জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
অমুসলিমরা চিরস্থায়ী ভাবে জাহান্নামি,তাদের জন্য দোয়া করার দ্বারা তাদের কোনো লাভ হবেনা।
সূরা হুদ-এ আল্লাহ তাআলা বলেন,
فَأَمَّا الَّذِينَ شَقُوا فَفِي النَّارِ لَهُمْ فِيهَا زَفِيرٌ وَشَهِيقٌ .خَالِدِينَ فِيهَا مَا دَامَتْ السَّمَوَاتُ وَالأَرْضُ إِلاَّ مَا شَاءَ رَبُّكَ إِنَّ رَبَّكَ فَعَّالٌ لِمَا يُرِيدُ. وَأَمَّا الَّذِينَ سُعِدُوا فَفِي الْجَنَّةِ خَالِدِينَ فِيهَا مَا دَامَتْ السَّمَوَاتُ وَالأَرْضُ إِلاَّ مَا شَاءَ رَبُّكَ عَطَاءً غَيْرَ مَجْذُوذٍ
অতএব যারা হতভাগ্য তারা জাহান্নামে যাবে, সেখানে তারা আর্তনাদ ও চিৎকার করতে থাকবে। তারা সেখানে চিরকাল থাকবে, যতদিন আসমান ও যমীন বর্তমান থাকবে। তবে তোমার প্রতিপালক অন্য কিছু ইচ্ছা করলে ভিন্ন কথা। নিশ্চয় তোমার পরওয়ারদেগার যা ইচ্ছা করতে পারেন। আর যারা সৌভাগ্যবান তারা জান্নাতের মাঝে, সেখানেই চিরদিন থাকবে, যতদিন আসমান ও যমীন বর্তমান থাকবে। তবে তোমার প্রভু অন্য কিছু ইচ্ছা করলে ভিন্ন কথা। এ দানের ধারাবাহিকতা কখনো ছিন্ন হওয়ার নয়। (সূরা হুদ ১০৬-০১৮)
কোনো অমুসলিম প্রতিবেশী বা উপকারকারী মারা গেলে তার জন্য সমবেদনা প্রকাশ করার অবকাশ আছে। এক্ষেত্রে তার পরিবারস্থ লোকদেরকে সান্ত্বনা দিতে পারেন বা তাদের সহযোগিতা করতে পারেন।
কিন্তু তাদের জন্য দোয়া করা নাজায়েজ।
(তাফসীরে রূহুল মাআনী ২/২৩ তাফসীরে কুরতুবী ২/১১৯ ও ১৮/৪০ আহকামুল কুরআন ৫/৪৫ মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা ১৩/৫৬৫ ও ৭/৩৭৮ মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক ৬/৪২)
তবে কোনোক্রমেই আল্লাহর কাছে তার ক্ষমার জন্য দোয়া করা যাবে না। মুসলিম উম্মাহর কোনো ফকীহ বা আলেমের এ বিষয়ে ভিন্ন মত নেই। (আলমাজমূ ৫/১২০) কেননা, আল্লাহ তাআলা বলেন-
مَا كَانَ لِلنَّبِیِّ وَ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْۤا اَنْ یَّسْتَغْفِرُوْا لِلْمُشْرِكِیْنَ وَ لَوْ كَانُوْۤا اُولِیْ قُرْبٰی مِنْۢ بَعْدِ مَا تَبَیَّنَ لَهُمْ اَنَّهُمْ اَصْحٰبُ الْجَحِیْمِ
“নবী ও যারা ঈমান এনেছে তাদের পক্ষে মুশরিকদের জন্য মাগফিরাতের দোয়া করা সঙ্গত নয়, তারা তাদের আত্মীয়-স্বজন হলেই বা কি এসে যায়, যখন একথা সুষ্পষ্ট হয়ে গেছে যে, তারা জাহান্নামেরই উপযুক্ত।”(সূরা আত তওবা : ১১৩)
কুরআন মজীদে আল্লাহ তাআলা বলেন-
وَلَا تُصَلِّ عَلَى أَحَدٍ مِنْهُمْ مَاتَ أَبَدًا وَلَا تَقُمْ عَلَى قَبْرِهِ إِنَّهُمْ كَفَرُوا بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ وَمَاتُوا وَهُمْ فَاسِقُونَ.
(তরজমা) কখনো তাদের কেউ মারা গেলে তুমি তার জানাযা পড়ো না এবং তার কবরের পাশে দাঁড়িও না (দুআ-ইস্তিগফারের জন্য বা দাফন-কাফনের জন্য)। তারা তো আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং না-ফরমান অবস্থায় মারা গেছে।-সূরা তাওবা (৯) : ৮৪), তরজমা : তাফসীরে উসমানী, ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
,
আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
لَّا يَتَّخِذِ الْمُؤْمِنُونَ الْكٰفِرِينَ أَوْلِيَآءَ مِن دُونِ الْمُؤْمِنِينَ ۖ وَمَن يَفْعَلْ ذٰلِكَ فَلَيْسَ مِنَ اللَّهِ فِى شَىْءٍ
মুমিনরা যেন মুমিনদের ছাড়া কাফিরদেরকে বন্ধু না বানায়। আর যে কেউ এরূপ করবে, আল্লাহর সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, অমুসলিমদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহন করা থেকে ইসলাম নিষেধ করেছেন,সুতরাং তাদেরকে ভালোবাসাও জায়েজ নেই।
,
যেহেতু তাদেরকে ভালোবাসাও জায়েজ নেই,তাই ভালোবাসার জায়গা থেকে তাদের জন্য দোয়া করারও কোনো সুযোগ নেই।
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতটিও নাজায়েজ।