আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
359 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)
প্রশ্নঃ১- অজু করার সময় কেউ যদি সালাম দেয় তাহলে কি জবাব দিতে হবে নাকি অজু করার পরে দিতে হবে?

প্রশ্নঃ২- অনেক সময় মাসনূন দোয়া ও সূরা পড়ার সময় অনেকে সালাম দেন।তখন কি সূরা পড়া বাদ দিয়ে সালামের জবাব দিতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
يكره السلام عند قراءة القرآن جهرا، وكذا عند مذاكرة العلم، وعند الأذان والإقامة، والصحيح أنه لا يرد في هذه المواضع أيضا، كذا في الغياثية. إن سلم في حالة التلاوة المختار أنه يجب الرد، كذا في الوجيز للكردري. وهو اختيار الصدر الشهيد، وهكذا اختيار الفقيه أبي الليث - رحمه الله تعالى - هكذا في المحيط.
উচ্ছস্বরে কুরআন তিলাওয়াতের সময় সালাম দেয়া মাকরুহ।ঠিকতেমনিভাবে ইলমের মুযাকারার মুহূর্তেও সালাম প্রদান মাকরুহ। এবং আজান ইকামতের সময়েও মাকরুহ।বিশুদ্ধ মতানুযায়ী এই সময়ে সালামের জবাব প্রদাণ করা যাবে না।(গিয়াছিয়্যাহ)
তিলাওয়াতের সময় সালাম প্রদাণ করলে তখন সালামের জবাব প্রদাণ ওয়াজিব হবে না।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৩২৫)


وفي شرح الشرعة: صرح الفقهاء بعدم وجوب الرد في بعض المواضع: القاضي إذا سلم عليه الخصمان، والأستاذ الفقيه إذا سلم عليه تلميذه أو غيره أوان الدرس، وسلام السائل، والمشتغل بقراءة القرآن، والدعاء حال شغله، والجالسين في المسجد لتسبيح أو قراءة أو ذكر حال التذكير. اهـ. وفي البزازية: لا يجب الرد على الإمام والمؤذن والخطيب عند الثاني، وهو الصحيح اهـ وينبغي وجوب الرد على الفاسق لأن كراهة السلام عليه للزجر فلا تنافي الوجوب عليه تأمل. هذا، وقد نظم الجلال الأسيوطي المواضع التي لا يجب فيها رد السلام ونقلها عنه الشارح في هامش الخزائن فقال: 
 رد السلام واجب إلا  على ... من في الصلاة أو بأكل شغلا 
أو شرب أو قراءة أو أدعيه ... أو ذكر أو في خطبة أو تلبيه 
أو في قضاء حاجة الإنسان ... أو في إقامة أو الآذان 
أو سلم الطفل أو السكران ... أو شابة يخشى بها افتتان 
أو فاسق أو ناعس أو نائم ... أو حالة الجماع أو تحاكم 
أو كان في الحمام أو مجنونا ... فواحد من بعدها عشرونا. 
(রদ্দুল মুহতার-১/৬১৮)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) অজু করার সময় কেউ যদি সালাম দেয়, তাহলে তখন জবাব দেওয়া ওয়াজিব হবে না।হ্যা, অজু করার পরই সালামের জবাব দেয়া যাবে।কেননা মাসনুন যিকির ও দু'আর মুহূর্তে সালাম দিলে সেই সালামের জবাব দেয়া ওয়াজিব হয়না।

(২) মাসনূন দোয়া ও সূরা পড়ার সময় সালাম দিলে তখনও সালামের জবাব ওয়াজিব হবে না।হ্যা,দোয়া ও সূরা পড়ার পর সালামের জবাব দিয়ে দেয়াই উত্তম হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...