আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
315 views
in পবিত্রতা (Purity) by (12 points)
আসসালামু আলাইকুম। মলদ্বারে হাত দিয়ে কৃমি বের হলো কি না পরখ করে দেখলে কি ওযু ভেঙ্গে যাবে?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই বোন!
মলদ্বার দিয়ে কিছু বের হলেই শুধুমাত্র অজু ভঙ্গ হবে।চায় কম হোক বা বেশী হোক।কিছু বের হচ্ছে কি না? এটা ফরক করার জন্য যদি কেউ মলদ্বারে হাত দেয়,তাহলে তার অজু ভঙ্গ হবে না।

লজ্জাস্থানকে স্পর্শ করলে কি অজু ভেঙ্গে যাবে?

এ সম্পর্কে উলামায়ে কেরামদের মতবিরোধ রয়েছে।বিশুদ্ধ কথা হল অজু ভঙ্গ হবে না।এবং এটা হানাফি মাযহাবের সিদ্ধান্ত।ঠিকতেমনি পুরুষ তার স্ত্রীকে স্পর্শ করলে তখনও অজু ভঙ্গ হবে না।
আল্লাহ-ই ভালো জানেন।লজ্জাস্থান বলতে প্রস্রাব পায়খানার রাস্তা সহ আশপাশ।তথা উক্ত অঙ্গের সমস্থই।যেমন পরুষের প্রস্রাব বের হওয়ার স্থান সহ সমস্ত পুরুষাঙ্গই লহমজ্জাস্থান।

কায়েশ বিন তালক তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন,
عَنْ قَيْسِ بْنِ طَلْقٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: سَأَلَ رَجُلٌ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيَتَوَضَّأُ أَحَدُنَا إِذَا مَسَّ ذَكَرَهُ؟ قَالَ: ” إِنَّمَا هُوَ بَضْعَةٌ مِنْكَ أَوْ جَسَدِكَ
এক ব্যক্তি রাসূল সাঃ কে জিজ্ঞাসা করে যে, যে ব্যক্তি তার গোপনাঙ্গ স্পর্শ করেছে সে কি অজু করবে? রাসূল সাঃ বললেন, এটিতো তোমার একটি অঙ্গ বা বলেছেন তোমার শরীরের একটি অঙ্গ। [তাই এটি ধরলে অজু ভাঙ্গবে কেন?] {মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৬২৮৬}
ইবনে হিব্বান, তাবারানী ইবনে হাযম একে সহীহ বলে মন্তব্য করেছেন। আল্লামা আলী বিন মাদিনী রহঃ বলেন, এটি বুসরাহ রাঃ এর [গোপনাঙ্গ স্পর্শ করলে অজু ভেঙ্গে যাবার] হাদীসের তুলনায় এটি উত্তম। {আসারুস সুনান-৪৯}

ইমাম তিরমিজী এ সংক্রান্ত হাদীস আনার পর মন্তব্য করেন
قال الترمذي: وقد روي عن غير واحد من أصحاب النبي صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وبعض التابعين: أنهم لم يَرَوْا الوضوء من مسِّ الذكر، وهو قول أهل الكوفة وابن المبارك. وهذا الحديث أحسن شيء روي في هذا الباب.
এছাড়া আরো সাহাবায়ে কেরামগণ এবং তাবেয়ীগণ থেকে এরকম বক্তব্য নির্ভর হাদীস বর্ণিত হয়েছে। যারা লজ্জাস্থান স্পর্শ করলে অজু করার কথা বলতেন না। এটিই আহলে কুফা এবং আব্দুল্লাহ বিন মুবারকের সিদ্ধান্ত। আর এ হাদীস এ বিষয়ে বর্ণিত সবচে’ উত্তম। {তিরমিজী, হাদীস নং-৮৫}

عَنْ أَرْقَمَ بْنِ شُرَحْبِيلَ، قَالَ: ” قُلْتُ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ: إِنِّي أَحُكُّ جَسَدِي وَأَنَا فِي الصَّلاةِ فَأَمَسُّ ذَكَرِي، فَقَالَ: إِنَّمَا هُوَ بِضْعَةٌ مِنْكَ

হযরত আরকাম বিন শুরাহবিল থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদকে বললাম, আমি নামাযরত অবস্থায় আমার শরীর চুলকাচ্ছিলাম। এর মাঝে আমি আমার গোপনাঙ্গ স্পর্শ করে ফেলি।[এ পরিস্থিতে হুকুম কী? অজু কি ভেঙ্গে গেছে?] আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ রাঃ বললেন, এটিতো তোমার শরীরেরই একটি অংশ। [তাই অজু ভাঙ্গবে কেন? শরীরের অন্য অঙ্গে ধরলে যেমন ভাঙ্গবে না, তো এখানে ধরলে ভাঙ্গবে কেন?] {মুয়াত্তা মুহাম্মদ, হাদীস নং-২১}এর সনদটি হাসান। {আসারুস সুনান-৪৯}

লজ্জাস্থান স্পর্শ করলে কি অজু ভঙ্গ হবে?
এ সম্পর্কে আমরা পূর্বের একটি ফাতাওয়ায় লিখেছি- 
عَنْ إِبْرَاهِيمَ، ” أَنَّ ابْنَ مَسْعُودٍ سُئِلَ عَنِ الْوُضُوءِ مِنْ مَسِّ الذَّكَرِ؟ فَقَالَ: إِنْ كَانَ نَجِسًا فَاقْطَعْهُ
হযরত ইবরহীম নাখয়ী থেকে বর্ণিত। নিশ্চয় ইবনে মাসঊদ রাঃ কে লজ্জাস্থান স্পর্শ করলে অজু ভেঙ্গে যাবে কি না? মর্মে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, যদি এটি নাপাকই হয়, তাহলে এটি কেটে ফেল। {মুয়াত্তা মুহাম্মদ, হাদীস নং-১৯} বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- 2153


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

+2 votes
1 answer 232 views
0 votes
1 answer 91 views
...