বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
الحمد لله والصلاة والسلام على رسول الله وعلى آله وصحبه أما بعد:
গিবত হল,কোরো মুসলমানের এমন জিনিষের আলোচনা যা শুনলে সে তা অপছন্দ করবে।তবে যদি কারো সম্বন্ধে এমন কোনো আলোচনা হয়,যা তার মান-মর্যাদাকে কমাবে না।এবং যা কারো মন্দ আলোচনা হবে না।এমন আলোচনা গীবতের আওতাধীন হবে না।
তবে কারো কোনো গোনাহের কথা নিয়ে আলোচনা করা যাবে না।এটা গীবত হবে। তবে মুবাহ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যাবে।
তবে কারো সম্পর্কে বেশী আলোচনা না করাই ভালো ও উত্তম।কেননা হাদীসে বর্ণিত হয়েছে
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي هريرة رضي الله عنه قال: "من كان يؤمن بالله واليوم الآخر فليقل خيراً أو ليصمت"
যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং আখেরাতের উপর ঈমান রাখবে,সে যেন ভালো ভালো কথা বলে,অথবা চুপ থাকে।
কাকে আল্লাহ কিভাবে তৈরী করেছেন,এ সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
هُوَ الَّذِي يُصَوِّرُكُمْ فِي الأَرْحَامِ كَيْفَ يَشَاء لاَ إِلَـهَ إِلاَّ هُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ
তিনিই সেই আল্লাহ, যিনি তোমাদের আকৃতি গঠন করেন মায়ের গর্ভে, যেমন তিনি চেয়েছেন। তিনি ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই। তিনি প্রবল পরাক্রমশীল, প্রজ্ঞাময়।(সূরা আলে ইমরান-৬)
আল্লাহ সৃষ্টিকারী, সুতরাং মাখলুক্বাতের মন্দ বর্ণনা করা মানে আল্লাহর দূষ বর্ণনা করা।আল্লাহর সৃষ্টি সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
(كلُّ خَلْق الله عزَّ وجلَّ حسن)
আল্লাহর প্রত্যেক সৃষ্টিই উত্তম।
(إنَّ الله لا ينظر إلى صورِكم وأموالكم؛ ولكن ينظر إلى قلوبِكم وأعمالكم)
আল্লাহ তা'আলা কারো সূরত এবং মালের দিকে তাকান না বরং আল্লাহ তা'আলা মানুষের অন্তর এবং আ'মলের দিকে থাকান।(সহীহ মুসলিম)
(مَن عيَّر أخاه بذنبٍ [قد تاب منه]، لم يَمُت حتى يعمَله)
যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের গোনাহ সম্পর্কে দোষ বর্ণনা করবে,মৃত্যুর পূর্বে সে ঐ গোনাহে নিপতিত হয়ে মারা পড়বে।(সুনানে তিরমিযি-৬৬১)
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কারো সৃষ্টিগত দোষ বর্ণনা করা যাবে না।তবে প্রশংসা করা যাবে।কিন্তু গায়রে মাহরাম মহিলার আকার আকৃতি নিয়ে আলোচনা করা যাবে না।মুবাহ বিষয়েও লম্বা চওড়া আলোচনা করা যাবে না।কেননা আখেরাতে সময়েরও হিসাব দিতে হবে।