জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
শরীয়তের বিধান হলো, গুনাহের কাজ যেমন নিজে করা জায়েজ নেই,কাউকে গুনাহের কাজে সহযোগিতা করাও জায়েজ নেই।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ [٥:٢]
সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। {সূরা মায়িদা-২}
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত বিয়ের ব্যাপারে সহযোগিতা করা যেমন, বায়োডাটা বানিয়ে দেওয়া,পাত্রপক্ষ দেখতে আসলে বা বিয়ে করলে রান্না,ঘর সাজানো, কনে সাজানো ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে সাহায্য করা জায়েজ হবে।
(০২)
ইহতিমামের অর্থঃ- মনোযোগ,যত্ন,আগ্রহ,লক্ষ্য, উদ্দেগ,গুরুত্ব ইত্যাদি ।
সালাতের ইহতেমাম বলতে সালাত গুরুত্ব সহকারে আদায় করা,মনোযোগ দেয়া বুঝায়, তিলাওয়াতের ইহতেমাম বলতে গুরুত্ব সহকারে ও মনোযোগ সহকারে তিলাওয়াত করা বুঝায়।
(০৩)
এটিকে গীবত বলা হবেনা। তবে অনুচিত।
وتحرم غیبة (الذمی) کالمسلم وظاهرہ انه لاغیبة للحربی اھ۔
অর্থ : যিম্মীর (ইসলামী রাষ্ট্রে কর দিয়ে অবস্থানকারী) গীবত করাও মুসলিমদের মতো হারাম৷ এখান থেকে সুস্পষ্ট হলো, হারবীর (যে সকল অমুসলিমদের সাথে মুসলমানদের কোনো চুক্তি নাই) গীবত নাই বা হয় না৷ (রদ্দুল মুহতার : ৫/২৬৩)
হাদীস শরীফে এসেছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন
إن من حسن إسلام المرء تركه ما لا يعنيه
‘কোনো ব্যক্তির ইসলামের অন্যতম সৌন্দর্য হলো অর্থহীন কথা বা কাজ ত্যাগ করা।’ (জামিয়ুত তিরমিযী : ২৩১৮)
(০৪)
এভাবে নাম রাখা জায়েজ নেই।
বিস্তারিত জানুনঃ-
(০৫)
পুড়িয়ে মেরে ফেলা যাবেনা।
এক্ষেত্রে মৌমাছি তাড়িয়ে দিতে কোনো ঔষধ জাতীয় দ্রব্য ব্যবহার করা যাবে।
ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (সা.) চার প্রকার প্রাণী হত্যা করতে বারণ করেছেন, পিঁপড়া, মধুমক্ষিকা (মৌমাছি), হুদহুদ পাখি এবং চড়ুইসদৃশ বাজপাখি। (আবু দাউদ, হাদিস : ৫২৬৭)
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, কোনো এক নবীকে একটি পিঁপড়া দংশন করলে তিনি সে পিঁপড়ার বস্তি জ্বালিয়ে দেওয়ার আদেশ দেন এবং তা জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। তখন আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রতি ওহি প্রেরণ করে বলেন, তোমাকে তো একটা পিঁপড়া দংশন করেছে। আর তুমি এমন এক জাতিকে ধ্বংস করলে যারা আল্লাহর মহিমা ও পবিত্রতা ঘোষণা করত। (নাসায়ি, হাদিস : ৪৩৫৮)।
(০৬)
হ্যাঁ পড়া যাবে।
বিস্তারিত জানুনঃ-