আসসালামু আ'লাইকুম আগের ফাতওয়ার লিংক
https://ifatwa.info/61357/
কিছু উত্তরের আলোকে আবার প্রশ্ন
স্পষ্ট বাক্যে কখনো স্বামী স্ত্রীকে অধিকার দিয়েছে কিনা স্ত্রীর মনে নাই। আর স্বামী অধিকার দেয়ার ক্ষেত্রে কি নিয়ত থাকতে হবে?
১।স্ত্রীর কি উচিত হবে স্বামীকে কে জিজ্ঞেস করা সে কখনো অধিকার দিয়েছে কিনা?কয়েকেদিন আগে স্ত্রী ভয়ে কান্নাকাটি করলে স্বামী বলে তুমি যেটা নিয়ে চিন্তা করছো ওটা তোমাকে দেয়া হয়নি(অধিকারের কথা বুঝিয়েছে)
২। ২নং প্রশ্নে হুজুর আগের ফাতওয়াতে অধিকার সংংক্রান্ত কোন প্রশ্ন ছিল না একটু বুঝে উত্তর দিবেন(সরাসরি বলা যাবে না ওয়াসওয়াসার কারণে)
৩।স্ত্রীর যতদূর মনে পড়ে স্বামী কখনো স্পষ্টবাক্যে * বলে নাই( ধারণা থেকে বলা)স্ত্রীর বিভিন্ন ঝগড়া বা কেনায়া বাক্য খুবই অল্প পরিমাণে মনে আছে বিভিন্ন মাসয়ালা পড়ার কারণে কিন্তু স্পষ্টরূপে কোন সময় কেমন বাক্য একে অপরকে বলেছিল মনে নাই সেক্ষেত্রে কি স্বামীকে জিজ্ঞেস করা উচিত হবে?
স্বামীকে জিজ্ঞেস করলে স্বামী যদি মিথ্যা /সত্য বলে সেক্ষেত্রে তাদের বৈবাহিক জীবনে অসুবিধা হবে?
৪।ধরবো না কি কেনায়া বাক্য বা অন্য কিছু?
৫।স্বামীকে কি জিজ্ঞেস করা উচিত হবে স্পষ্ট বাক্যে কখনো * দিয়েছে কিনা?
জিজ্ঞেস করার পর উত্তরের হেরফের হলে অসুবিধা হবে?বলবে দেয়নি যদি কখনো দিয়েও থাকে তাহলে কি মিথ্যা বলার কারণে অসুবিধা হবে?
৬।একদিন এসএমএসে স্বামী স্ত্রীকে বলেছিল "কাল সকালে গাড়ি ঠিক করছি তোমাকে তোমাদের বাড়িতে(গ্রামের কথা বলেছে) দিয়ে আসব।"স্ত্রী বলেছিল তাকে গ্রাম থেকে আনা হয়েছে নাকি যে গ্রামে দিয়ে আসবে বলছে
স্বামীর এমন কথায় অসুবিধা হবে?
৭। পুরনো মেসেজে কেনায়া বাক্য থাকতে পারে(প্রবল ধারণা আছে কেনায়া শব্দ বা বাক্য আছে) সন্দেহে পুরনো মেসেজ চেক করা উচিত হবে কি?
৮।স্বামী যদি স্ত্রীকে বলে আমাকে ভালো না লাগলে যাকে ভালো লাগে তাকে বিয়ে করো বা তোমার আব্বু আম্মুর পছন্দমত কাউকে বিয়ে করো এগুলো কেনায়া বাক্য নাকি * এর অধিকার? (স্বামী বলেছিল এমন ধারণা করা হচ্ছে)
৯।স্ত্রী প্রায়শ বলত স্বামীকে বিয়ে করে কি পেয়েছে, জীবন তছনছ, বাবার মার পছন্দসই কাউকে বিয়ে করা উচিত ছিল, এও বলত স্বামীকে তোমার মা বাবার পছন্দ মত তোমাকে কাউকে বিয়ে করা উচিত ছিল এখনো সময় আছে ভেবে দেখো।বাচ্চা হচ্ছে না তাই তোমার অন্য কাউকে বিয়ে করা উচিত,স্ত্রীর আপত্তি নেই,কাবিনের টাকা লাগবে না, কাবিনের টাকার ভয়ে কি কিছু করতে পারতেছো না? ইত্যাদি ইত্যাদি
আরো অনেক কথা এগুলোর মধ্যে কয়েকটি বরাবর লেখা হয়েছে কয়েকটা ধারণা থেকে লেখা এই কথাগুলোর দরূন কোন অসুবিধা হবে?( স্ত্রী অভিমান করে বলত সম্ভবত কারণ স্বামী সময় দিত না বা কোন দায়িত্ব ঠিকঠাক পালন না করলে)
১০। স্ত্রী ফোন না ধরলে স্বামী বলত এবার ফোন না ধরলে আর কোনদিন ফোন দেয়ার দরকার নাই কিন্তু স্ত্রী ফোন ধরেছিল কিনা মনে নাই(স্বামী স্ত্রী একে অপরকে এইসব প্রায়ই বলত অভিমান করে) এরপরে আবার স্বাভাবিক হয়ে যেত
এতে তাদের বৈবাহিক জীবনে অসুবিধা হবে?
১১।স্ত্রী বাবার বাড়ি বেড়াতে যাবে কয়েকদিনের জন্য একথা স্বামীকে বলার সময় স্ত্রীর নিয়ত বা শর্ত আসলে অসুবিধা হবে?(স্ত্রীর অধিকার থাকলে)
১২। স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে স্বামী কাউকে কখনো * এর কিছু বলেছে কিনা একবার জিজ্ঞেস করার পরে বলে এইসব কথা কখনো কাউকে বলে নাই। এভাবে জিজ্ঞেস করা ঠিক হয়েছে?
* এর মাসয়ালা, কেনায়া এইসব জানার পর স্বামীকে বারবার জিগ্যেস করলে বলে কখনো নিয়ত করে কিছু বলে নাই
হুজুর প্রচন্ড রকম দুশ্চিন্তা আছে স্ত্রী,মাসয়ালা বা প্রশ্ন না পড়লে মনে হয় কিছু একটা মিস হচ্ছে তাই আবার পড়তে চলে আসে
এবং নতুন নতুন সমস্যার সৃষ্টি হয়
হুজুর একটু ভালোভাবে পড়ে উত্তর দিবেন