আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
119 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
closed by

সরি দুইবার প্রশ্ন করার জন্যে।

গত প্রশ্নটা ক্লিয়ারলি করতে পারি নি।

১.ছোটবেলাই একজনের (ধরলাম ক) সাথে খারাপ আচরণ করেছিলাম।অনেকবছর পর আরেকজনকে(খ) দিয়ে ওই মানুষটাকে(ক কে) যদি বলাই আমি ওর সাথে খারাপ আচরণ করেছিলাম তাই আমি ওর কাছে ক্ষমা চেয়েছি। আর ক যদি খ কে বলে ক আমাকে ক্ষমা করে দিলো।তাহলে ক্ষমা হবে?(মানে আমার নাম উল্লেখ করে বলে যে আমি ক্ষমা চেয়েছি) আর আমি এও বলেছিলাম যদি কোনরকম কষ্ট দিয়ে থাকি ক্ষমা করতে। আর ও বলে ক্ষমা করে দিয়েছে। তাহলে ক্ষমা হবে না?
এভাবে অন্যকে দিয়ে মাফ চাওয়া যায় না?

আরেকটু ক্লিয়ারলি বললে আমি চাচতো ভাই দিয়ে বলিয়েছি যারা একই বিল্ডিংয়ে থাকে।

২.আরেকটা প্রশ্ন ছিল খারাপ আচরণ  কি সেটা উল্লেখ করেই মাফ চাইতে হবে?
যেহেতু আমার মনে হয়েছিল মনে থাকবে।আবার মনে হচ্ছে ওর মনে নেই। কারণ এটা ছোটবেলাই।

যদি মনে না থাকে ওর।আর যদি মাফ করে দিয়েছি বলে তাহলে মাফ হয়ে যাবে কি না।


৩.যেমন আমি কারো গিবত করলে ওকে যদি বলি আমি তোমার নামে গিবত করেছি।আর ও যদি মাফ করে দিয়েছি বলে মাফ হবে না?
নাকি আমি কি গিবত করছি মানে মানুষকে ও এটা করেছে এই বলে গিবত করেছি এটা সহ বলতে হবে?

closed

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
selected by
 
Best answer
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: "إِنَّ مِنْ كَفَّارَةِ الْغِيبَةِ أَنْ تَسْتَغْفِرَ لِمَنِ اغْتَبْتَهٗ تَقُولُ: اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لَنَا وَلَهٗ. رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ فِىْ الدَّعَوَاتِ الْكَبِيرِ".

আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ গীবতের কাফফারাহ্ হলো, গীবতকারী যার গীবত করেছে, তার জন্য মাগফিরাত প্রার্থনা করবে এবং এভাবে বলবে, হে আল্লাহ! আমাকে এবং তাকে ক্ষমা করো।
(আদ্ দা‘ওয়াতুল কাবীর লিল বায়হাক্বী ৪৭৮,মেশকাত ৪৮৭৭)

এই হাদীসের ব্যাখ্যায় এসেছেঃ

(إِنَّ مِنْ كَفَّارَةِ الْغِيبَةِ) গীবতের কাফফারার মধ্য হতে এটি একটি। অর্থাৎ যথাযথভাবে তাওবাহ্ করার পর গীবতের কাফফারার মধ্যে একটি হচ্ছে :

(أَنْ تَسْتَغْفِرَ لِمَنِ اغْتَبْتَهٗ) তুমি যার গীবত করেছ তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবে।

(تَقُولُ: اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لَنَا وَلَهٗ) এ কথা বলে, হে আল্লাহ! তুমি আমাদেরকে ও তাকে ক্ষমা করে দাও। (এখানে বহুবচন শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে, যদি গীবতকারী দলবদ্ধ জামা‘আত হয়, সেদিকে লক্ষ্য করে অথবা মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি লক্ষ্য করে)

হাদীসের আলোকে প্রতীয়মান হয় যে, এ ধরনের ক্ষমা প্রার্থনা তখন হবে যখন গীবত তার নিকট না পৌঁছে। যদি গীবত তার কাছে পৌঁছে থাকে তাহলে অবশ্যই তার নিকট থেকে ক্ষমা চেয়ে মুক্তি নিতে হবে এভাবে : তার নিকট গিয়ে উক্ত কথা উল্লেখ করে ক্ষমা চাইবে। যদি তা করা সম্ভব না হয়, তাহলে প্রতিজ্ঞা করবে যে, যখনই তাকে পাবে তার নিকট গিয়ে ক্ষমা চাইবে। যদি সে ক্ষমা করে দেয় তাহলেই তার ওপর থেকে দায়িত্বমুক্ত হবে। আর যদি এ সমস্ত কাজ করতে অপারগ হয় গীবতকৃত ব্যক্তির মারা যাওয়ার কারণে বা তার অনুপস্থিতির কারণে সেক্ষেত্রে আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করবে এবং তার অনুগ্রহ ও দয়া কামনা করবে এবং প্রতিপক্ষকে নিজ দয়ায় যেন সন্তুষ্ট করে দেন সেই প্রার্থনা করবে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)
,
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
এখানে মূল বিষয় হলো আপনি যার হক গীবত ইত্যাদি  করবেন,সেই খবর যদি তার কাছে গিয়ে পৌছে,তাহলে বিষয়টি উল্লেখ করে তার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
আর যদি তার কাছে বিষয়টি না পৌছে,তাহলে বিষয়টি উল্লেখ করতে হবেনা।
সাধারণ ভাবে মাফ চাইলেই হবে।
,
(১.২)
উল্লেখিত ছুরতে মাফ হয়ে যাবে।
তবে আপনার জন্য উত্তম হবে,নিজেই তার কাছে গিয়ে মাফ চাওয়া।
,
(০৩)
হ্যাঁ মাফ হয়ে যাবে।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...