আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
244 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (10 points)
ﺍَﻟﺴَّﻼَﻡْ ﻋَﻠَﻴْــــــــــــــــــــﻜُﻢْ ﻭَ ﺭَﺣْﻤَﺔُ ﺍﻟﻠﮧِ ﻭَﺑَﺮَﻛَﺎﺗُﻪ

প্রিয় শায়েখ,
(১) "কওমি আলেম" এবং "সালাফী আলেম" এর মধ্যে পার্থক্য কি?
(২) "কওমি মাদ্রাসা" এবং "আলিয়া মাদ্রাসা" এর মধ্যে পার্থক্য কি?

1 Answer

0 votes
by (561,180 points)
edited by
জবাবঃ- 
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
https://ifatwa.info/15106/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-
মহান আল্লাহ ইরশাদ করেনঃ  

وَالسَّابِقُونَ الْأَوَّلُونَ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنصَارِ وَالَّذِينَ اتَّبَعُوهُم بِإِحْسَانٍ رَّضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ وَرَضُوا عَنْهُ وَأَعَدَّ لَهُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِي تَحْتَهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا أَبَدًا ۚ ذَٰلِكَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ

“আর যেসব মুহাজির ও আনসার (ঈমান আনয়নে) অগ্রবর্তী এবং প্রথম, আর যেসব লোক সরল অন্তরে তাদের অনুগামী, আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারাও তাতে সন্তুষ্ট। তিনি তাদের জন্য এমন। উদ্যানসমূহ প্রস্তুত করে রেখেছেন, যার তলদেশে নদীমালা প্রবাহিত; যার মধ্যে তারা চিরস্থায়ীভাবে অবস্থান করবে, এ হল বিরাট সফলতা।” (তাওবাহঃ ১০০)।

ইবনে মাসউদ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,

خَيْرُ النَّاسِ قَرْنِي، ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ، ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ، ثُمَّ يَجِيءُ أَقْوَامٌ تَسْبِقُ شَهَادَةُ أَحَدِهِمْ يَمِينَهُ، وَيَمِينُهُ شَهَادَتَهُ

“সর্বোত্তম যুগ হল আমার (সাহাবীদের) শতাব্দী। অতঃপর তৎপরবর্তী (তাবেয়ীদের) শতাব্দী। অতঃপর তৎপরবর্তী (তাবেতাবেয়ীনদের) শতাব্দী। অতঃপর এমন সম্প্রদায়ের আগমন ঘটবে, যাদের একজনের কসমের আগে সাক্ষি হবে, আবার সাক্ষির আগে কসম। হবে।”
(বুখারী ২৯৫২, মুসলিম ২৫৩৩নং হাদীস)

সহীহ মুসলিম (২৫৩৬নং)এ আয়েশা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করল, কোন লোকেরা সর্বশ্রেষ্ঠ? উত্তরে তিনি বললেন, “আমি যে শতাব্দীতে আছি (তার লোকেরা)। অতঃপর দ্বিতীয়, অতঃপর তৃতীয়।”

فإن كلمة "السلف" في اللغة بمعنى السابق والمتقدم في الزمن، ويقابلها: "الخَلَف" بمعنى اللاحق والآتي بعدُ.

সালাফ আস-সালেহীন অর্থ, পূর্ববর্তী (নেককার) ব্যক্তিগণ।

সালাফ আস-সালেহীন শব্দের ব্যাপক অর্থ ও প্রয়োগক্ষেত্র হতে পারে।

وأما في اصطلاح العلماء، فإن كلمة "السلف" يُقصد بها: الصحابة رضي الله تعالى عنهم، والتابعون، وتابعوهم؛ أهلُ القرون الثلاثة المفضَّلة، الذين زكَّاهم النبي صلى الله عليه وسلم بقوله: خَيْرُ النَّاسِ قَرْنِي، ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ، ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ، ثُمَّ يَجِيءُ أَقْوَامٌ تَسْبِقُ شَهَادَةُ أَحَدِهِمْ يَمِينَهُ، وَيَمِينُهُ شَهَادَتَهُ. رواه البخاري ومسلم. 

উলামায়ে কেরামদের পরিভাষায়  সালফে সালেহীন বলতে বুঝায় প্রথম তিন স্বর্ণযুগের লোকদেরকে, তথা; সাহাবায়ে কিরাম, তাবেয়ীন ও তাবে তাবেয়ীন এবং আমাদের সম্মানিত হেদায়েতপ্রাপ্ত ইমামগণ।
যেমন উপরে উল্লেখিত হাদীস।

সুতরাং পরবর্তীতে তাদের অনুসরণকারী এবং তাঁদের পথ অবলম্বনকারী প্রত্যেক ব্যক্তিকে তাঁদের প্রতি সম্বোধন করতঃ সালাফী বলা হয়।

তবে পরিভাষায় বা প্রসিদ্ধি হিসেবে শুধুমাত্র তাদেরকেই সালাফী বলা হয়,যারা হাম্বলী মাযহাবের অনুসারী হয়ে তাকলীদে গায়রে সাখসী করে থাকেন।

আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের যে দশটি উল্লেখযোগ্য আকিদার কথা পাওয়া যায়,সেই দশটি আকিদাকে আহলে হাদীস সম্প্রদায় মেনে থাকেন।সেজন্য তাদেরকে আহলে সুন্নাত থেকে খারিজ বলা যাবে না।তবে যেহেতু তারা তাকলীদ সম্পর্কে ইজমায়ে উম্মতের খেলাফ অবস্থান করেন,এবং মুকাল্লিদ উলামায়ে কেরামদেরকে ভালমন্দ বলে থাকেন,তাই তাদের দিকে উলামায়ে করাম নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি লালন করে থাকেন। 
,
আরো জানুনঃ 
,
★ফিকহের ক্ষেত্রে তারা অধিকাংশ হাম্বলী মাযহাবের অনুসারী হয়ে তাকলীদে গায়রে সাখসী করে থাকেন।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
বর্তমানে আমরা সালাফী বলতে তাকলীদ গায়রে শাখসী যারা করে থাকেন,তাদেরকেই বুঝি।অর্থাৎ যারা নির্দিষ্টভাবে কোনো ইমামের তাকলীদ করেন না।

সুতরাং তাদের আলেম উলামাদেরকে সালাফী আলেম বলা হয়।

আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের যে দশটি উল্লেখযোগ্য আকিদার কথা পাওয়া যায়,সেই দশটি আকিদাকে বর্তমান সালাফিরাও মেনে থাকেন।সেজন্য তারাও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অন্তর্ভুক্ত।

সালাফিরা মূলত হাম্বলী মাযহাবের একাংশ যারা ব্যক্তি তাকলীদ করেন না।তবে তারা অন্যদেরকে ভালমন্দ কিছু বলেন না।

বিস্তারিত জানুনঃ  

আর যারা হানাফি মাযহাব অনুসরন করেন,দারুল উলুম দেওবন্দ এর নিয়ম নীতি ফলো করে তাদের রুপরেখা অনুপাতে তৈরী কৃত সিলেবাস অনুযায়ী কোনো কওমি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে ফারেগ হোন,তাদেরকে কওমি আলেম বলে। 

(০২)
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...