আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
173 views
in সালাত(Prayer) by (9 points)
আসসালামু'আলাইকুম।

আমার এর আগে সবসময় হায়েযের শুরু খুব স্বাভাবিকভাবে হতো, অর্থাৎ শুরুতেই ব্লাড বাইরে চলে আসত। কিন্তু এবার দিন থেকে শুরু হয়েছে বলে মনে হচ্ছে কিন্তু ব্লাড বাইরে আসছে না । মানে ইস্তিঞ্জা করার পর টিস্যু দিয়ে মুছতে গেলে হালকা লাল রং এর স্রাব দেখা যায়। কিন্তু একা একা স্রাব বাইরে আসে না। এরকম হচ্ছে আজ যোহর থেকে। হায়েয শুরু হয়েছে ভেবে যোহর আসর বাদ দেই, কিন্তু হায়েযের স্পষ্ট বাহ্যিক কোনো আলামত না পাওয়ায় মাগরিব এ আবার যোহর থেকে কাযা আদায় করি। ইশার সময় অপেক্ষা করছিলাম যে ব্লাড বাইরে আসে কিনা,তাহলে হায়েয হয়েছে কিনা নিশ্চিত হতে পারতাম। এজন্য নামাজ পড়ি না, রাত ১২ টার আগে পরে কোনো সময় বোধ হয় বাইরে হালকা লাল স্রাব আসতে দেখি। আবার পরে ১টার দিকে দেখি শুকনো আছে, মানে ওই একবারই বাইরে স্রাব আসছে। এই লাল স্রাব দেখতে পাওয়ার সাথে আমার রেগুলার হায়েযের সাথে কোনো লক্ষণেরই মিল নেই, কারণ আমার হায়েয শুরু হলে তা প্রথম তিনদিন একদম টানা যায়। কিন্তু তারিখ হিসেবে আবার এসময় হায়েয হওয়ারই কথা, আমার কোনো সময় হায়েযের সময় অনিয়মিত হয়নি আগে, বরং আরো এক দুইদিন আগে আগেই শুরু হওয়ার কথা ছিলো।

এখন আমি বুঝতে পারছি না,আমার কি ইশার নামাজ পড়া উচিত ছিলো? আমি কি অপেক্ষা করে গুনাহ করেছি? নাকি এখনো পড়া যাবে নামাজ? মানে আমি যেহেতু একবার বাইরে স্রাব আসতে দেখেছি,তাই হায়েয শুরু হয়েছে ধরে নামাজ পড়তে ভয় লাগছে। আবার যেহেতু আর স্রাব বাইরে আসতেছে না, তাই নামাজ পড়া দরকার বলেও মনে হচ্ছে। আবার ফজরের সময় কী করতে হবে সেটা নিয়েও দ্বিধায় আছি।

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
edited by


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে।(বেহেশতী জেওর-১/২০৬)তথা সাদা রং ব্যতীত সকলপ্রকার রং ই হায়েযের অন্তর্ভুক্ত।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/7474

(وَمِنْهَا) النِّصَابُ أَقَلُّ الْحَيْضِ ثَلَاثَةُ أَيَّامٍ وَثَلَاثُ لَيَالٍ فِي ظَاهِرِ الرِّوَايَةِ. هَكَذَا فِي التَّبْيِينِ وَأَكْثَرُهُ عَشَرَةُ أَيَّامٍ وَلَيَالِيهَا. كَذَا فِي الْخُلَاصَةِ.
হায়েযের সর্বনিম্ন মেয়াদ ৩ দিন ৩ রাত। তিন দিনের কম রক্তস্রাব হলে সেটা হায়েয হিসেবে গণ্য হবে না। হায়েযের সর্বোচ্ছ মেয়াদ ১০ দিন১০ রাত।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৬)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু ধারাবাহিক তিন দিন আপনার হায়েয হয়নি, তাই আপনার ইস্তেহাযা হয়েছে বলে ধরে নেয়া হবে। সুতরাং আপনি নামায পড়বেন।এবং অতীতের ছুটে যাওয়া নামাযের কাযা করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by (9 points)
edited by
আসসালামু'আলাইকুম। তিনদিনের কম স্রাব গিয়েছে এমন না উস্তায, প্রথমদিন যোহর থেকে পরবর্তী দিন ফজর পর্যন্ত ভিতরে লাল স্রাব দেখা যায়, বাইরে আসে না (যদিও রাত ১২টার দিকে একবার বাইরে আসে)।কিন্তু সেদিনই(অর্থাৎ ২য় দিন) যোহরের আগেই সাধারণ হায়েযের মতো স্রাব বাইরে আসতে থাকে এবং হায়েয কন্টিনিউ থাকে, অর্থাৎ তিনদিনের কম স্রাব বের হয়েছে এমন না। কিন্তু হায়েযের শুরুটা কোন দিন,তা বুঝতে পারিনি। প্রথমদিনের রাতের ইশা আর ২য় দিন সকালে ফজর বাদ দিয়েছিলাম,সেগুলার কাযা কি পড়তে হবে?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...