ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)কেউ যদি অনেক কষ্ট পেয়ে দুঃখ পেয়ে রেগে গিয়ে বলে আল্লাহ তুই নাই, আল্লাহ তুই নাইরে তুই নাই, তাহলে সে কাফির হয়ে যাবে। 'আল্লাহ নাই' একথা যদি সে এজন্য বলে যে, তাকে সাহায্য করা হচ্ছে না, সে নিরাশ হয়ে বলছে, তাই একথার দ্বারা তার গোনাহ হবে।
(২)কেউ যদি রেগে গিয়ে বলে আল্লাহ তুই কিছু দেখস না, কিছু জানোস না, তাহলে সে কাফির হবে না।কেননা সেতো জানেই আল্লাহ সব দেখে সব জানে তবুও রাগ করে বলসে। এরকম কথাবার্তা বলা কখনো উচিৎ হবে না।
(৩) বাবু যখন পেটে ছিলো তখন আমার মা আমাকে লোহা মেস ব্যাগ এ রাখতে বলতো।আমিও রাখতাম । ওদের সন্তুষ্ট রাখার জন্য। আবার অনেক সময় ভাবতাম আমার বাচ্চাটা যদি ভালো। থাকে তাহলে দোষ কি। আবার অনেক সময় ভাবতাম এগুলো তো কিছুই করতে পারেনা বাঁচানোর মালিক আল্লাহ।
এটা শিরক।তাই তাওবাহ করতে হবে।ঈমান নবায়ন করতে হবে।
(৪)আমার শাশুড়ি আমাকে সুতা পড়া এনে গায়ে বেঁধে দিসিলো পড়া তেল। দিসিলো এগুলো আমি ব্যবহার করসি। পরে অল্প কিছুদিনের পরেই ব্যবহার করা বন্ধ করে দিসি।
আপনার আকিদা বিশ্বাস যদি এমন হয় যে, এই সুতার আপনাকে রক্ষা করবে বা আপনার বাচ্ছাকে রক্ষা করবে, তাহলে তা শিরক আর যদি এরকম কোনো আকিদা বিশ্বাস না হয়, তাহলে শিরক হবে না।
(৫)কেউ যদি রেগে গিয়ে কষ্ট পেয়ে বলে ও আল্লাহ তুই কইরে আল্লাহ তুই কই, তাহলে সে কাফির হবে না।তবে এরকম বলা বে'আদবির পর্যায়ভুক্ত।
(৬)বাবু পেটে থাকার সময় এক আন্টি আমাদের বাসায় গিয়ে আমার পেট ঝেড়ে দিসে যেনো ছেলে বাবু হয় পেটের মধ্যে নকশা যেনো একে দিসে। তখন আমি জানতাম যে আল্লাহ না দিলে হবেনা তবুও কেনো জানি উনাকে ঝাড়তে দিসি। হয়ত ছেলের আশায়ই।
এদ্বারা আপনি কাফির হবেন না।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার উপরোক্ত প্রশ্নগুলো দ্বারা আমরা বুঝতে পেরেছি, আপনি শরীয়তের বিধান সম্পর্কে অজ্ঞ।আর ভিতির মধ্যে আছেন। শরীয়তের মূলনীতি হল,আপনি যদি নিজের অতীতের সবগুলো বিষয় নিয়ে শঙ্কিত থাকেন, তাহলে আপনি নিজের অতীতের অজ্ঞতার জন্য তাওবাহ করে ঈমানকে নবায়ন করে নিবেন।
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
إِنَّ اللَّهَ قَدْ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي الْخَطَأَ، وَالنِّسْيَانَ، وَمَا اسْتُكْرِهُوا عَلَيْهِ
নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার উম্মতের অজ্ঞতা ও ভূলভাল কে ক্ষমা করে দিবেন।এবং অপারগতা বশত কৃত গোনাহকেও ক্ষমা করে দিবেন।(সুনানে ইবনে মা'জা,-২০৪৩)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/4560