললেন যে, আমি যদি আপনাকে কখনো কষ্ট দিয়ে থাকি বা
আপনার কোন হক নষ্ট করে থাকি তাহলে আমাকে ক্ষমা করে দিয়েন। উক্ত কথা বলার পর তিনি
ক্ষমা করলে আপনি মাফ পেয়ে যাবেন ইনশাল্লাহ।
উল্লেখ্য
যে, "কারো
নাম উল্লেখ না করে গীবত করলে এতে গীবত হবে
না। কিন্তু উপস্থিত লোকেরা যদি বুঝতে পারে যে অমুক ব্যক্তিকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে
তবে তা গীবত বলে গণ্য এবং হারাম হবে। তাই সর্বাবস্থায় এহেন কাজ থেকে বেঁচে থাকা উচিত।
আরো জানুনঃ-
https://ifatwa.info/4700/