আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
189 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (40 points)
১)আমরা আল্লাহর কাছে সমর্পিত,এই কথা কি প্রতি সেকেন্ডে মাথায় রাখা লাগবে??

ধরুন আমি পরছি।তখন আমার মাথায় পরার কথাই ঘুরছে।তখন তো আমি আল্লাহর কথা ভাবছি না।

এতে কি শিরক বা কুফরি হবে???
২)কুরআন পরা অবস্থায় ইচ্ছা করে আয়াতের মাঝে থেমে যাওয়া কি কুফরি??কুরআন পরা অবস্থায় ইচ্ছা করে আয়াতের মাঝে থেমে যাওয়া কি কুফরি??

৩)আমি যদি বলি এবং বিশ্বাস করি যে, আমি নবি, আব্বু,আম্মু কে যতটা ভালোবাসি তার থেকে আল্লাহকে অনেক বেশি ভালো বাসি। সেই ভালোবাসার কোন তুলনা হয় না।তবে কি শিরক হবে??

৪)ধরুন কোন ভাবে পরাশুনা নিয়ে বড় শিরক করলাম।
এরপর আমার এক বন্ধু আমাকে বলল যে যদি আমি এখন পরাশুনা ছেড়ে দেই,তবে নাকি এই শিরক আমার আমলনামায় লেখা হবে না।মানে বিষয় টা এমন হবে যে আমি যেন শিরক করিই নাই।তাওবা করা লাগবে না।
তাই শুনে আমি পরাশুনা ছেড়ে দিলাম।

কিন্তু আমি কলেজ যাওয়া বন্ধ করায়,পরাশুনা বাদ দেওয়ায় আমার বোন অনেক মন খারাপ করছে।

তাই আমি চাচ্ছিলাম পরাশুনা করতে।
অবশেষে আমি জানতে পারি যে, শিরক হয়ে গেলে সেটা আমলনামায় যুক্ত হয়ে যায়।

এখন আমি তাওবা করলেই আল্লাহ মাফ করে দিবেন।
এটা জেনে আমি খুশি হই আর তাওবা করে পরাশুনা চালিয়ে যাই।

কিন্তু আমার প্রশ্ন হচ্ছে যে,আমি যে চাচ্ছিলাম আর কামনা করছিলাম যে শিরক হয়ে গেছে,তাইলে আমলনামায় যুক্ত হোক। আমি তাওবা করে পরাশুনা চালিয়ে যাব।আমলনামা য় যেন শিরক যুক্ত না হয় সেজন্য পরাশুনা ছেড়ে দিব না।বরং তাওবা করে পরাশুনা চালিয়ে যাব।আখিরাত ও দুনিয়া দুইটাই চাচ্ছিলাম।

আমার এই মনভাব কি শিরক??
পরাশুনা নিয়ে যেই শিরক করেছিলাম তার জন্য তাওবা করার পরেও কি এখন আমি আমার উপরক্ত মনভাবের কারণে মুশরিক হিসেবে গন্য হব??

1 Answer

0 votes
by (588,060 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)আমরা আল্লাহর কাছে সমর্পিত,এই কথা নিজের আকিদাতে থাকলেই হবে, প্রতি সেকেন্ডে মাথায় রাখার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।
সুতরাং কেউ একজন পরছে।এমতাবস্থায় যদি তার মাথায় পড়ড়ার কথাই ঘুরে থাবে। তাহলে তখন সেটা শিরক বা কুফর হবে হবে।

(২)কুরআন পরা অবস্থায় ইচ্ছা করে আয়াতের মাঝে থেমে যাওয়া কুফরি হবে না। কুফরি হওয়ার কোনো কারণ নাই।

(৩)কেউ যদি বলে এবং বিশ্বাস করে যে, সে নবি, আব্বু,আম্মু কে যতটা ভালোবাসি তার থেকে আল্লাহকে অনেক বেশি ভালো বাসে। তাহলে সেটা শিরক হবে না।

(৪) পড়াশোনা নিয়ে কিসের শিরক? আপনি এই বিষয়টা মুবাইল কলে আমাকে বুঝিয়ে বলবেন।জাযাকাল্লাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...