১)আমরা আল্লাহর কাছে সমর্পিত,এই কথা কি প্রতি সেকেন্ডে মাথায় রাখা লাগবে??
ধরুন আমি পরছি।তখন আমার মাথায় পরার কথাই ঘুরছে।তখন তো আমি আল্লাহর কথা ভাবছি না।
এতে কি শিরক বা কুফরি হবে???
২)কুরআন পরা অবস্থায় ইচ্ছা করে আয়াতের মাঝে থেমে যাওয়া কি কুফরি??কুরআন পরা অবস্থায় ইচ্ছা করে আয়াতের মাঝে থেমে যাওয়া কি কুফরি??
৩)আমি যদি বলি এবং বিশ্বাস করি যে, আমি নবি, আব্বু,আম্মু কে যতটা ভালোবাসি তার থেকে আল্লাহকে অনেক বেশি ভালো বাসি। সেই ভালোবাসার কোন তুলনা হয় না।তবে কি শিরক হবে??
৪)ধরুন কোন ভাবে পরাশুনা নিয়ে বড় শিরক করলাম।
এরপর আমার এক বন্ধু আমাকে বলল যে যদি আমি এখন পরাশুনা ছেড়ে দেই,তবে নাকি এই শিরক আমার আমলনামায় লেখা হবে না।মানে বিষয় টা এমন হবে যে আমি যেন শিরক করিই নাই।তাওবা করা লাগবে না।
তাই শুনে আমি পরাশুনা ছেড়ে দিলাম।
কিন্তু আমি কলেজ যাওয়া বন্ধ করায়,পরাশুনা বাদ দেওয়ায় আমার বোন অনেক মন খারাপ করছে।
তাই আমি চাচ্ছিলাম পরাশুনা করতে।
অবশেষে আমি জানতে পারি যে, শিরক হয়ে গেলে সেটা আমলনামায় যুক্ত হয়ে যায়।
এখন আমি তাওবা করলেই আল্লাহ মাফ করে দিবেন।
এটা জেনে আমি খুশি হই আর তাওবা করে পরাশুনা চালিয়ে যাই।
কিন্তু আমার প্রশ্ন হচ্ছে যে,আমি যে চাচ্ছিলাম আর কামনা করছিলাম যে শিরক হয়ে গেছে,তাইলে আমলনামায় যুক্ত হোক। আমি তাওবা করে পরাশুনা চালিয়ে যাব।আমলনামা য় যেন শিরক যুক্ত না হয় সেজন্য পরাশুনা ছেড়ে দিব না।বরং তাওবা করে পরাশুনা চালিয়ে যাব।আখিরাত ও দুনিয়া দুইটাই চাচ্ছিলাম।
আমার এই মনভাব কি শিরক??
পরাশুনা নিয়ে যেই শিরক করেছিলাম তার জন্য তাওবা করার পরেও কি এখন আমি আমার উপরক্ত মনভাবের কারণে মুশরিক হিসেবে গন্য হব??