আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
356 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (21 points)

ঈমান নিয়ে আমার কিছু প্রশ্ন ছিল।

(১) আল্লাহর ক্ষমা সংক্রান্ত আয়াত (যেমন- সুরা যুমার : আয়াত ৫৩) জানার পরও, যদি কেউ নিজ গুনাহের কারণে বা ওয়াসওয়াসাজনিত কারণে হতাশায় পড়ে যায়, তখন যদি কোনো মুফতী বা কাউকে জিজ্ঞাসা করে তার মাফ পাওয়ার সম্ভাবনা আছে কিনা বা হাদীসের ক্ষমা সংক্রান্ত কোনো ঘটনার কথা মনে করে বা আল্লাহর ক্ষমা সংক্রান্ত কোনো হুজুরের বক্তব্য শুনে আল্লাহর রহমতের প্রতি নিজের আস্থাকে আরও দৃঢ় করে, তাহলে কি কোরআনের ক্ষমা সংক্রান্ত আয়াতগুলোর উপর অবিশ্বাস প্রদর্শন করা হয়ে যায়?

(২) যখন কেউ ওয়াসওয়াসায় পড়ে যায় বা নিজের গুনাহের কারণে হতাশায় পড়ে যায়, তখন যদি আল্লাহর রহমতের প্রতি নিজের আস্থাকে আরও দৃঢ় করার জন্য সে এভাবে চিন্তা করে যে, ”অন্তত সে ঈমান এনেছে বা আল্লাহ তাকে হেদায়েত দিয়েছে, অনেকে বিধর্মীতো হেদায়েত-ই পায়নি বা অনেকে তো ঈমান-ই আনেনি ”---এভাবে চিন্তা করলে কি তা কি অহংকার বা কোনো গুনাহের পর্যায়ে চলে যায়?

(৩) অথবা কোনো নবমুসলিম যদি শয়তানের ওয়াসওয়াসায় পড়ে যায় বা নিজের গুনাহের কারণে হতাশায় পড়ে যায় তাহলে সে কি এভাবে চিন্তা করতে পারবে যে, “আল্লাহ তাকে হেদায়েত দিয়েছেন, যদি হেদায়েত না দিতেন তাহলে তো ইসলামেই আসা হতো না, হেদায়েত যখন দিয়েছেন আল্লাহ চাইলে সকল ভুলত্রুটি ক্ষমা করে দিতে পারেন।” আল্লাহর ক্ষমা সংক্রান্ত আয়াতসমূহ থাকার পরও হতাশা বা ওয়াসওয়াসা দূর করার জন্য কোনো নবমুসলিম এভাবে চিন্তা করতে পারবে কি?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


কুরআনের একটি আয়াতকে অস্বীকার করলে,আল্লাহর আকাট্য ভাবে প্রমানীত  যেকোনো ফরজ বিধান অস্বীকার করলে ব্যাক্তি কাফের হয়ে যাবে।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 
وَالَّذِينَ كَفَرُوا وَكَذَّبُوا بِـَٔايٰتِنَآ أُولٰٓئِكَ أَصْحٰبُ النَّارِ ۖ هُمْ فِيهَا خٰلِدُونَ

আর যে লোক তা অস্বীকার করবে এবং আমার আয়াতগুলোকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করার প্রয়াস পাবে, তারাই হবে জাহান্নামবাসী ; অন্তকাল সেখানে থাকবে।
(সুরা আল-বাকারাহ : ২/৩৯ ,২/৪১)

وَءَامِنُوا بِمَآ أَنزَلْتُ مُصَدِّقًا لِّمَا مَعَكُمْ وَلَا تَكُونُوٓا أَوَّلَ كَافِرٍۭ بِهِۦ ۖ وَلَا تَشْتَرُوا بِـَٔايٰتِى ثَمَنًا قَلِيلًا وَإِيّٰىَ فَاتَّقُونِ

আর তোমরা সে গ্রন্থের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর, যা আমি অবতীর্ণ করেছি সত্যবক্তা হিসেবে তোমাদের কাছে। বস্তুতঃ তোমরা তার প্রাথমিক অস্বীকারকারী হয়ো না আর আমার আয়াতের অল্প মূল্য দিও না। এবং আমার (আযাব) থেকে বাঁচ ।

إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا بِـَٔايٰتِنَا سَوْفَ نُصْلِيهِمْ نَارًا كُلَّمَا نَضِجَتْ جُلُودُهُم بَدَّلْنٰهُمْ جُلُودًا غَيْرَهَا لِيَذُوقُوا الْعَذَابَ ۗ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَزِيزًا حَكِيمًا
এতে সন্দেহ নেই যে, আমার আয়াত সমুহের প্রতি যেসব লোক অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করবে, আমি তাদেরকে আগুনে নিক্ষেপ করব। তাদের চামড়াগুলো যখন জ্বলে-পুড়ে যাবে, তখন আবার আমি তা পালটে দেব অন্য চামড়া দিয়ে, যাতে তারা আযাব আস্বাদন করতে থাকে। নিশ্চয়ই আল্লাহ মহাপরাক্রমশালী, হেকমতের অধিকারী ।
(সূরা আন-নিসা : ৪/৫৬, ৪/১৪০)

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তি তো কুরআনের আয়াতকে অস্বীকার করেনি, বরং নিজের আস্থাকে আরও দৃঢ় করার জন্য প্রশ্ন করেছে।
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কুরআনের ক্ষমা সংক্রান্ত আয়াতগুলোর উপর অবিশ্বাস প্রদর্শন করা হয়ে যায়না।

(০২)
এভাবে চিন্তা করলে তা অহংকার বা কোনো গুনাহের পর্যায়ে চলে যায়না। 

(০৩)
হ্যাঁ, এভাবে চিন্তা করতে পারবে।
এতে সমস্যা নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...