বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
শায়খ
https://ifatwa.info/58940/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ
রয়েছে যে,
কোনো অসুস্থ
ব্যক্তি শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত
হওয়ার জন্য শর্ত হলো,
شرط ثبوت العذر ابتداء أن يستوعب استمراره وقت
الصلاة كاملا وهو الأظهر كالانقطاع لا يثبت ما لم يستوعب الوقت كله-
শরয়ীভাবে
মা'যুর প্রমাণিত
হওয়ার জন্য কোনো নামাযের শুরু থেকে শেষ ওয়াক্ত পর্যন্ত উযর স্থায়ী থাকা শর্ত। (ফাতাওয়ায়ে
হিন্দিয়া-১/৪০)
কোনো ব্যাক্তি
মা'যুর প্রমানিত
হয়ে যাওয়ার পর পরবর্তী ওয়াক্ত গুলোতে পুরো সময় উক্ত ওযর পাওয়া জরুরি নয়, বরং পরবর্তী প্রতি ওয়াক্তে
এক বারও যদি উক্ত ওযর পাওয়া যায়,তাহলে সে মা'যুরই থাকবে।
সুতরাং
যদি কোনো একটি নামাযের সম্পূর্ণ ওয়াক্ত আপনার এমনভাবে অতিবাহিত হয় যে, উক্ত সমস্যা তথা বায়ুজনিত
সমস্যা বন্ধ না হয়, বরং চলতেই থাকে, এই উযরের কারণে অল্প সময়ে
ছোট সূরা দিয়ে হলেও ফরয নামায পড়া আপনার জন্য কোনোভাবেই সম্ভবপর না হয়, তাহলে আপনি মা'যুর। আপনি প্রতি ওয়াক্তের
জন্য অযু করবেন, এই অযু দিয়ে উক্ত ওয়াক্তের মধ্যে যত ইচ্ছা নামাজ আদায় করতে পারবেন।
(যদি অন্য
কোনো অযু ভঙ্গকারী কিছু না পাওয়া যায়।)
পরবর্তী
ওয়াক্তে আবার অযু করবেন আর যদি আপনার ওযরটি এমন না হয়,তাহলে আপনি শরয়ী ভাবে মা'যুর প্রমাণিত হবেন না।
বিস্তারিত
জানুনঃ https://ifatwa.info/3954/
মা'যুরের বিধান ইস্তেহাজা ওয়ালা
মহিলার ন্যায়।
আবু দাউদ
শরীফের ১৮০ নং হাদীসে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَخْلَدٍ
الطَّالْقَانِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، - يَعْنِي ابْنَ مَغْرَاءَ -
حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، أَخْبَرَنَا أَصْحَابٌ، لَنَا عَنْ عُرْوَةَ الْمُزَنِيِّ،
عَنْ عَائِشَةَ، بِهَذَا الْحَدِيثِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ يَحْيَى بْنُ
سَعِيدٍ الْقَطَّانُ لِرَجُلٍ احْكِ عَنِّي أَنَّ هَذَيْنِ - يَعْنِي حَدِيثَ
الأَعْمَشِ هَذَا عَنْ حَبِيبٍ وَحَدِيثَهُ بِهَذَا الإِسْنَادِ فِي
الْمُسْتَحَاضَةِ أَنَّهَا تَتَوَضَّأُ لِكُلِّ صَلَاةٍ
উরওয়াহ
আল-মুযানী ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে উপরোক্ত হাদীস বর্ণনা করেন। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ইয়াহ্ইয়াহ্ ইবনু সাঈদ আল-কাত্তান
এক ব্যক্তিকে এ মর্মে আদেশ দেন, আমার সূত্রে ঐ হাদীস দু’টি বর্ণনা কর। অর্থাৎ আ‘মাশের হাদীস
এবং একই সানাদে ইস্তিহাযা রোগিনী’’ সম্পর্কে বর্ণিত তার ঐ হাদীস যাতে রয়েছে, ‘ইস্তিহাযা রোগিনী প্রত্যেক
সালাতের জন্যই অযু করবে।’
لقولہ صلی اللہ علیہ وسلم: ”المستحاضة تتوضَّأ
لوقت کل صلاة․․․ ویصلون بہ أي بوضوئہم في الوقت ماشاوٴوا من الفرائض الخ (حاشیة
الطحطاوی علی المراقی: ۱۴۹، باب الحیض، ط اشرفی)
রাসুলুল্লাহ
সাঃ বলেছেন,ইস্তেহাযা
ওয়ালা মহিলা নামাজের প্রত্যেক ওয়াক্তের জন্য অযু করবে।
আর ঐ অযু
দিয়ে ঐ ওয়াক্তে যত ইচ্ছা ফরজ, নফল নামাজ আদায় করতে পারবে।
وصاحب حدث الدائم لیس من یتصل بہ خروج الحدث من
غیر انقطاع أصلاً؛ بل ہو من لا یمضي علیہ وقت صلاۃ کامل إلا والحدث الذي ابتلی بہ یوجد
منہ فیہ … فیشترط في الثبوت استیعاب الوقت بالحدث علی ہٰذہ الصفۃ کما یشترط في
الزوال استیعاب الوقت بالطہارۃ منہ، بأن یمضي الوقت ولا یوجد ذٰلک الحدث فیہ، وفیما
بین ذٰلک یکفي للبقاء وجود الحدث في کل وقت مرۃ۔ (حلبي کبیر ۱۳۵ لاہور، ہندیۃ الطہارۃ؍ الباب الرابع في أحکام الحیض والنفاس
والاستحاضۃ۱؍۴۰)
সারমর্মঃ
মা'যুর বলা
হবে,যার কোনো
একটি নামাযের সম্পূর্ণ ওয়াক্ত এমনভাবে অতিবাহিত হয় যে,উক্ত সমস্যা বন্ধ না হয়, বরং চলতেই থাকে,এই উযরের কারনে নামায পড়া
কোনোভাবেই সম্ভবপর না হয়,তাহলে আপনি
মা'যুর।
وحکمہ الوضوء لکل فرض ثم یصلي بہ فرضاً ونفلاً
فإذا خرج الوقت بطل۔ (شامي مع الدر الصلاۃ؍ باب صلاۃ المریض۱؍۵۰۵)
সারমর্মঃ
তার হুকুম প্রত্যেক ফরজের জন্য অযু করবে,তারপর সে ঐ অযু দ্বারা ফরজ নফল আদায় করবে।
ওয়াক্ত
শেষ হয়ে গেলে তার অযু বাতিল হয়ে যাবে।
ویبطل الوضوء عند خروج وقت المفروضۃ بالحدث
السابق۔ (ہندیۃ الطہارۃ؍ الباب الرابع في أحکام الحیض و النفاس والاستحاضۃ۱؍۴۱)
সারমর্মঃ
ফরজ নামাজের ওয়াক্ত শেষ হয়ে গেলে তার অযু বাতিল হয়ে যাবে।
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নোক্ত
ক্ষেত্রে আপনি আবার উক্ত নামাজ কাযা করে নিবেন।