আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
173 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (24 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম শায়েখ।

আমার দৈনন্দিন জীবনে ফেস করা কিছু প্রশ্ন। অনুগ্রহ করে উত্তর দিবেনঃ-

1. শরিরে কোনো মলম দিয়ে নামাজ পড়া যাবে কি না??

2. নামাজে যদি সূরা ফাতিহা বা অন্য কোনো সূরা বা সিজদায় কোনো দোয়া বার বার পড়ি, সেক্ষেত্রে সম্পূর্ণ সূরা শেষ হওয়ার পর আবার যদি শুরু থেকে পড়ি এবং বার বার পড়ি, তবে কি নামাযের কোনো ক্ষতি হবে?

3. কোরআন শরিফের ছোট সূরা পড়ার সময় এক সূরাই বার বার পড়তে গেলে যত বার পড়ি তত বার-ই কি বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পড়তে হবে?

4. এশার চার রাকাত ফরজ নামাজে শেষের দু'রাকাতে ইমাম আস্তে কিরাত পড়েন। তখন কি মুসল্লীরা চুপ থাকবে না সূরা ফাতিহা পড়বে? আমি তখন ফাতিহা পড়ি।

5. কোনো পুরস্কার বিতরণমূলক প্রতিযোগিতায় হোক সেটা খেলা বা অন্য যেকোনো প্রতিযোগিতা প্রোগ্রাম, সেখানে টাকা দিয়ে অংশগ্রহণ করা যাবে?

1 Answer

0 votes
by (606,150 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) শরিরে মলম দিয়ে নামাজ পড়া যাবে। তবে যদি সেই মলম নাপাক জিনিষ দ্বারা তৈরী করা হয়ে থাকে, তাহলে তখন উক্ত মলম দেয়া অবস্থায় নামায পড়া যাবে না।যেগুলোর হালাল হারাম সম্পর্কে পরিপূর্ণ জ্ঞান বা ধারণা লাভ করা যাবে না, সেগুলো জায়েয হিসেবেই বিবেচিত হবে।

(২) নামাজে যদি সূরা ফাতিহা বা অন্য কোনো সূরা বা সিজদায় কোনো দোয়া বার বার পড়া হয়, সেক্ষেত্রে সম্পূর্ণ সূরা শেষ হওয়ার পর আবার যদি শুরু থেকে পড়ি এবং বার বার পড়ি,

সূরায়ে ফাতেহার পর তাৎক্ষণিক ভিন্ন আরেকটি সূরা মিলানো ওয়াজিব।যদি সূরায়ে ফাতেহাকে বারংবার পড়া হয়, তাহলে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে। তবে রুকু সিজদাতে কুরআন হাদীসে বর্ণিত কোনো দু'আকে বারংবার পড়লে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে না।  এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/185

(৩) কোরআন শরিফের ছোট কোনো সূরাকে পড়ার সময় এক সূরাকে যদি বারংবার পড়া হয়, তাহলে  বারংবার বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পড়া যাবে।

(৪) এশার চার রাকাত ফরজ নামাজে শেষের দু'রাকাতে ইমাম আস্তে কিরাত পড়েন। তখন মুসল্লীরা চুপ থাকবে।

(৫) কোনো পুরস্কার বিতরণমূলক প্রতিযোগিতায় হোক সেটা খেলা বা অন্য যেকোনো প্রতিযোগিতা প্রোগ্রাম, সেখানে টাকা দিয়ে অংশগ্রহণ করা জায়েয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (606,150 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by (24 points)
৫ নং উত্তর নিয়ে আরেকটা জানার আছেঃ-

যেই টাকাটা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য দেবো সেটা যদি তারা পুরস্কারের কাজে না লাগিয়ে অন্যান্য কাজে লাগায়। যেমনঃ সম্পূর্ণ প্রোগ্রামের এরেঞ্জমেন্টের কাজে তাহলে কি ঠিক হবে?
যেমন বিভিন্ন ফেসবুক অনলাইন প্লাটফর্মে ইসলামিক এমন অনেক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে। সেগুলোতে টাকা দিয়ে অংশগ্রহণ করলে তারা বলে এই টাকাটা এরেঞ্জমেন্টের কাজে ব্যয় করবে। সেক্ষেত্রে কি বিধান হবে?
by (606,150 points)
তারপরও জায়েয হবে না। হ্যা বিনা টাকায় প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করার পর পুরুস্কার পাওয়া গেলে, সেই পুরুস্কার জায়েয হবে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 116 views
...