আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
262 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (82 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ।

শায়খ একটা মেয়ের বিয়ে হয়েছে।কিন্তুু চুরি করে বিয়ে করেছে তাই মা বাবা মেনে নেয় নি।আর বলে ২ বছর পর তুর পড়ালেখা শেষ হলে তুই যেটা বুঝছ করিস মানে বাবা বলতেছে।আর স্বামী বলতেছে এখন চলে আস আমার বাসায়।পড়ালেখা দরকার পরলে আমি পড়াব।আসলে স্বামী চাচ্ছে না স্ত্রীকে হারাতে।স্ত্রী ও চায় স্বামীর সাথে থাকতে।সেও স্বামীকে হারাতে চায় না।বাবার মনে হচ্ছে মেয়ে এখন আবেগের ঘোরে আছে ২ বছর পর হয়ত মন পাল্টাবে আর মেয়ে চলে আসবে।কিন্তুু সেটা ভেবে স্বামীও ভয় পাচ্ছে। কিন্তুু স্ত্রী চায় স্বামীর সাথে সারাজীবন থাকতে।স্বামী কিছুতেই মানতেছে না বাবার কথা।মেয়েটার পড়ালেখা হচ্ছে এমন প্রত্যেকদিন ক্লাস করতে হবে।আর শহরে থাকে।শশুর বাড়ি হচ্ছে গ্রামে।তহ স্বামীর কথা হচ্ছে প্রত্যেকদিন ক্লাস করবা কিন্তু বন্ধের সময় হলেও স্বামীর বাড়িতে আসার জন্য।কিন্ত বাবা সেটাও মানতেছে না।বাবা বলে দুনিয়া কি একদম বুঝছ না? তুই মন পরিবর্তন করবি  মনে করে সে তুকে নিয়ে যেতে চাচ্ছে।মেয়েটা আর তর্কাতর্কি করে নাই।মেয়েটা চায় না স্বামীকে হারাতে সে খুব ভালবাসে আর স্বামীও।মা বাবার কাছে মনে হয় যে এখনো প্রেমের সম্পর্কে তারা সেই আচরন করে মেয়েটার সাথে।মেয়েটার বাসায় আসার ও অনুমতি  নেই স্বামীর।এখন যদি একটু পরামর্শ দিতেন ভাল হত আর মেয়েটা আর কোন কথা না বলে চলে গেলে স্বামীর সাথে তাহলে কি গুনাহ হবে? বাবা আরো বলে তুই চলে যাবি বলতেছস যে আমি স্ট্রোক করলে কি করবি? আর সমাজে আমার সম্মান আছে তহ।কিন্তুু কোনভাবেই মেনে নিবে সেটা বলতেছে না।মেয়েটা বলে ২ বছর পর পড়ালেখা শেষ হলে মেনে নিবেন? তখন ও সিওরভাবে বলে নি বলে যে মেনে নিবে। বলেছে ২ বছর  পর তুই যেটা ভাল বুঝিস সেটা করিস সেটা বলতেছে।।আর স্বামী চাচ্ছে যে একটা নিশ্চয়তা যে ২ বছর পরে হলেও মেনে নিবে এমন নিশ্চয়তা।সেটাও বলতেছে না বাবা ওর।মেয়েটা কিছুতেই স্বামীকে হারাতে চায় না।মেয়েটা বুঝতেছে না কি করবে।স্বামী আরো বলতেছে তুমি চলে আসলে আমি গুনাহ থেকেও বাচব।বাবা বলতেছে সব আবেগ,কিন্তু মেয়েটা বুঝাতে  পারতেছে না যে আবেগ নয় এসব।মেয়েটার ভয় হচ্ছে যে কোন স্বামী যদি ওকে ছেড়ে দেয় কিন্তুু মেয়ের বাবার সেটা নিয়ে মাথা ব্যাথা নাই মেয়েটার মনে হচ্ছে বাবার কথা শুনে বাবা সেটাই চায় যে ওদের সম্পর্কটা ভেন্গে যাক।মেয়েটা চায় না এরকম সে চায় স্বামীর সাথে থাকতে।মেয়েটা চেয়েছিল মা বাবা মেনে নিক কিন্তু সেটা মানতেছে না।কয়েকবার বলেছিল ও বাবা আমি বিয়ে করে ফেলছি আর আসব না,সেইখান থেকে।শুধু একটাই সমস্যা ছেলে চাকরী করে না ব্যাবসা করে আর সমবয়সী।ছেলেটা যদি ভাল কোন চাকরী করত তাহলে না করত না কোনদিন ও মেয়েটার বাবা মা।জানি এই প্রশ্নটা পারিবারিক আর এখানে করার মত প্রশ্ন নয়। ইসলামের আলোকে মেয়েটা একটা পরামর্শ চাচ্ছে যে কারন পরিবারে এমন একটা কেও নেই যে তাকে পরামর্শ দিবে।

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


https://ifatwa.info/38201/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
হাদীস শরীফে এসেছেঃ  
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:

لَوْ كُنْتُ آمِرًا أَحَدًا أَنْ يَسْجُدَ لِغَيْرِ اللهِ لأَمَرْتُ الْمَرْأَةَ أَنْ تَسْجُدَ لِزَوْجِهَا وَالَّذِى
نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لاَ تُؤَدِّى الْمَرْأَةُ حَقَّ رَبِّهَا حَتَّى تُؤَدِّىَ حَقَّ زَوْجِهَا وَلَوْ سَأَلَهَا نَفْسَهَا وَهِىَ عَلَى قَتَبٍ لَمْ تَمْنَعْهُ-

“যদি আমি কাউকে নির্দেশ দিতাম আল্লাহ ব্যতীত অন্যকে সিজদা করার, তাহ’লে স্ত্রীকে নির্দেশ দিতাম তার স্বামীকে সিজদা করার জন্য।ঐ সত্তার শপথ করে বলছি যার হাতে আমার জীবন, মহিলারা ঐ পর্যন্ত আল্লাহর হক আদায় করতে পারে না যতক্ষণ পর্যন্ত সে স্বামীর হক আদায় না করে, এমনকি স্বামী যদি যাত্রা পথে ঘোড়ার পৃষ্ঠেও তাকেও আহবান করে তখনও তাকে বাধা না দেয়।” (ইবনে মাজাহ হা/১৮৫৩; সহীহাহ হা/১২০৩।)

ইফকের ঘটনায় মা আয়েশা রা. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট তার বাবা-মার কাছে যাওয়ার অনুমতি চাওয়ার হাদিস:
তিনি বলেন:
أتأذن لي أن آتي أبوي

“(হে আল্লাহর রাসূল,) আপনি কি আমাকে আমার বাবা-মার কাছে যাওয়ার অনুমতি দিবেন?” (সহিহ বুখারী ও মুসলিম)

لا يجوز للمرأة الخروج من بيت زوجها إلا بإذنه ، لا لوالديها ولا لغيرهم ؛ لأن ذلك من حقوقه عليها ، إلا إذا كان هناك مسوغ شرعي يضطرها للخروج

“কোন মহিলার জন্য স্বামীর অনুমতি ছাড়া বাড়ির বাইরে যাওয়া জায়েয নয়। পিতামাতা বা অন্য কারো নিকট নয়। কারণ এটি তার উপর স্বামীর হক। অবশ্য যদি শরিয়ত সম্মত বিশেষ কোনো কারণ থাকে তাহলে ভিন্ন কথা।” (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ১৯/১৬৫)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত বিবাহে স্বামী স্ত্রীর মাঝে কুফুর মিল না থাকলে, বা বিবাহের সময় মেয়ে নাবালেগাহ হয়ে থাকলে মেয়ের বাবা আদালতের স্বরনাপন্ন হয়ে বিবাহ ভেঙ্গে দিতে পারেন।
তিনি যদি আদালতের স্বরনাপন্ন হয়ে বিবাহ ভেঙ্গে না দেন,সেক্ষেত্রে মেয়ের জন্য স্বামীর কাছে চলে যাওয়াই উচিত।

আর যদি প্রশ্নে উল্লেখিত বিবাহে স্বামী স্ত্রীর মাঝে কুফুর মিল থাকে,আর বিবাহের সময় মেয়ে বালেগাহ হয়ে থাকে,সেক্ষেত্রে স্ত্রী সরাসরি স্বামীর কাছে চলে যেতে পারবে,এটিই এখন তার জন্য করনীয়। 

তবে উভয়েই পারিবারিক ভাবে মুরব্বিদের নিয়ে কোনো সমাধানে পৌছাতে পারলে সেটির উপর আমল করা যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (82 points)
স্বামী যদি স্ত্রীকে বলতে বলে
"তুমার বাবাকে বল যে আপনাদের দিকে তাকালে আমার ঐ দিকে ভেন্গে যাচ্ছে "।মানে উপরের স্বামী যদি এমন বলে তাহলে কি তালাক হবে? স্ত্রীকে স্ত্রীর মা বাবাকে বলতে বলছে যে স্বামী তার স্ত্রীকে বলে নি।আবার পরে বলতেছে সমস্যা হচ্ছে এটা বলবা আর কি।স্বামী চায় স্ত্রীকে নিয়ে যেতে শশুর বাড়ি।কিছুতেই হারাতে চায় না স্ত্রীকে।তহ স্বামী কথাটা নিজে স্ত্রীকে উদ্দ্যশ্য করে বলে নি স্ত্রী যেন তার বাবাকে এই কথাটা বলে সেটার জন্য বলেছে।মানে বাবার কথা মানলে স্বামীর ঐদিকে সমস্যা হচ্ছে ঐ দিকে ভেন্গে যাচ্ছে সেটা বলেছে।এর কারনে কি তালাক হবে? 
by (574,260 points)
এর কারনে তালাক হবেনা।
by (82 points)
স্ত্রী ধরেন স্বামীর সাথে চলে আসছে।স্বামীর পাশে বসা।মেয়ের মা বাবা কোন কথাই শুনতে চাচ্ছে না।তহ স্বামী শেষ পর্যন্ত মেয়ের খালাকে ফোন দিয়ে বলতেছে মানে মানুষ থেকে শুনছি আপনার বোন বা দুলাভাই আমাদের বিচ্ছেদ চেয়ছিল অথবা যদি বলে আপনার বোন বা দুলাভাই আমাদের বিচ্ছেদ চেয়েছিল।বিয়ে করেছিলাম নিজেদের সিদ্ধান্তে।এর পরের সিদ্ধান্তটা ওনারা যেটা নেয় সেটা  মানে মেয়ের মা বাবা যেটা নিবে সেটা।মানে স্বামী মোটেও স্ত্রীকে তালাক দিতে চায় না বরং মেয়ের মা বাবা এমন কিছু করবে মনে করে স্ত্রীকে নিয়ে আসছে।স্বামী একটা সমঝোতা চেয়েছিল আর কি।তহ স্বামীর কোন কথা দ্বারা কি তালাক হবে? একটা কথাও স্বামী তালাকের নিয়তে বলে নি।
by (574,260 points)
উপরে উল্লেখিত স্বামীর কোন কথা দ্বারা তালাক হবেনা।
by (82 points)
edited by
১।আসালামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ।
ফোনে মানে মেসেজে কথা হচ্ছিল  স্বামীর সাথে স্ত্রী তালাক ও চায় নি।স্বামীও দিতে চায় না।তহ স্ত্রীর মা বাবা বিয়ে মানতেছিল না তাই সে স্বামীকে বলেছিল আমাকে ভুলে যেতে পারবেন? খুব কান্না করতেছিল স্ত্রী।স্বামী বলে তুমার ভালর জন্য যদি তুমাকে ছেড়ে দিতে হয় দিব।।দেখ তুমার আব্বু কি বলে।। তারপর বলে পরে বাসায় বলব ছেড়ে দিছি।দেখ তুমার আব্বু কি বলে।যেটা বলে সেটা কর।মানে বাবার সাথে আগে কথা বলে তারপর কি বলে সেটা করতে বলতেছে আর কি।স্ত্রীর কথা হচ্ছে আগে বাবার সাথে কথা বলবে তারপর সিদ্ধান্ত নিবে সেটা স্বামীকে বলতেছিল মেসেজে।স্বামী কিন্তু তালাক দিতে চাই নি।পরে স্বামী বলেছিল আমি তুমাকে তালাক দিতাম নাকি?  সোজা তুলে নিয়ে আসতাম যে আমার বউ।তখন স্বামী কেনায়া তালাকের ব্যাপারে শুনেও নি কোনদিন।আর স্ত্রী ও তালাক চায় নি।তহ এর দ্বারা কি তালাক হবে?এটা আগে প্রশ্ন করেছিলাম মনে হয়।তালাক হবে না বলেছিল মনে হয় কারন স্ত্রী তালাক চায় নি।
by (574,260 points)
এর দ্বারা তালাক হবেনা।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...