ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
কখনো যদি এমন হয় যে, ইকামত শুরু হয়ে গেছে বা নামায শুরু হয়ে গেছে, তাহলে ফজরের সুন্নত ছাড়া অন্য সুন্নত হলে আর সুন্নতের নিয়ত বাঁধবে না; বরং জামাতে শরীক হয়ে যাওয়া জরুরি।
আর যদি ফজরের সুন্নত হয় এবং এ কথা মনে হয় যে, তা পড়ে জামাতের অন্তত এক রাকাত পাওয়া যাবে, তাহলে মসজিদের বাইরে তো তা নিঃসন্দেহে পড়া জায়েয; বরং পড়ে নেওয়াই উত্তম। এমনভিাবে মসজিদের ভেতরে জামাতের কাতার থেকে দূরে বারান্দায় বা মসজিদের এক কোণায় অথবা খুঁটির আড়ালে পড়াও জায়েয আছে। কিন্তু জামাতের কাতারে বা তার নিকটে পড়া মাকরূহে তাহরিমী। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/10062
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আজানের সাথে সাথেই নামায! এটা কোন নামাযের কথা আপনি বলছেন? আজানের সময় আজানের জবাব দেবেন তারপর আপনি আজানের দু'আ কে পড়বেন। তারপর সুন্নত থাকলে সুন্নত পড়বেন।মাগরিবের আজানের পর যত তারাতারি সম্ভব নামায পড়ে নেয়াই মুস্তাহাব। তবে দু রাকাত সুন্নতের সময় পরিমাণ অপেক্ষা মাগরিবের নামাযে দাড়ানোই উত্তম।কেননা হানাফি ফিকহেরও কিছু সংখ্যক উলামা মাগরিবের ফরজের পূর্বে দু'রা'কাত সুন্নতের কথা বলে থাকেন।
(২)
জ্বী, এই কাপড়কে আপনি নতুনভাবে তিনবার ধৌত করবেন।
(৩)
অতীতের সবগুলো কাপড়কে একবার শরয়ী নিয়ম মতো ধৌত করে নিবেন।
(৪)
পবিত্র কাপড়ের সাথে অপবিত্র কাপড় একত্রিত হয়ে গেলে, সেই পবিত্র কাপড়ও নাপাক হয়ে যায়,সুতরাং এখন সবগুলো কাপড়কে পবিত্র করতে হবে।
(৫)
যেই কাপড়ের সাথে এক দিরহাম সমপরিমাণ নাপাকি লেগেছে,যদি এই নাপাক কাপড়ের সাথে কোনো পাক কাপড়কে ধৌত করা হয়, এবং শরীয়তের বিধি-বিধান মেনে ধৌত করা না হয়, তাহলে এই ধৌত করার কারণে পবিত্র কাপড়ও অপবিত্র হয়ে যাবে।
(৬)
কোনো নাপাক কাপড় থেকে পড়ে যাওয়ার পানি যদি এক দিরহাম বা তার চেয়ে বেশী পরিমাণ অন্য কাপড়ে লেগে যায়, তাহলে ঐ পবিত্র কাপড়ও নাপাক হয়ে যাবে।
(৭)
যদি ফ্লোরের নাপাকি শুকিয়ে যায়, তাহলে এই নাপাকির উপর জায়নামায বিছিয়ে নামায পড়লে নামায বিশুদ্ধমতানুযায়ী নামায হয়ে যাবে।
(৮)
জ্বী,জায়গা শুকিয়ে গেলে জায়নামাযে বিছিয়ে নামায পড়া যাবে।