আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
214 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (42 points)
edited by
১/অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় স্ত্রী বিয়ের পূর্বে যিনা করেছে কিনা সেটা নিশ্চিত হতে হাজব্যান্ড ❝প্রথম-বারের❞ সময় পরীক্ষা করতে সচেষ্ট হয় ( রক্তপাত হয়েছে কিনা সেটা দেখে বা অন্য কোন উপায়ে)।

ক) শরীয়তের দৃষ্টিতে এরকম পদক্ষেপ কোন পর্যায়ে পড়ে?

 খ) কোন একটা মাসয়ালা এমন আছে মনে হয় যেখানে কুমারী মেয়েকে বিয়ে করার পর যদি দেখা যায় সে কুমারী নয় তাহলে স্বামী তার মহর ফিরিয়ে নিতে পারবে বা এরকম কিছু। এক্ষেত্রে কুমারী আছে কি নেই তা কি উপরিউক্ত কুমারিত্ব পরীক্ষার ভিত্তিতে নির্ধারনযোগ্য?

২/ বিয়ের আগে যদি জিজ্ঞাসা করে নেওয়া হয় কনের পূর্বে কোন রিলেশন আছে কিনা। যদি উত্তর দেওয়া হয় ছিলো না। বিয়ের পর যদি কানে আসে তার রিলেশন ছিলো এক্ষেত্রে স্বামীর করণীয় কি?

৩/ বিয়ের পূর্বে স্ত্রী কারো সাথে অবৈধ কাজ করে থাকবে শুধু এরকম সন্দেহের বশে তালাক দিলে বা তার সাথে দুরত্ব তৈরী করলে স্বামীর কি শাস্তি হবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত উমর রাযি এর নিকট একজন ব্যক্তি এসে বলল,
أَتَى عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ رَجُلٌ , فَقَالَ : إِنَّ لِي بِنْتًا كُنْتُ وَأَدْتُهَا فِي الْجَاهِلِيَّةِ فَاسْتَخْرَجْنَاهَا قَبْلَ أَنْ تَمُوتَ , فَأَدْرَكَتْ مَعَنَا الْإِسْلَامَ , فَأَسْلَمَتْ فَلَمَّا أَسْلَمَتْ أَصَابَهَا حَدٌّ مِنْ حُدُودِ اللَّهِ , فَأَخَذَتِ الشَّفْرَةَ لِتَذْبَحَ نَفْسَهَا , فَأَدْرَكْنَاهَا وَقَدْ قَطَعَتْ بَعْضَ أَوْدَاجِهَا , فَدَاوَيْتُهَا حَتَّى بَرِئَتْ ، ثُمَّ أَقْبَلَتْ بَعْدَ تَوْبَةٍ حَسَنَةٍ وَهِيَ تُخْطَبُ إِلَى قَوْمٍ , فَأُخْبِرُهُمْ مِنْ شَأْنِهَا بِالَّذِي كَانَ ؟ فَقَالَ عُمَرُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ : " أَتَعْمَدُ إِلَى مَا سَتَرَهُ اللَّهُ فَتُبْدِيهِ , وَاللَّهِ لَئِنْ أَخْبَرْتَ بِشَأْنِهَا أَحَدًا مِنَ النَّاسِ لَأَجْعَلَنَّكَ نَكَالًا لِأَهْلِ الْأَمْصَارِ أَنْكِحْهَا نِكَاحَ الْعَفِيفَةِ الْمُسْلِمَةِ "
(الزهد لهناد بن السري- باب الستر- حديث رقم 1402)

আমার একটি মেয়ে আছে,  যাকে আমি জাহিলিয়াতের যুগে জীবন্ত পুতেছিলাম।অতঃপর মৃত্যুর পূর্বেই বের করে নিয়ে এসেছিলাম।অতঃপর আমাদের নিকট ইসলামের দাওয়াত পৌছল, আমাদের সাথে সেও ইসলাম গ্রহণ করলো। ইসলাম গ্রহণের পর তার উপর আল্লাহর হদ কায়েম হল অর্থাৎ তার উপর যিনার শাস্তি বাস্তবায়ন করা হল। সে একটি দাড়ালো চুরি হাতে নিল,নিজেকে শেষ করার জন্য। আমরা তাকে প্রতিহত করলাম তবে সে তার গলার সামান্য রগ কেটে ফেলল।আমরা তাকে চিকিৎসা করালাম,অতঃপর সে সুস্থ হল।সে সুস্থ হওয়ার পর তার বিয়ের পয়গাম আসলো।ম অর্থাৎ এক জায়গা থেকে তার রিশতা আসলো। হে আমিরুল মু'মিনিন উমর রাযি!
আমি কি তার অতীত সম্পর্কে তাদেরকে অবগত করে দেবো দেবো। হযরত উমর প্রতিউত্তরে তখন বললেন, তুমি এমন জিনিষ প্রকাশ করতে যাচ্ছো, যার উপর আল্লাহ পর্দা ঢেলে দিয়েছেন।
"আল্লাহর কসম করে বলতেছি, যদি তুমি তোমার মেয়ে সম্পর্কে কাউকে কিছু বলো, তাহলে তোমাকে শহরবাসীর জন্য ইবরতের নিশানা বানাবো। তুমি তাকে পূতঃপবিত্র মুসলিম রমনির মত বিয়ে দাও।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/906

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) স্ত্রী বিয়ের পূর্বে যিনা করেছে কিনা সেটা নিশ্চিত হতে হাজব্যান্ড ❝প্রথম-বারের❞ সময় পরীক্ষা করতে সচেষ্ট হয় ( রক্তপাত হয়েছে কিনা সেটা দেখে বা অন্য কোন উপায়ে)।

ক) শরীয়তের দৃষ্টিতে এরকম কোনো পদক্ষেপ অনুমোদিত নয়।বরং এই পদ্ধতি সম্পূর্ণ রূপে পরিত্যাজ্য। স্বামী এরকম করে স্ত্রীর উপর যিনার তোহমত দিলে, স্বামীকে হুকুমত যিনার বাস্তব সাক্ষী উপস্থাপন করতে বলবে,নতুবা শাস্তি স্বরূপ তার উপর হদ কায়েম করা হবে।

(খ) এরকম কোনো মাস'আলা নেই। সতিচ্ছেদ অনেক কারণে হতে পারে।শুধুমাত্র যিনার কারণেই যে সতিচ্ছেদ হবে, বিষয়টা নিশচিত নয়।

(২)
বিয়ের পূর্বের কোনো গোনাহ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করাও জায়েয হবে না।এমনকি তখন মিথ্যা বলাও পাত্রীর জন্য জায়েয। হ্যা, বিয়ের পরের বিষয়টা শরীয়তে ধর্তব্য।

(৩)
বিয়ের পূর্বে স্ত্রী কারো সাথে অবৈধ কাজ করে থাকবে শুধু এরকম সন্দেহের বশে তালাক দিলে বা তার সাথে দুরত্ব তৈরী করলে স্বামীর জান্নাতের সুঘ্রাণ পর্যন্তও পাবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...