আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
131 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (23 points)
১/ কারো ওয়াইফাই কি ব্যবহার করা যাবে যদি তারা জানে যে তাদের ওয়াইফাই ব্যবহার করছি। কিন্তু তাদের অনুমতি ছাড়াই ব্যবহার করছি অপর দিকে তারা জানে কিন্তু কিছু বলে না।

এখন আমি তাদের হক নষ্ট করছি? আমার কি করা উচিত তাদের ওয়াইফাই ব্যবহার করা নাকি না করা?

২/ইচ্ছাকৃত কারো আমানত নষ্ট করলে কি করনীয়?

৩/নামাজে কি মেয়েদের পুরো পা ঢাকবে নাকি পায়ের টাকনু পর্যন্ত ঢাকবে?

1 Answer

0 votes
by (60,180 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

অন্যর মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত কারো জন্য হালাল হয় না।বিদায় এসব পরিত্যাজ্য।

কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ

ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ

তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু। সূরা নিসা -২৯

 

এবং হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,

عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ "

নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য  অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না। (তালখিসুল হাবীর-১২৪৯)

আরো জানুন- https://www.ifatwa.info/3747 

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

১. না, অন্যের ওয়াইফাই বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা জায়েজ হবে না। তবে যদি কারোর ব্যাপারে জানা যায় যে, সে তার ওয়াইফাই ব্যবহার সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছে যেমন, স্টেশন, বাস টার্মিনাল ইত্যাদি, তাহলে সেই ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে। সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনি তার থেকে অনুমতি নিয়ে ব্যবহার করবেন। আর ইতিপূর্বে যতদিন ব্যবহার করেছেন তার জন্য তাকে একটা মূল্য দিয়ে দিবেন বা তার কাছে মাফ চেয়ে নিবেন।

২. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে তাকে উক্ত আমানতের ক্ষতি পূরণ দিবেন।

. পুরো পা ঢেকে রাখাই উত্তম তবে যদি উভয় পা (টাখনু পর্যন্ত) প্রকাশ পায় তাহলেও নামায শুদ্ধ হয়ে যাবে রদ্দুল মুহতার: ২/৯৩ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...