بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
অন্যর মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত কারো জন্য হালাল
হয় না। সুতরাং এসব পরিত্যাজ্য। কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ
ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ
ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ
তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে
গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ।
আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু।
(সূরা নিসা(২৯)
বেশির ভাগ মানুষ ব্যাডমিন্টন খেলেন রাতের বেলায়। যার জন্য
বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়। যার জোগান দেওয়া হয় আশপাশের কোনো বাসাবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কিংবা সরাসরি সরকারি
লাইন থেকে। কারো ব্যক্তিগত বিদ্যুৎ ব্যবহার করে ব্যাডমিন্টন খেলতে চাইলে অবশ্যই তার
অনুমতি নিতে হবে। নচেৎ সেই বিদ্যুৎ ব্যবহার করা জায়েজ হবে না। কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
কিংবা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে চাইলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের
অনুমতি নিতে হবে। (ফাতাওয়ায়ে ফকিহুল মিল্লাত : ১১/১৪০, আদ্দুররুল মুখতার : ৬/২০০)
সরাসরি সরকারি লাইন থেকে বিদ্যুৎ নিয়ে ব্যাডমিন্টন খেলা
আইনত দণ্ডনীয়। সরকারি আইন অনুযায়ী এভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহারের ক্ষেত্রে তিন বছরের কারাদণ্ড
বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। (ডিপিডিসি)
তা ছাড়া এটি বিদ্যুৎ চুরির শামিল। আবু হুরায়রাহ (রা.)
থেকে বর্ণিত, আবু হুরায়রা
(রা.) সূত্রে নবী (সা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, চোরের ওপর আল্লাহর অভিশাপ হোক, যখন সে একটি হেলমেট চুরি করে এবং এ জন্য
তার হাত কাটা হয় এবং সে একটি রশি চুরি করে এ জন্য তার হাত কাটা হয়।
আমাশ (রহ.) বলেন, তারা মনে করত যে হেলমেট লোহার হতে হবে
আর রশির ব্যাপারে তারা ধারণা করত তা কয়েক দিরহামের সমমূল্যের হবে। (বুখারি, হাদিস : ৬৭৮৩)। অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, রাসুল (সা.) বলেন, মুমিন চুরি করার সময় ঈমানদার থাকে না।
(মুসলিম, হাদিস : ১০৬) ।
উল্লেখ্য, মানুষ কারো ব্যক্তিগত সম্পদ চুরি করলে
সে একজনের হক নষ্ট করল। কিন্তু কেউ যদি জাতীয় সম্পদ চুরি করে, সে গোটা জাতির হক নষ্ট করল। যা অত্যন্ত
ভয়াবহ অপরাধ।
আরো বিস্তারিত জানুন: https://ifatwa.info/7013/
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
খালেস অন্তরে আল্লাহ তায়ালার নিকট তওবা করতে হবে এবং আনুমানিক
একটি মূল্য নির্ধারণ করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিতে হবে। যদি রাষ্ট্রীয়
অধিদপ্তরে উক্ত পদ্ধতি সক্রিয় না থাকে তাহলে গরীব দু:খী মানুষকে তা দান করতে হবে।